০১:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর্দার মতো রাজনৈতিক মঞ্চেও বিজয় ঝড়

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬০২৩ Time View

শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে পা রেখে তামিল সিনেমার শীর্ষ নায়কদের একজনে পরিণত হয়েছেন থালাপাতি বিজয়। সর্বশেষ ‘থালাপাতি ৬৯’ সিনেমার জন্য ২৭৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ‘তামিলাগা ভেটরি কাজাগম’ (টিভিকে) নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন এই নায়ক। 

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিনেমা ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন বিজয়। এ ঘোষণার ৮ মাস পর প্রথমবার নিজের দলের জনসভায় ভাষণ দেন। গত বছরের ২৭ অক্টোবর, তামিলনাড়ু রাজ্যের বিক্রবান্দি শহরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ জনসভায় বিজয় বলেছিলেন—“রাজনীতি সিনেমা নয়, যুদ্ধক্ষেত্র।” 

গত ২১ আগস্ট, তামিল নাড়ুর মাদুরাইতে অনুষ্ঠিত হয় বিজয়ের রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় জনসভা। সেদিন সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সব উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। কলেজ শিক্ষার্থী, গৃহিণী, যুবক-যুবতীসহ নানা পেশার নানা বয়সি মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয় সমাবেশস্থল। কেউ কেউ ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জনসভায় যোগ দেন বলে ডেকান হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। 

বিজয়ের সমাবেশ মানুষের উপস্থিতি নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় বইছে। মঞ্চে দাঁড়িয়েও বক্তব্যে উত্তাপ ছড়ান এই অভিনেতা। বিজয় বলেন, “আমাদের আদর্শগত একমাত্র শত্রু বিজেপি, আর একমাত্র রাজনৈতিক শত্রু ডিএমকে। টিভিকে কোনো রাজনৈতিক সুবিধার জন্য গড়ে ওঠা দল নয়।”  

মাদুরাই পূর্ব আসন থেকে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিজয়। নির্বাচনে কোনো জোটে যাবেন না। বিজয় বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই হবে ক্ষমতাসীন ডিএমকে এবং টিভিকে দলের মধ্যে।” 

এ জনসভায় ৩৩ মিনিট বক্তব্য রাখেন বিজয়। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “একটি সিংহ জানে কীভাবে ভিড়ের মধ্যে থাকতে হয় এবং কীভাবে একা থাকতে হয়। এটি সবসময় আলাদা থাকে। একটি সিংহ কেবল শিকার করার জন্যই বের হয়, বিনোদনের জন্য নয়। এটি সবসময় জীবন্ত শিকারই করে থাকে।” 

থালাপাতি বিজয়ের বাবার নাম এসএ চন্দ্রশেখর। তিনি ছিলেন তামিল সিনেমার পরিচালক। মা শোভা চন্দ্রশেখর ছিলেন গায়িকা। মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ে নাম লেখান বিজয়। ‘বেট্রি’ নামের সিনেমাটি পরিচালনা করেন তার বাবা। প্রথম সিনেমার জন্য ৫০০ রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

রুপালি পর্দায় অভিষেকের আট বছর পর অর্থাৎ ১৯৯২ সালে ‘নালায়া থেরপু’ সিনেমার প্রথম নায়ক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। তার প্রথম ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘পুভে উনাকাগা’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে। তবে ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই অভিনেতার ‘থিরুমালাই’ সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যুক্ত করে। 

পরের বছর ‘ঘিল্লি’ সিনেমায় একজন কাবাডি খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অভিনয় করে সকলের মন কাড়েন বিজয়। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথম তামিল অভিনেতা হিসেবে বক্স অফিসে ৫০ কোটি রুপি আয় করেন। পরবর্তী সময়ে ‘থিরুপাচি’, ‘সাচেন’, ‘শিবাকাসি’, ‘পক্কিরি’, ‘কাবালান’, ‘নানবান’, ‘থুপ্পাক্কি’, ‘কাত্থি’, ‘মার্সাল’, ‘সরকার’, ‘মাস্টার’ প্রভৃতি সিনেমা তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

