১০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুকুরে ডুব দিয়ে সহশিল্পীর মূল্যবান আংটি উদ্ধার, আবেগে ভাসলেন সবাই

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬০৩৩ Time View

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাসার জানালেন, ‘জলকৌড়ি’ নাটকের শুটিংয়ে সময় সহশিল্পী দেবাশীষ চক্রবর্তীর একটি আংটি পুকুরে হারিয়ে যায়। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য ৬ আনা ওজনের এই আংটি দেবাশীষ তাঁর বাবার কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি বরিশাল অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। বাসার বললেন, ‘দৃশ্যটি ছিল, পুকুরের নিচ থেকে আংটি তুলে আনতে হবে। তখন দেবাশীষ স্যারের সেই আংটি ছুড়ে দেওয়া হয়, ধরতে না পারায় পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। মুহূর্তেই মন খারাপ হয়। আংটি হারিয়ে গেছে বলে নয়, এটা তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া অমূল্য উপহার, তাই। বাবা মারা গেছেন, কিন্তু এই আংটি তাঁর সঙ্গে স্মৃতি হয়ে আছে। এ নিয়ে আমারও খারাপ লাগে। অনেকে আংটি খুঁজে আনার চেষ্টা করে। ঘণ্টা দুয়েক চেষ্টার পর কেউ না পেলে আমি বললাম, শেষ চেষ্টা করে দেখি। স্যারসহ সবাই আমাকে বারবার না করেন। বাদ দিতে বলেন। কিন্তু আমার কাছে তাঁর আবেগটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই সবার নিষেধ সত্ত্বেও ডুব দিয়ে চেষ্টা করি। একটা সময় সত্যি সত্যি আংটিটা পেয়ে যাই। সবার সে কী আনন্দ, স্যারের চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, যেন রাজ্য জয়ের হাসি। সত্যি বলতে, এই খুশিটাই ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমার বেশি ভালো লেগেছে।’

ট্যাগঃ

পুকুরে ডুব দিয়ে সহশিল্পীর মূল্যবান আংটি উদ্ধার, আবেগে ভাসলেন সবাই

সময়ঃ ১২:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাসার জানালেন, ‘জলকৌড়ি’ নাটকের শুটিংয়ে সময় সহশিল্পী দেবাশীষ চক্রবর্তীর একটি আংটি পুকুরে হারিয়ে যায়। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য ৬ আনা ওজনের এই আংটি দেবাশীষ তাঁর বাবার কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি বরিশাল অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। বাসার বললেন, ‘দৃশ্যটি ছিল, পুকুরের নিচ থেকে আংটি তুলে আনতে হবে। তখন দেবাশীষ স্যারের সেই আংটি ছুড়ে দেওয়া হয়, ধরতে না পারায় পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। মুহূর্তেই মন খারাপ হয়। আংটি হারিয়ে গেছে বলে নয়, এটা তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া অমূল্য উপহার, তাই। বাবা মারা গেছেন, কিন্তু এই আংটি তাঁর সঙ্গে স্মৃতি হয়ে আছে। এ নিয়ে আমারও খারাপ লাগে। অনেকে আংটি খুঁজে আনার চেষ্টা করে। ঘণ্টা দুয়েক চেষ্টার পর কেউ না পেলে আমি বললাম, শেষ চেষ্টা করে দেখি। স্যারসহ সবাই আমাকে বারবার না করেন। বাদ দিতে বলেন। কিন্তু আমার কাছে তাঁর আবেগটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই সবার নিষেধ সত্ত্বেও ডুব দিয়ে চেষ্টা করি। একটা সময় সত্যি সত্যি আংটিটা পেয়ে যাই। সবার সে কী আনন্দ, স্যারের চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, যেন রাজ্য জয়ের হাসি। সত্যি বলতে, এই খুশিটাই ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমার বেশি ভালো লেগেছে।’