০৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভাবের কারণে গাছের পাতা খেয়েছি, তবু হাল ছাড়িনি: সুচন্দা

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৬০০১ Time View

প্রখ্যাত নির্মাতা-সাহিত্যিক শহীদ জহির রায়হান ও কিংবদন্তি অভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দার ছেলে তপু রায়হান আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

রবিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তপু রায়হানের পাশে ছিলেন তার মা সুচন্দা। সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে সুচন্দা ফিরে যান জীবনের দুঃসহ সময়ে—সংগ্রাম, ত্যাগ আর অভাবের দিনে। আবেগভরা কণ্ঠে বললেন, “নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। আমার ছেলে, জহির রায়হানের ছেলে যেন মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে—এটাই আমার কামনা। আজ ওর বাবা বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই খুশি হতেন। আমি মা হয়ে বলতে পারি, তপুর ভেতরে মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আছে।” 

স্বাধীনতার স্মৃতি টেনে সুচন্দা বলেন, “স্বাধীনতার জন্য যখন মাঠে নেমেছিলাম, তখন পায়ে জুতা ছিল কি না, সেটা ভাবিনি। শুধু জানতাম, এই দেশ স্বাধীন হতে হবে, মানুষকে মুক্ত করতে হবে। সংসদ বা রাষ্ট্রপতি কে, সেটা আমাদের জানার প্রয়োজন ছিল না—আমরা জানতাম কেবল দেশ আর দেশের মানুষ।” 

জহির রায়হানকে স্মরণ করে সুচন্দা বলেন, “তিনি রাজনীতি করতেন না, কিন্তু রাজনীতিকে লালন করতেন। তার লেখনি ও চলচ্চিত্রে দেশ ও মানুষের কথা ছিল। নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলেন সবসময়।” 

এরপর তিনি উঠে এলেন জীবনের কঠিনতম সময়ের দিকে। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এমন সময়ও গেছে, যখন অভাবের কারণে গাছের পাতা খেয়েছি। তখন প্রায়ই খাবার জুটত না। তবু হাল ছাড়িনি। সন্তানদের মানুষ করেছি। বিশ্বাস ছিল, তারা তাদের বাবার মতো মানবিক ও দেশপ্রেমিক হবে।” 

ছোট ছেলে তপু রায়হান কখনো তার বাবাকে দেখেনি, তবু তার মধ্যেই জহির রায়হানের ছায়া দেখতে  পান বলেও জানান সুচন্দা। 

“মানুষের জন্য কাজ করতে ওর এক অদ্ভুত টান আছে। তাই সে নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হার–জিত যাই হোক, আমি বিশ্বাস করি মানুষ তার পাশে থাকবে।” বলেন সুচন্দা। 

ঢাকা–১৭ আসনের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সুচন্দা বলেন, “গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, শাহজাদপুর, ভাসানটেক, মহাখালী এলাকার সমস্যা আমি জানি। বিশেষ করে নিম্ন–আয়ের মানুষের সমস্যাগুলো যদি সঠিকভাবে চিহ্নিত করে সমাধান করা যায়, তবে এটি দেশের জন্য কার্যকর একটি মডেল হতে পারে।”

ট্যাগঃ

অভাবের কারণে গাছের পাতা খেয়েছি, তবু হাল ছাড়িনি: সুচন্দা

সময়ঃ ১২:০১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

প্রখ্যাত নির্মাতা-সাহিত্যিক শহীদ জহির রায়হান ও কিংবদন্তি অভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দার ছেলে তপু রায়হান আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

রবিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তপু রায়হানের পাশে ছিলেন তার মা সুচন্দা। সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে সুচন্দা ফিরে যান জীবনের দুঃসহ সময়ে—সংগ্রাম, ত্যাগ আর অভাবের দিনে। আবেগভরা কণ্ঠে বললেন, “নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। আমার ছেলে, জহির রায়হানের ছেলে যেন মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে—এটাই আমার কামনা। আজ ওর বাবা বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই খুশি হতেন। আমি মা হয়ে বলতে পারি, তপুর ভেতরে মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আছে।” 

স্বাধীনতার স্মৃতি টেনে সুচন্দা বলেন, “স্বাধীনতার জন্য যখন মাঠে নেমেছিলাম, তখন পায়ে জুতা ছিল কি না, সেটা ভাবিনি। শুধু জানতাম, এই দেশ স্বাধীন হতে হবে, মানুষকে মুক্ত করতে হবে। সংসদ বা রাষ্ট্রপতি কে, সেটা আমাদের জানার প্রয়োজন ছিল না—আমরা জানতাম কেবল দেশ আর দেশের মানুষ।” 

জহির রায়হানকে স্মরণ করে সুচন্দা বলেন, “তিনি রাজনীতি করতেন না, কিন্তু রাজনীতিকে লালন করতেন। তার লেখনি ও চলচ্চিত্রে দেশ ও মানুষের কথা ছিল। নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলেন সবসময়।” 

এরপর তিনি উঠে এলেন জীবনের কঠিনতম সময়ের দিকে। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এমন সময়ও গেছে, যখন অভাবের কারণে গাছের পাতা খেয়েছি। তখন প্রায়ই খাবার জুটত না। তবু হাল ছাড়িনি। সন্তানদের মানুষ করেছি। বিশ্বাস ছিল, তারা তাদের বাবার মতো মানবিক ও দেশপ্রেমিক হবে।” 

ছোট ছেলে তপু রায়হান কখনো তার বাবাকে দেখেনি, তবু তার মধ্যেই জহির রায়হানের ছায়া দেখতে  পান বলেও জানান সুচন্দা। 

“মানুষের জন্য কাজ করতে ওর এক অদ্ভুত টান আছে। তাই সে নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হার–জিত যাই হোক, আমি বিশ্বাস করি মানুষ তার পাশে থাকবে।” বলেন সুচন্দা। 

ঢাকা–১৭ আসনের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সুচন্দা বলেন, “গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, শাহজাদপুর, ভাসানটেক, মহাখালী এলাকার সমস্যা আমি জানি। বিশেষ করে নিম্ন–আয়ের মানুষের সমস্যাগুলো যদি সঠিকভাবে চিহ্নিত করে সমাধান করা যায়, তবে এটি দেশের জন্য কার্যকর একটি মডেল হতে পারে।”