১২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিভিন্ন অপরাধে যবিপ্রবিতে শিক্ষকসহ ৪ শিক্ষার্থীকে শাস্তি

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬০৩৯ Time View

যবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ১৬ আগস্ট ২০২৫  

ফাইল ফটো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) পৃথক অপরাধে একজন শিক্ষককে বরখাস্ত ও চারজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সব সদস্যের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের ১০৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, লিফট অপারেটর পদে চাকরিপ্রার্থী এক অপহরণ মামলার আসামি ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীকে হল থেকে বের করে দিতে গেলে তাকে রক্ষায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বাধা প্রদান ও নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় আরো তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একইসঙ্গে সব স্বৈরাচারের দোসর ও তাদের অপরাধ অনুসারে ধারাবাহিকভাবে বিচারের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে বিচারে বাধা বা কেউ পুনর্বাসনমূলক আচরণ করলে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বহিষ্কৃতরা হলেন— শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ রাফি (অপহরণ মামলার আসামি), আল মামুন ফরহাদ, তুষার ইমরান এবং একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কাবিরুল।

অন্যদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের জুমার নামাজে বাধা প্রদান, স্বৈরাচারী আচরণের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও শিক্ষকসুলভ বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবিরকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজেন্ট বোর্ড। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের তৎকালীন সদস্য সচিব এবং ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের শিক্ষক।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় যবিপ্রবির প্রধান ফটকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বাধা দেন ড. ফিরোজ কবির। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে তিনি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। পরে মসজিদে প্রবেশে বাধা পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উত্তপ্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

বিভিন্ন অপরাধে যবিপ্রবিতে শিক্ষকসহ ৪ শিক্ষার্থীকে শাস্তি

সময়ঃ ১২:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

যবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ১৬ আগস্ট ২০২৫  

ফাইল ফটো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) পৃথক অপরাধে একজন শিক্ষককে বরখাস্ত ও চারজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সব সদস্যের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের ১০৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, লিফট অপারেটর পদে চাকরিপ্রার্থী এক অপহরণ মামলার আসামি ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীকে হল থেকে বের করে দিতে গেলে তাকে রক্ষায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বাধা প্রদান ও নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় আরো তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একইসঙ্গে সব স্বৈরাচারের দোসর ও তাদের অপরাধ অনুসারে ধারাবাহিকভাবে বিচারের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে বিচারে বাধা বা কেউ পুনর্বাসনমূলক আচরণ করলে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বহিষ্কৃতরা হলেন— শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ রাফি (অপহরণ মামলার আসামি), আল মামুন ফরহাদ, তুষার ইমরান এবং একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কাবিরুল।

অন্যদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের জুমার নামাজে বাধা প্রদান, স্বৈরাচারী আচরণের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও শিক্ষকসুলভ বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবিরকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজেন্ট বোর্ড। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের তৎকালীন সদস্য সচিব এবং ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের শিক্ষক।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় যবিপ্রবির প্রধান ফটকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বাধা দেন ড. ফিরোজ কবির। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে তিনি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। পরে মসজিদে প্রবেশে বাধা পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উত্তপ্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী