০৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫ হাজার ঘনফুট সাদা বালু জব্দ  

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬০১৪ Time View
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে স্তূপ করে রাখা হয়েছে

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা ১৫ হাজার ঘনফুট সাদা বালু (বিট বালু) জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
 
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার দীঘলবাগ ও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নদী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
 
অভিযান পরিচালনা করেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন।  এ সময় নবীগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
ইউএনও বাংলানিউজকে বলেন, বালু উত্তোলনকারীরা আগেই পালিয়ে যান। তারা বালু তুলে বিক্রির জন্য স্তূপ করে রেখেছিলেন। এ বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে সাদা বালু লুট হচ্ছে। প্রতিদিন নদীর অন্তত ১০-১৫টি স্পট থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু তোলা হচ্ছে। চিহ্নিত ও প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের দখলে এখন নদীর বড় অংশ। এতে ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি ও আশপাশের বাড়িঘর।
 
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, নবীগঞ্জের দীঘলবাক, দুর্গাপুর, পাহাড়পুর ও পারকুল এলাকায় বৃহৎ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন। নদী থেকে তোলা বালু নদীর তীর ও কৃষিজমিতে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে, পরে বিক্রি হচ্ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নির্মাণকাজের জায়গাসহ বিভিন্ন স্থানে।
 
ইউএনও রুহুল আমীন আরও জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। মূল হোতাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫ হাজার ঘনফুট সাদা বালু জব্দ  

সময়ঃ ১২:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে স্তূপ করে রাখা হয়েছে

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা ১৫ হাজার ঘনফুট সাদা বালু (বিট বালু) জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
 
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার দীঘলবাগ ও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নদী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
 
অভিযান পরিচালনা করেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন।  এ সময় নবীগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
ইউএনও বাংলানিউজকে বলেন, বালু উত্তোলনকারীরা আগেই পালিয়ে যান। তারা বালু তুলে বিক্রির জন্য স্তূপ করে রেখেছিলেন। এ বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে সাদা বালু লুট হচ্ছে। প্রতিদিন নদীর অন্তত ১০-১৫টি স্পট থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু তোলা হচ্ছে। চিহ্নিত ও প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের দখলে এখন নদীর বড় অংশ। এতে ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি ও আশপাশের বাড়িঘর।
 
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, নবীগঞ্জের দীঘলবাক, দুর্গাপুর, পাহাড়পুর ও পারকুল এলাকায় বৃহৎ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন। নদী থেকে তোলা বালু নদীর তীর ও কৃষিজমিতে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে, পরে বিক্রি হচ্ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নির্মাণকাজের জায়গাসহ বিভিন্ন স্থানে।
 
ইউএনও রুহুল আমীন আরও জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। মূল হোতাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।