জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ২২:৪৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আপডেট: ২২:৫৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন এনেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতদিন এই নিয়োগ পরিচালনা করত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ। তবে নতুন নিয়মে এ ক্ষমতা আর তাদের হাতে থাকছে না। এখন থেকে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে নিয়োগের পরীক্ষা, মূল্যায়ন ও সুপারিশ করা হবে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জারি করা এক পরিপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষক ব্যতীত অন্যান্য এমপিও পদে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী সুপারিশ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এসব পদে রয়েছে: ট্রেড সহকারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, হিসাব সহকারী, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, গবেষণা বা ল্যাব সহকারী, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নৈশপ্রহরী, আয়া ও অফিস সহায়ক।
বর্তমানে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ এনটিআরসিএর মাধ্যমে পরীক্ষা ও সুপারিশের ভিত্তিতে হয়। কিন্তু কর্মচারীসহ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে হয়ে আসছিল। এসব পদে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবিষ্যতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়োগও এনটিআরসিএর মাধ্যমে করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কর্মচারী নিয়োগে নতুন নিয়ম কার্যকর করা হলো।
নতুন নিয়মে ডিসি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটিতে থাকবেন জেলার সবচেয়ে পুরনো সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (বা প্রতিনিধি), শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি (পরিদর্শকের নিচে নয়), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক/সহকারী পরিচালক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (সদস্যসচিব)। এই কমিটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল প্রস্তুত করবে এবং নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে।
সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের এক মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র পাঠাতে হবে এবং বিষয়টি মুঠোফোনে জানাতে হবে। বিলম্ব হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিতসহ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পরিচালনা কমিটি বাতিলের সুপারিশ করা হবে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শূন্য পদের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রস্তাব দিতে হবে। প্রাপ্যতা ছাড়াই নিয়োগের প্রস্তাব করা হলে দায়ভারও তার ওপর বর্তাবে।
ঢাকা/এএএম/বকুল
Sangbad365 Admin 













