ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা পর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময়ে পেরিয়ে গেছে। পশ্চিমা কয়েকটি দেশ এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানালেও এখনো আরব দেশগুলো কোনো মন্তব্য করেনি। শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
নেতানিয়াহু বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে গাজা দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, “গাজা যেন আর কখনো আমাদের নাগরিকদের জন্য হুমকি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই আমাদের এ পরিকল্পনা। আমরা চূড়ান্ত বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।”
নেতানিয়াহুর এই ঘোষণার পর ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ইসরায়েলকে সিদ্ধান্তটি ‘অবিলম্বে পুনর্বিবেচনা করার’ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্য ‘দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের অংশ হিসেবে’ শান্তি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
অস্ট্রেলিয়া ইসরায়েলকে তার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন, “স্থায়ীভাবে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।”
জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি এই পরিকল্পনাটিকে ‘একেবারে ভুল দিকে অত্যন্ত খারাপ পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইসরায়েলি সরকারের ঘোষণায় ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস ‘তীব্রভাবে’ এই ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি ‘কেবলমাত্র আরো ধ্বংস এবং দুর্ভোগের দিকে পরিচালিত করবে।’
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র তুরস্ক তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তুরস্ক বলেছে, ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত ‘এই অঞ্চলে তাদের সম্প্রসারণবাদী এবং গণহত্যা নীতির একটি নতুন পর্যায় গঠন করে।’
মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি। শক্তিধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও কাতার প্রতিবাদ তো দূরের কথা এখনো কোনো মন্তব্যই করেনি। গাজার প্রতিবেশী মিশর একেবারেই নীরব ভূমিকা পালন করছে।
Sangbad365 Admin 














