০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অন্তিম মুহূর্তে সালাহর গোলে লিভারপুলের জয়

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৬০০১ Time View

শেষ পর্যন্ত নাটকীয়তা দিয়েই যেন লিভারপুল জিততে অভ্যস্ত। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর নিখুঁত পেনাল্টি আবারও দলকে রক্ষা করল। রোববার রাতে বার্নলির মাঠ টার্ফ মুরে কঠিন লড়াই শেষে ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়ে মৌসুমে টানা চতুর্থ ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেল আর্নে স্লটের শিষ্যরা।

এর আগে তাদের তিনটি জয়ই এসেছিল ৮৩ মিনিটের পরের গোল থেকে। এবারও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সমর্থকদের। প্রায় প্রাপ্য এক পয়েন্ট হাতছাড়া করল লড়াকু বার্নলি।

নতুন মৌসুমে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় ছিল লিভারপুল। এমন ম্যাচে হয়তো দরকার ছিল তাদের রেকর্ড সাইনিং আলেকজান্ডার ইসাকের উপস্থিতি। নিউক্যাসল থেকে ১২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে আসা সুইডিশ ফরোয়ার্ডকে দেখা যায়নি স্কোয়াডে, প্রস্তুতির অভাব আর ক্লাবের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে। তবে স্লট জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে তাকে পাওয়া যাবে।

বার্নলির কৌশল ছিল একেবারেই স্পষ্ট, দেয়াল তুলে রক্ষণ সামলানো। ৫-৪-১ ফরমেশনে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার চেষ্টা। এমনকি লেসলি উগোচুকুর লাল কার্ড দেখেও তারা ভেঙে পড়েনি। কিন্তু ৯৫ মিনিটে জেরেমি ফ্রিমপংয়ের ক্রসে হ্যানিবাল মেজব্রির হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টি দেন।

সালাহ আগের দুটি পেনাল্টি মিস করেছিলেন। তবে এবার শান্তভাবে জালে পাঠান বল। এর সঙ্গে তিনি প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে ১৮৮ গোল করে অ্যান্ডি কোলকে পেছনে ফেলে উঠলেন চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে। একই সঙ্গে লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ লিগ পেনাল্টি গোলের মালিকও হলেন। ৩৫ গোল নিয়ে ছাড়িয়ে গেলেন কিংবদন্তি বিলি লিডেলকে।

পুরো ম্যাচে লিভারপুলের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। ২৭টি শট থেকে মাত্র চারটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল তারা। কিন্তু তবুও বার্নলির রক্ষণ ভাঙতে গিয়ে ঘাম ঝরেছে। প্রথমার্ধে ইব্রাহিমা কোনাতে কাছ থেকে হেড মিস করেন, হুগো একিতিকে গোলমুখে শট নিতে ব্যর্থ হন। অ্যান্ডি রবার্টসনের দূরপাল্লার শটই ছিল বিরতির আগে একমাত্র অন টার্গেট প্রচেষ্টা।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও চাপে পড়ে বার্নলি। আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন, কনর ব্রাডলি নামলে দোমিনিক সোবোস্লাই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তিনিই বার্নলি গোলরক্ষক মার্টিন দুব্রাভকাকে প্রথম কঠিন সেভে বাধ্য করেন।

রায়ান গ্র্যাভেনবার্চ ও ফ্লোরিয়ান ভির্টজ সুযোগ নষ্ট করেন। পরে রবার্টসন ও ফেদেরিকো কিয়েসাও হেডারে ব্যর্থ হন। ফ্রিমপংও কাছ থেকে গোল মিস করেন। তবে শেষমেশ তিনিই এনে দিলেন ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।

অবশেষে সালাহর নির্ভুল শটে টানা চতুর্থ জয় নিশ্চিত হলো লিভারপুলের। বার্নলির কঠিন প্রতিরোধ ভেঙে লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র শতভাগ রেকর্ড ধরে রাখল। শীর্ষে তাদের পয়েন্ট ব্যবধানও বাড়ল। আর্সেনালের থেকে তিন পয়েন্ট এগিয়ে গেল স্লটের দল।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