ট্যাগঃ

পর্দার মতো রাজনৈতিক মঞ্চেও বিজয় ঝড়

সময়ঃ ১২:০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে পা রেখে তামিল সিনেমার শীর্ষ নায়কদের একজনে পরিণত হয়েছেন থালাপাতি বিজয়। সর্বশেষ ‘থালাপাতি ৬৯’ সিনেমার জন্য ২৭৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ‘তামিলাগা ভেটরি কাজাগম’ (টিভিকে) নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন এই নায়ক। 

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিনেমা ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন বিজয়। এ ঘোষণার ৮ মাস পর প্রথমবার নিজের দলের জনসভায় ভাষণ দেন। গত বছরের ২৭ অক্টোবর, তামিলনাড়ু রাজ্যের বিক্রবান্দি শহরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ জনসভায় বিজয় বলেছিলেন—“রাজনীতি সিনেমা নয়, যুদ্ধক্ষেত্র।” 

গত ২১ আগস্ট, তামিল নাড়ুর মাদুরাইতে অনুষ্ঠিত হয় বিজয়ের রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় জনসভা। সেদিন সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সব উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। কলেজ শিক্ষার্থী, গৃহিণী, যুবক-যুবতীসহ নানা পেশার নানা বয়সি মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয় সমাবেশস্থল। কেউ কেউ ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জনসভায় যোগ দেন বলে ডেকান হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। 

বিজয়ের সমাবেশ মানুষের উপস্থিতি নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় বইছে। মঞ্চে দাঁড়িয়েও বক্তব্যে উত্তাপ ছড়ান এই অভিনেতা। বিজয় বলেন, “আমাদের আদর্শগত একমাত্র শত্রু বিজেপি, আর একমাত্র রাজনৈতিক শত্রু ডিএমকে। টিভিকে কোনো রাজনৈতিক সুবিধার জন্য গড়ে ওঠা দল নয়।”  

মাদুরাই পূর্ব আসন থেকে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিজয়। নির্বাচনে কোনো জোটে যাবেন না। বিজয় বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই হবে ক্ষমতাসীন ডিএমকে এবং টিভিকে দলের মধ্যে।” 

এ জনসভায় ৩৩ মিনিট বক্তব্য রাখেন বিজয়। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “একটি সিংহ জানে কীভাবে ভিড়ের মধ্যে থাকতে হয় এবং কীভাবে একা থাকতে হয়। এটি সবসময় আলাদা থাকে। একটি সিংহ কেবল শিকার করার জন্যই বের হয়, বিনোদনের জন্য নয়। এটি সবসময় জীবন্ত শিকারই করে থাকে।” 

থালাপাতি বিজয়ের বাবার নাম এসএ চন্দ্রশেখর। তিনি ছিলেন তামিল সিনেমার পরিচালক। মা শোভা চন্দ্রশেখর ছিলেন গায়িকা। মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ে নাম লেখান বিজয়। ‘বেট্রি’ নামের সিনেমাটি পরিচালনা করেন তার বাবা। প্রথম সিনেমার জন্য ৫০০ রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

রুপালি পর্দায় অভিষেকের আট বছর পর অর্থাৎ ১৯৯২ সালে ‘নালায়া থেরপু’ সিনেমার প্রথম নায়ক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। তার প্রথম ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘পুভে উনাকাগা’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে। তবে ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই অভিনেতার ‘থিরুমালাই’ সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যুক্ত করে। 

পরের বছর ‘ঘিল্লি’ সিনেমায় একজন কাবাডি খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অভিনয় করে সকলের মন কাড়েন বিজয়। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথম তামিল অভিনেতা হিসেবে বক্স অফিসে ৫০ কোটি রুপি আয় করেন। পরবর্তী সময়ে ‘থিরুপাচি’, ‘সাচেন’, ‘শিবাকাসি’, ‘পক্কিরি’, ‘কাবালান’, ‘নানবান’, ‘থুপ্পাক্কি’, ‘কাত্থি’, ‘মার্সাল’, ‘সরকার’, ‘মাস্টার’ প্রভৃতি সিনেমা তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়।