১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএসসহ বিভিন্ন পদে লড়ছেন ৩২ নারী প্রার্থী

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৬০০১ Time View

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৩টি ও সিনেটের পাঁচটি পদের বিপরীতে লড়াই করবেন ৩২০জন।

এবারের নির্বাচনে পুরুষ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদেরও ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা গেছে। কেন্দ্রীয় সংসদ ও সিনেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোট ৩২ জন নারী প্রার্থী। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়াও ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা রয়েছেন।

এর মধ্যে, ভিপি পদে একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাসিন খান (২০২০-২১)। পাশাপাশি তিনি সিনেট সদস্য পদেও লড়ছেন। জিএস পদে রয়েছেন পরমা পারমিতা (২০১৮-১৯), নুসরাত জাহান নুপুর (২০১৯-২০), আছিয়া খাতুন (২০১৯-২০) ও আফরিন জাহান (২০১৮-১৯)।

এজিএস পদে আছেন জান্নাত আরা নওশিন (২০২১-২২) ও ছাত্রদল সমর্থিত জাহিন বিশ্বাস এষা (২০২০-২১), ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ছাত্রদল সমর্থিত নার্গিস খাতুন (২০১৯-২০)।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আছেন সারাফ আনজুম বিভা (২০২১-২২), মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবিদা আক্তার লাবনী (২০২১-২২), ছাত্রদল মনোনীত মোছা. স্বপ্না আক্তার (২০১৮-১৯), শিবির সমর্থিত সাইয়িদা হাফছা (২০১৯-২০), মোছা. সুমাইয়া মুস্তারিন মুন (২০১৯-২০), হেমা আক্তার ইভা (২০১৮-১৯), সামসাদ জাহান (২০১৯-২০) ও মোছা. নিশা আক্তার (২০২০-২১)।

সহকারী মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে আছেন হাসনাহেনা বর্ষা (২০২০-২১), নুসরাত জাহান অহনা (২০২২-২৩), নাদিয়া হক (২০২২-২৩), জান্নাতুল ফেরদৌসি তৃষা জান্নাত (২০২০-২১), শ্রেয়সী রায় (২০২১-২২), শিবির মনোনীত সামিয়া জাহান (২০২০-২১), ফারহিন শবনম শায়ন্তি (২০২৪-২৫), নূসরাত আফরিন (২০১৯-২০) এবং ছাত্রদল সমর্থিত নূসরাত ঈষিতা (২০১৯-২০)।

সহকারী সম্পাদক (পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোছা. ইশিথা পারভিন তিথি (২০২০-২১) ও শিবির সমর্থিত মাসুমা ইসরাত মুমু (২০২২-২৩)।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তামান্না আক্তার (২০২২-২৩), মোছা. জান্নাতুন নাঈম তুহিনা (২০১৯-২০), ইউষা জান্নাত সোহা (২০২২-২৩), রেনেসা রাত্রী (২০২০-২১) ও তাহরিমা আক্তার (২০১৮-১৯)।

এছাড়া, সিনেটের পাঁচটি পদের বিপরীতে মনোনয়ন নিয়েছেন ৬০ জন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৭ জন। তারা হলেন- তাসিন খান, মোছা. জান্নাতুন নাঈম তুহিনা, ইউষা জান্নাত সোহা, রেনেসা রাত্রী, পরমা পারমিতা, তাহরিমা আক্তার ও আফরীন জাহান।

সবমিলিয়ে রাকসুর আসন্ন নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের এমন অংশগ্রহণ আগে দেখা যায়নি। 

শিক্ষার্থীদের মতে, এত বড় সংখ্যক নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ কেবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে বৈচিত্র্যময় করছে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিতে নারীর নেতৃত্ব, নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভূমিকা ক্রমশ শক্তিশালী করে তুলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজকল্যাণ বিষয়ক সহকারী সম্পাদক লুবনা শারমিন বলেন, “এটা আমাদের জন্য একটা বড় অর্জন। একটা বিগ রেভুলুশন ঘটেছে এবার। আমি এটাকে খুবই পজিটিভভাবে দেখছি। সবরকম ভয়ভীতি কাটিয়ে তারা যে অংশগ্রহণ করেছে এটাই অনেক। আমরা আশাবাদী সামনে আরো নারী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।”

জিএস প্রার্থী নুসরাত জাহান নুপুর বলেন, “রাকসু যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে পরিচালিত একটি গণতান্ত্রিক মঞ্চ, তাই শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তার লক্ষ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ এবং ছাত্রবান্ধব পরিবেশে গড়ে তোলা।”

ভিপি প্রার্থী তাসিন খান বলেন, “তফসিল ঘোষণার আগেই সাইবার টিম গঠনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সাইবার বুলিংয়ের কারণে অনেক নারী শিক্ষার্থী আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি সাইবার টিম গঠন করলেও তাদের কার্যক্রম এখনো স্পষ্ট নয়। এতে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনাগ্রহ দেখা দিয়েছে, যা হতাশাজনক।”