অন্তিম মুহূর্তে সালাহর গোলে লিভারপুলের জয়

সময়ঃ ১২:০৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শেষ পর্যন্ত নাটকীয়তা দিয়েই যেন লিভারপুল জিততে অভ্যস্ত। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর নিখুঁত পেনাল্টি আবারও দলকে রক্ষা করল। রোববার রাতে বার্নলির মাঠ টার্ফ মুরে কঠিন লড়াই শেষে ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়ে মৌসুমে টানা চতুর্থ ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেল আর্নে স্লটের শিষ্যরা।

এর আগে তাদের তিনটি জয়ই এসেছিল ৮৩ মিনিটের পরের গোল থেকে। এবারও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সমর্থকদের। প্রায় প্রাপ্য এক পয়েন্ট হাতছাড়া করল লড়াকু বার্নলি।

নতুন মৌসুমে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় ছিল লিভারপুল। এমন ম্যাচে হয়তো দরকার ছিল তাদের রেকর্ড সাইনিং আলেকজান্ডার ইসাকের উপস্থিতি। নিউক্যাসল থেকে ১২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে আসা সুইডিশ ফরোয়ার্ডকে দেখা যায়নি স্কোয়াডে, প্রস্তুতির অভাব আর ক্লাবের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে। তবে স্লট জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে তাকে পাওয়া যাবে।

বার্নলির কৌশল ছিল একেবারেই স্পষ্ট, দেয়াল তুলে রক্ষণ সামলানো। ৫-৪-১ ফরমেশনে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার চেষ্টা। এমনকি লেসলি উগোচুকুর লাল কার্ড দেখেও তারা ভেঙে পড়েনি। কিন্তু ৯৫ মিনিটে জেরেমি ফ্রিমপংয়ের ক্রসে হ্যানিবাল মেজব্রির হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টি দেন।

সালাহ আগের দুটি পেনাল্টি মিস করেছিলেন। তবে এবার শান্তভাবে জালে পাঠান বল। এর সঙ্গে তিনি প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে ১৮৮ গোল করে অ্যান্ডি কোলকে পেছনে ফেলে উঠলেন চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে। একই সঙ্গে লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ লিগ পেনাল্টি গোলের মালিকও হলেন। ৩৫ গোল নিয়ে ছাড়িয়ে গেলেন কিংবদন্তি বিলি লিডেলকে।

পুরো ম্যাচে লিভারপুলের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। ২৭টি শট থেকে মাত্র চারটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল তারা। কিন্তু তবুও বার্নলির রক্ষণ ভাঙতে গিয়ে ঘাম ঝরেছে। প্রথমার্ধে ইব্রাহিমা কোনাতে কাছ থেকে হেড মিস করেন, হুগো একিতিকে গোলমুখে শট নিতে ব্যর্থ হন। অ্যান্ডি রবার্টসনের দূরপাল্লার শটই ছিল বিরতির আগে একমাত্র অন টার্গেট প্রচেষ্টা।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও চাপে পড়ে বার্নলি। আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন, কনর ব্রাডলি নামলে দোমিনিক সোবোস্লাই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তিনিই বার্নলি গোলরক্ষক মার্টিন দুব্রাভকাকে প্রথম কঠিন সেভে বাধ্য করেন।

রায়ান গ্র্যাভেনবার্চ ও ফ্লোরিয়ান ভির্টজ সুযোগ নষ্ট করেন। পরে রবার্টসন ও ফেদেরিকো কিয়েসাও হেডারে ব্যর্থ হন। ফ্রিমপংও কাছ থেকে গোল মিস করেন। তবে শেষমেশ তিনিই এনে দিলেন ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।

অবশেষে সালাহর নির্ভুল শটে টানা চতুর্থ জয় নিশ্চিত হলো লিভারপুলের। বার্নলির কঠিন প্রতিরোধ ভেঙে লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র শতভাগ রেকর্ড ধরে রাখল। শীর্ষে তাদের পয়েন্ট ব্যবধানও বাড়ল। আর্সেনালের থেকে তিন পয়েন্ট এগিয়ে গেল স্লটের দল।