০৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক: ফ্লোরিডায় এবার ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর মধ্যে কী কথা হবে

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৬০০৩ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে বাম ও ডান—দুই দিক থেকেই বিরোধিতা বাড়লেও ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের সমর্থন এখনো অটল।

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস একটি সামরিক ব্যয় বিল পাস করেছে। সেখানে ইসরায়েলের জন্য ৬০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলা আছে।

ট্রাম্প প্রশাসন গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বা পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণসহ ওই অঞ্চলে ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণের বিরুদ্ধে মৌখিক সমালোচনাও এড়িয়ে চলছে।

১৬ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে ইহুদিদের উৎসব হানুক্কা উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সে সময় ট্রাম্প কংগ্রেসে ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের বিষয়ে বাড়তে থাকা সংশয় নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি এই মনোভাবকে ইহুদিবিদ্বেষের সঙ্গে তুলনা করেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি যদি ১০, ১২ বা ১৫ বছর আগে ফিরে তাকান, তাহলে দেখতে পাবেন ওয়াশিংটনে সবচেয়ে শক্তিশালী লবি ছিল ইহুদি লবি। আর তা হলো ইসরায়েল। এখন আর তা নেই।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আপনাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে কংগ্রেসে এমন একটা মনোভাব তৈরি হচ্ছে, যা ইহুদিবিদ্বেষী।’

তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কৌশলগত অগ্রাধিকারের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।

সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির জ্যেষ্ঠ ফেলো সিনা টুসির মতে, ওয়াশিংটন যখন মধ্যপ্রাচ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে চাইছে, তখন ইসরায়েল অঞ্চলজুড়ে ‘পূর্ণ আধিপত্য’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় মিত্ররাও রয়েছে।

টুসি আরও বলেন, ইসরায়েল যে আপসহীন অবস্থান ও কৌশলগত লক্ষ্য অনুসরণ করছে, তা একসময় যুক্তরাষ্ট্রের মূল স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক: ফ্লোরিডায় এবার ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর মধ্যে কী কথা হবে

সময়ঃ ১২:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে বাম ও ডান—দুই দিক থেকেই বিরোধিতা বাড়লেও ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের সমর্থন এখনো অটল।

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস একটি সামরিক ব্যয় বিল পাস করেছে। সেখানে ইসরায়েলের জন্য ৬০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলা আছে।

ট্রাম্প প্রশাসন গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বা পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণসহ ওই অঞ্চলে ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণের বিরুদ্ধে মৌখিক সমালোচনাও এড়িয়ে চলছে।

১৬ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে ইহুদিদের উৎসব হানুক্কা উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সে সময় ট্রাম্প কংগ্রেসে ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের বিষয়ে বাড়তে থাকা সংশয় নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি এই মনোভাবকে ইহুদিবিদ্বেষের সঙ্গে তুলনা করেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি যদি ১০, ১২ বা ১৫ বছর আগে ফিরে তাকান, তাহলে দেখতে পাবেন ওয়াশিংটনে সবচেয়ে শক্তিশালী লবি ছিল ইহুদি লবি। আর তা হলো ইসরায়েল। এখন আর তা নেই।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আপনাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে কংগ্রেসে এমন একটা মনোভাব তৈরি হচ্ছে, যা ইহুদিবিদ্বেষী।’

তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কৌশলগত অগ্রাধিকারের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।

সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির জ্যেষ্ঠ ফেলো সিনা টুসির মতে, ওয়াশিংটন যখন মধ্যপ্রাচ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে চাইছে, তখন ইসরায়েল অঞ্চলজুড়ে ‘পূর্ণ আধিপত্য’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় মিত্ররাও রয়েছে।

টুসি আরও বলেন, ইসরায়েল যে আপসহীন অবস্থান ও কৌশলগত লক্ষ্য অনুসরণ করছে, তা একসময় যুক্তরাষ্ট্রের মূল স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে।