প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে এফডিসির ইট-কাঠের সঙ্গে মিশে ছিলেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। তার নির্দেশনায় প্রাণ পেয়েছে অসংখ্য সিনেমা, ঝলমলে আলোয় ফুটে উঠেছে তারকাদের সোনালি মুহূর্ত। এবার এই অভিজ্ঞ চলচ্চিত্রকর্মী বিদায় জানাচ্ছেন প্রিয় কর্মস্থলকে, ফিরছেন আপন ভিটায়।
দীর্ঘ ৪৭ বছর এফডিসিতে শিল্প নির্দেশকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন খোরশেদ আলম। বর্তমানে শারীরিকভাবে তিনি ভালো নেই। জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে এখন একটাই ইচ্ছা—জন্মস্থানে ফিরে গিয়ে সংসার টেনে নেওয়া। সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এসেছেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও শিল্পীরা।
চলচ্চিত্র সাংবাদিক মাজহার বাবু, আহমেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, রঞ্জু সরকার, এ এইচ মুরাদ, আসিফ আলম, রুহুল আমিন ভূঁইয়া এবং নির্মাতা গাজী মাহবুব এই উদ্যোগ নেন। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান, চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি, চিত্রনায়ক মুন্না খানসহ আরও কয়েকজন প্রযোজক ও নির্মাতা।
জায়েদ খান বলেন, “খোরশেদ আলম ভাইকে আমি অসংখ্য সিনেমায় কাজ করতে দেখেছি। লম্বা সময় ধরে এফডিসির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমার সেট তৈরি হয়েছে তার হাতে। এখন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে যদি আমরা তার হাতে কিছু অর্থ তুলে দিতে পারি, সেটি আমাদের দায়িত্ব। সাংবাদিকরা যারা এ উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
চিত্রনায়িকা ববি বলেন, “তিনি আমাদের অসংখ্য সিনেমার নেপথ্যে ছিলেন। সারাজীবন এফডিসির জন্য দিয়েছেন। বিদায়ের প্রহরে তার পাশে দাঁড়াতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। আশা করি, চলচ্চিত্রের অন্যরাও এগিয়ে আসবেন।”
আগামী বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হবে খোরশেদ আলমকে। সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকর্মীদের উপস্থিতিতে হবে এই সম্মাননা অনুষ্ঠান।
এবারই প্রথম নয়, এর আগে এফডিসির ঝালমুড়ি বিক্রেতা প্রয়াত আব্দুল মান্নান মোল্লাকে বিদায় দেন উক্ত সাংবাদিকরা। ১৯৭২ সাল থেকে তিনি চলচ্চিত্রপাড়ায় ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তিনদিনব্যাপী মুড়ি উৎসবের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ সহায়তা করে তাকে বিদায় দেওয়া হয়।
Sangbad365 Admin 













