০১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেল সালাহর মিশর

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৬০১০ Time View

মোহাম্মদ সালাহর নেতৃত্বে দুর্দান্ত এক অভিযানের পর অবশেষে মিশর নিশ্চিত করল ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা। জিবুতির বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের মধ্য দিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ‘গ্রুপ-এ’-এর শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে আফ্রিকার দলটি।

এই জয়ে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে না খেলার আক্ষেপও মুছে গেল এক প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীর মনে। ১৯৩৪, ১৯৯০ ও ২০১৮ সালের পর এটি হবে মিশরের চতুর্থ বিশ্বকাপ অংশগ্রহণ।

হোসাম হাসানের অধীনে পুরো বাছাইপর্বজুড়ে মিশর ছিল প্রায় নিখুঁত। রক্ষণে শৃঙ্খলা, আক্রমণে আগুন; দুটোরই এক অপূর্ব মিশেল ঘটিয়েছেন কোচ।

পুরো অভিযানে দলটি করেছে ৯ ম্যাচে ১৯ গোল। যার মধ্যে ৯টিই সালাহর। গোল পেয়েছেন ত্রেজেগে (৫) এবং জিজো (২)।
রক্ষণভাগে মিশর ছিল ততটাই অনবদ্য, মাত্র দুটি গোল হজম করেছে পুরো বাছাইপর্বে! সাতটি ম্যাচে ক্লিন শিট রেখেছেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক মোহাম্মদ এল শেনাওয়ি, যিনি এখনো দলের অদম্য ভরসা।

বর্তমান মিশরীয় দলটি যেন অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের এক মেলবন্ধন। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা সালাহ ও ত্রেজেগে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিজ্ঞতার আলোয়। আর তরুণ ওমর মারমুশ ও মোস্তাফা মোহাম্মদ যোগ করছেন গতি ও তীক্ষ্ণতা।

রক্ষণভাগে ফরাসি ক্লাব নিসে খেলা মোহাম্মদ আব্দেলমনেম হয়ে উঠেছেন ভরসার নাম। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে এল শেনাওয়ি গড়েছেন এক অবিচল রক্ষণ। ক্লাব আল আহলির হয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্সও যেন তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করেছে।

২০২৬ সালের বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে। আর সেখানে মিশর যাচ্ছে এক নতুন বিশ্বাস নিয়ে, ইতিহাস পাল্টাতে।

তিনবার বিশ্বকাপ খেলেও এখনো কোনো ম্যাচে জয় পায়নি ফারাওরা। তবে এবার তাদের দলে আছে এমন ভারসাম্য ও ক্ষুধা, যা বদলে দিতে পারে সেই পুরনো গল্প।

যেভাবে কাতারে মরক্কো ইতিহাস গড়েছিল সেমিফাইনালে উঠে, তেমনি অনেকেই বিশ্বাস করছেন আফ্রিকার পরবর্তী রূপকথা লিখতে পারে মিশরই।

ট্যাগঃ

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেল সালাহর মিশর

সময়ঃ ১২:০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

মোহাম্মদ সালাহর নেতৃত্বে দুর্দান্ত এক অভিযানের পর অবশেষে মিশর নিশ্চিত করল ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা। জিবুতির বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের মধ্য দিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ‘গ্রুপ-এ’-এর শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে আফ্রিকার দলটি।

এই জয়ে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে না খেলার আক্ষেপও মুছে গেল এক প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীর মনে। ১৯৩৪, ১৯৯০ ও ২০১৮ সালের পর এটি হবে মিশরের চতুর্থ বিশ্বকাপ অংশগ্রহণ।

হোসাম হাসানের অধীনে পুরো বাছাইপর্বজুড়ে মিশর ছিল প্রায় নিখুঁত। রক্ষণে শৃঙ্খলা, আক্রমণে আগুন; দুটোরই এক অপূর্ব মিশেল ঘটিয়েছেন কোচ।

পুরো অভিযানে দলটি করেছে ৯ ম্যাচে ১৯ গোল। যার মধ্যে ৯টিই সালাহর। গোল পেয়েছেন ত্রেজেগে (৫) এবং জিজো (২)।
রক্ষণভাগে মিশর ছিল ততটাই অনবদ্য, মাত্র দুটি গোল হজম করেছে পুরো বাছাইপর্বে! সাতটি ম্যাচে ক্লিন শিট রেখেছেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক মোহাম্মদ এল শেনাওয়ি, যিনি এখনো দলের অদম্য ভরসা।

বর্তমান মিশরীয় দলটি যেন অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের এক মেলবন্ধন। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা সালাহ ও ত্রেজেগে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিজ্ঞতার আলোয়। আর তরুণ ওমর মারমুশ ও মোস্তাফা মোহাম্মদ যোগ করছেন গতি ও তীক্ষ্ণতা।

রক্ষণভাগে ফরাসি ক্লাব নিসে খেলা মোহাম্মদ আব্দেলমনেম হয়ে উঠেছেন ভরসার নাম। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে এল শেনাওয়ি গড়েছেন এক অবিচল রক্ষণ। ক্লাব আল আহলির হয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্সও যেন তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করেছে।

২০২৬ সালের বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে। আর সেখানে মিশর যাচ্ছে এক নতুন বিশ্বাস নিয়ে, ইতিহাস পাল্টাতে।

তিনবার বিশ্বকাপ খেলেও এখনো কোনো ম্যাচে জয় পায়নি ফারাওরা। তবে এবার তাদের দলে আছে এমন ভারসাম্য ও ক্ষুধা, যা বদলে দিতে পারে সেই পুরনো গল্প।

যেভাবে কাতারে মরক্কো ইতিহাস গড়েছিল সেমিফাইনালে উঠে, তেমনি অনেকেই বিশ্বাস করছেন আফ্রিকার পরবর্তী রূপকথা লিখতে পারে মিশরই।