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

রাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএসসহ বিভিন্ন পদে লড়ছেন ৩২ নারী প্রার্থী

সময়ঃ ১২:০০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৩টি ও সিনেটের পাঁচটি পদের বিপরীতে লড়াই করবেন ৩২০জন।

এবারের নির্বাচনে পুরুষ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদেরও ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা গেছে। কেন্দ্রীয় সংসদ ও সিনেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোট ৩২ জন নারী প্রার্থী। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়াও ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা রয়েছেন।

এর মধ্যে, ভিপি পদে একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাসিন খান (২০২০-২১)। পাশাপাশি তিনি সিনেট সদস্য পদেও লড়ছেন। জিএস পদে রয়েছেন পরমা পারমিতা (২০১৮-১৯), নুসরাত জাহান নুপুর (২০১৯-২০), আছিয়া খাতুন (২০১৯-২০) ও আফরিন জাহান (২০১৮-১৯)।

এজিএস পদে আছেন জান্নাত আরা নওশিন (২০২১-২২) ও ছাত্রদল সমর্থিত জাহিন বিশ্বাস এষা (২০২০-২১), ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ছাত্রদল সমর্থিত নার্গিস খাতুন (২০১৯-২০)।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আছেন সারাফ আনজুম বিভা (২০২১-২২), মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবিদা আক্তার লাবনী (২০২১-২২), ছাত্রদল মনোনীত মোছা. স্বপ্না আক্তার (২০১৮-১৯), শিবির সমর্থিত সাইয়িদা হাফছা (২০১৯-২০), মোছা. সুমাইয়া মুস্তারিন মুন (২০১৯-২০), হেমা আক্তার ইভা (২০১৮-১৯), সামসাদ জাহান (২০১৯-২০) ও মোছা. নিশা আক্তার (২০২০-২১)।

সহকারী মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে আছেন হাসনাহেনা বর্ষা (২০২০-২১), নুসরাত জাহান অহনা (২০২২-২৩), নাদিয়া হক (২০২২-২৩), জান্নাতুল ফেরদৌসি তৃষা জান্নাত (২০২০-২১), শ্রেয়সী রায় (২০২১-২২), শিবির মনোনীত সামিয়া জাহান (২০২০-২১), ফারহিন শবনম শায়ন্তি (২০২৪-২৫), নূসরাত আফরিন (২০১৯-২০) এবং ছাত্রদল সমর্থিত নূসরাত ঈষিতা (২০১৯-২০)।

সহকারী সম্পাদক (পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোছা. ইশিথা পারভিন তিথি (২০২০-২১) ও শিবির সমর্থিত মাসুমা ইসরাত মুমু (২০২২-২৩)।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তামান্না আক্তার (২০২২-২৩), মোছা. জান্নাতুন নাঈম তুহিনা (২০১৯-২০), ইউষা জান্নাত সোহা (২০২২-২৩), রেনেসা রাত্রী (২০২০-২১) ও তাহরিমা আক্তার (২০১৮-১৯)।

এছাড়া, সিনেটের পাঁচটি পদের বিপরীতে মনোনয়ন নিয়েছেন ৬০ জন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৭ জন। তারা হলেন- তাসিন খান, মোছা. জান্নাতুন নাঈম তুহিনা, ইউষা জান্নাত সোহা, রেনেসা রাত্রী, পরমা পারমিতা, তাহরিমা আক্তার ও আফরীন জাহান।

সবমিলিয়ে রাকসুর আসন্ন নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের এমন অংশগ্রহণ আগে দেখা যায়নি। 

শিক্ষার্থীদের মতে, এত বড় সংখ্যক নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ কেবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে বৈচিত্র্যময় করছে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিতে নারীর নেতৃত্ব, নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভূমিকা ক্রমশ শক্তিশালী করে তুলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজকল্যাণ বিষয়ক সহকারী সম্পাদক লুবনা শারমিন বলেন, “এটা আমাদের জন্য একটা বড় অর্জন। একটা বিগ রেভুলুশন ঘটেছে এবার। আমি এটাকে খুবই পজিটিভভাবে দেখছি। সবরকম ভয়ভীতি কাটিয়ে তারা যে অংশগ্রহণ করেছে এটাই অনেক। আমরা আশাবাদী সামনে আরো নারী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।”

জিএস প্রার্থী নুসরাত জাহান নুপুর বলেন, “রাকসু যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে পরিচালিত একটি গণতান্ত্রিক মঞ্চ, তাই শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তার লক্ষ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ এবং ছাত্রবান্ধব পরিবেশে গড়ে তোলা।”

ভিপি প্রার্থী তাসিন খান বলেন, “তফসিল ঘোষণার আগেই সাইবার টিম গঠনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সাইবার বুলিংয়ের কারণে অনেক নারী শিক্ষার্থী আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি সাইবার টিম গঠন করলেও তাদের কার্যক্রম এখনো স্পষ্ট নয়। এতে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনাগ্রহ দেখা দিয়েছে, যা হতাশাজনক।”