০৩:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাইফের ছক্কা বৃষ্টিতে আফগানিস্তান হোয়াইটওয়াশ

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৬০১৬ Time View

ছোট লক্ষ্য। ভালো শুরুর পর একেবারেই ছন্দে বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। এরপর তীব্র লড়াই। নখ কামড়ানো মুহূর্ত৷ স্নায়ুযুদ্ধ। শেষমেষ বিজয়ের হাসি। 

শারজাহতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটির চিত্র একেবারেই একই রকম৷ প্রতিটি ম্যাচের রিপোর্টই যেন হুবহু আগের ম্যাচের মত। পার্থক্য থাকে কেবল ম্যাচের নায়কের। 

২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আজ আফগানিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করার মিশনে মাঠে নামে। সেই লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে আজকেই। ৪ ও ২ উইকেটের পর বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। সবচেয়ে বেশি ১২ বল হাতে রেখে আজকেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে। আগের দুই ম্যাচে বল বাকি ছিল যথাক্রমে ৮টি ও ৫টি। 

বড় রান না হওয়াতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আমেজ ঠিক পাওয়া যায়নি৷ তিন ম্যাচেই আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং পায়। দিনকে দিন রান কেবল কমেছে৷ প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৫১ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪৭। আজ আরো ৪ রান কমেছে, ৯ উইকেটে ১৪৩।  

বাংলাদেশের জয়ের নতুন নায়ক সাইফ হাসান ছক্কা বৃষ্টি নামান শারজাহতে। ৩৮ বলে ৭টি ছক্কা ও ২টি চারে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সাইফ। দু-একটি শট এদিক-সেদিক হয়েছে। নয়তো পুরো ইনিংসই ছিল শিল্পীর আরাধ্য ক্যানভাস। যেখানে তুলির আঁচড় ছড়িয়ে সাইফ ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা। 

এর আগে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে মাত্র তিনবার। সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের সিরিজে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করেছিল। অপর দুটি ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ড সফরে এবং ২০২২ সালে ঘরের মাঠে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার আফগানদের নাকানিচুবানি খাওয়ালো দাপুটে বাংলাদেশ। যদিও ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে তাদেরকে ২-০ তে হারানোর অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। 

আগের দুই ম্যাচের মত আজও বোলিংয়ে বাংলাদেশ দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়েছে। আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডের নাটাইটা এক মুহূর্তের জন্যও ছাড় দেননি বোলাররা। নিয়মিত উইকেট নিয়ে তাদেরকে থিতু হতে দেননি৷ সঙ্গে রানের চাকায় লাগাম টেনে রেখেছিলেন।

স্কোরবোর্ডে রান যখন ৯৮, আফগানিস্তানের ৮ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সেখান থেকে আফগানিস্তান ১৪৩ রান করবে সেটা কেউ কল্পনাও করেনি। বোলিংয়ে শেষ দিকে একটু ঢিলেমি দেওয়ায় কয়েকটি বাউন্ডারি এসেছে মুজিব ও দারউইসের ব্যাটে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন দারউইস। মুজিব ২৩ রান করে কিছুটা মান রাখেন। 

সাইফুদ্দিন তিন ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের সেরা। দুইটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। 

স্কোরবোর্ড যেমনই থাকুক বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ছোটখাটো ধস নামবে তা যেন অলিখিত এক নিয়ম! আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ওপেনার ইমন ১৪ রানে সাজঘরে ফেরেন৷ ছটফট করতে করতে তানজিদ ৩৩ রানে আউট হন। তাদের পথ ধরে জাকের ও শামীম দলকে খাদের কিনারায় ফেলে আসেন। 

শামীম যখন আউট হন বাংলাদেশ জয়ের থেকে ৩৫ রানে দূরে৷ অনায়েসে ব্যাটিং করতে থাকা সাইফের সঙ্গী হন আগের দুই ম্যাচের ফিনিশার সোহান। তাদের প্রতি আক্রমণে গিয়ে ব্যাটিংয়েই বাংলাদেশ বিজয়ের পতাকা উড়ায়।  

এশিয়া কাপের ব্যর্থতার পর প্রবল সমালোচনায় থাকা দল আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে কিছুটা স্বস্তি পেল। দুই দল আবুধাবিতে তিন ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। ৮, ১১ ও ১৪ অক্টোবর ম্যাচগুলো হবে। 

ট্যাগঃ

সাইফের ছক্কা বৃষ্টিতে আফগানিস্তান হোয়াইটওয়াশ

সময়ঃ ১২:০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

ছোট লক্ষ্য। ভালো শুরুর পর একেবারেই ছন্দে বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। এরপর তীব্র লড়াই। নখ কামড়ানো মুহূর্ত৷ স্নায়ুযুদ্ধ। শেষমেষ বিজয়ের হাসি। 

শারজাহতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটির চিত্র একেবারেই একই রকম৷ প্রতিটি ম্যাচের রিপোর্টই যেন হুবহু আগের ম্যাচের মত। পার্থক্য থাকে কেবল ম্যাচের নায়কের। 

২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আজ আফগানিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করার মিশনে মাঠে নামে। সেই লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে আজকেই। ৪ ও ২ উইকেটের পর বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। সবচেয়ে বেশি ১২ বল হাতে রেখে আজকেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে। আগের দুই ম্যাচে বল বাকি ছিল যথাক্রমে ৮টি ও ৫টি। 

বড় রান না হওয়াতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আমেজ ঠিক পাওয়া যায়নি৷ তিন ম্যাচেই আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং পায়। দিনকে দিন রান কেবল কমেছে৷ প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৫১ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪৭। আজ আরো ৪ রান কমেছে, ৯ উইকেটে ১৪৩।  

বাংলাদেশের জয়ের নতুন নায়ক সাইফ হাসান ছক্কা বৃষ্টি নামান শারজাহতে। ৩৮ বলে ৭টি ছক্কা ও ২টি চারে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সাইফ। দু-একটি শট এদিক-সেদিক হয়েছে। নয়তো পুরো ইনিংসই ছিল শিল্পীর আরাধ্য ক্যানভাস। যেখানে তুলির আঁচড় ছড়িয়ে সাইফ ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা। 

এর আগে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে মাত্র তিনবার। সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের সিরিজে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করেছিল। অপর দুটি ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ড সফরে এবং ২০২২ সালে ঘরের মাঠে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার আফগানদের নাকানিচুবানি খাওয়ালো দাপুটে বাংলাদেশ। যদিও ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে তাদেরকে ২-০ তে হারানোর অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। 

আগের দুই ম্যাচের মত আজও বোলিংয়ে বাংলাদেশ দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়েছে। আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডের নাটাইটা এক মুহূর্তের জন্যও ছাড় দেননি বোলাররা। নিয়মিত উইকেট নিয়ে তাদেরকে থিতু হতে দেননি৷ সঙ্গে রানের চাকায় লাগাম টেনে রেখেছিলেন।

স্কোরবোর্ডে রান যখন ৯৮, আফগানিস্তানের ৮ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সেখান থেকে আফগানিস্তান ১৪৩ রান করবে সেটা কেউ কল্পনাও করেনি। বোলিংয়ে শেষ দিকে একটু ঢিলেমি দেওয়ায় কয়েকটি বাউন্ডারি এসেছে মুজিব ও দারউইসের ব্যাটে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন দারউইস। মুজিব ২৩ রান করে কিছুটা মান রাখেন। 

সাইফুদ্দিন তিন ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের সেরা। দুইটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। 

স্কোরবোর্ড যেমনই থাকুক বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ছোটখাটো ধস নামবে তা যেন অলিখিত এক নিয়ম! আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ওপেনার ইমন ১৪ রানে সাজঘরে ফেরেন৷ ছটফট করতে করতে তানজিদ ৩৩ রানে আউট হন। তাদের পথ ধরে জাকের ও শামীম দলকে খাদের কিনারায় ফেলে আসেন। 

শামীম যখন আউট হন বাংলাদেশ জয়ের থেকে ৩৫ রানে দূরে৷ অনায়েসে ব্যাটিং করতে থাকা সাইফের সঙ্গী হন আগের দুই ম্যাচের ফিনিশার সোহান। তাদের প্রতি আক্রমণে গিয়ে ব্যাটিংয়েই বাংলাদেশ বিজয়ের পতাকা উড়ায়।  

এশিয়া কাপের ব্যর্থতার পর প্রবল সমালোচনায় থাকা দল আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে কিছুটা স্বস্তি পেল। দুই দল আবুধাবিতে তিন ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। ৮, ১১ ও ১৪ অক্টোবর ম্যাচগুলো হবে।