০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূঁজিবাজারে ‘আইপিও আকালের’ বছর

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৬০০১ Time View

বিশ্বব্যাপী মূলধন সংগ্রহের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য মাধ্যম হলো পুঁজিবাজার। এটি উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন, ঋণ কিংবা ইক্যুইটি সরবরাহের পাশাপাশি অসংখ্য বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে মূলধন জোগাড় করে দেয়। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরাসরি অবদান রাখে পুঁজিবাজার।

তবে দেশের পুঁজিবাজারে দুই হাজার পঁচিশ সালের আগ থেকেই কোনো প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে নতুন কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়নি। যার ফলে শিল্প খাতে দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার থেকে নতুন কোনো অর্থায়ন আসছে না।

অবশ্য ২০২৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) রেনাটা পিএলসির প্রেফারেন্স বা অগ্রাধিকারমূলক শেয়ারের লেনদেন শুরু হয়েছে। এর আগে গত ২০ আগস্ট একই প্ল্যাটফর্মে রানার অটো সাসটেইনেবিলিটি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, ভালো কোম্পানিই পুঁজিবাজারের প্রাণশক্তি। তবে দীর্ঘসময় ধরে নতুন কোনো মানসম্মত কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা হতাশ। গত এক দশকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অর্ধেকের বেশি ছিল দুর্বল মানের। ত্রুটিপূর্ণ আইপিও বিধিমালা ও মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া, অনিয়মের মাধ্যমে নিম্নমানের কোম্পানির আইপিও অনুমোদন, সহজ ব্যাংকঋণ প্রাপ্তি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া এবং বর্তমান কমিশনের ওপর আস্থাহীনতাকে আইপিও না আসার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, গত বছর আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পুনর্গঠন করা হয়। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কমিশন বাজার কাঠামো সংস্কারে উদ্যোগ নিলেও গত এক বছরে তা সম্পন্ন হয়নি। ফলে টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী পাবলিক ইস্যু রুলসের আইনি সংস্কার এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি।

তথ্য অনুযায়ী, দেশের পুঁজিবাজারে সর্বশেষ আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ২৫ মার্চ, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে টেকনো ড্রাগসকে। আর ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে সর্বশেষ আইপিও অনুমোদন পায় এনআরবি ব্যাংক— ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর।

এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৭টি কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিল করেছে বিএসইসি। ফলে মার্চেন্ট ব্যাংকাররা নতুন কোনো আইপিও আবেদন জমা দেননি। এতে আইপিও পাইপলাইন শূন্য হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, গত ১০ বছরে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা অন্তত দুই ডজন কোম্পানির তহবিল এখনও অব্যবহৃত রয়ে গেছে। অনেক কোম্পানি নির্ধারিত সময়ে তহবিল ব্যবহার করতে পারেনি। বিশেষ করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কয়েকটি কোম্পানি কোনো টাকা ব্যয় করতে পারেনি।

গতবছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে ৪টি এবং কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে ২টি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করে। এছাড়া ২টি ব্যাংক বন্ড ছেড়ে মূলধন সংগ্রহ করেছে। সেহিসবে ২০২৪ সালে পুঁজিবাজার থেকে মোট ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করা হয়ে।

এর আগের বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালের পুঁজিবাজার থেকে আইপিও’র মাধ্যমে ৩টি, কিউআইও’ মাধ্যমে ৩টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মাধ‌্যমে ১টি ও ৪টি বন্ড ইস্যু করে মোট ১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভালো কোম্পানিকে আনতে আইপিও প্রক্রিয়ার সংস্কার জরুরি। দীর্ঘদিন আইপিও শূন্য থাকায় আমরা মনে করি সংস্কার শেষে ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসবে।’

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘ভালো কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বর্তমান কমিশনের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে আবেদন এলে বিএসইসি অনুমোদন দেবে।’

রেনাটার প্রেফারেন্স শেয়ার
গত ১৫ ডিসেম্বর ডিএসইর এটিবি প্ল্যাটফর্মে রেনাটা পিএলসির প্রেফারেন্স বা অগ্রাধিকারমূলক শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। লেনদেন শুরুর জন্য শেয়ারটির অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৯০০ টাকা। বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে রেনাটা পিএলসি সম্প্রতি ৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করেছে। এই প্রেফারেন্স শেয়ারের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করবে কোম্পানিটি। রেনাটার ইস্যু করা ৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ারের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি নন-কিউমুলেটিভ, মানে কোনো বছর লভ্যাংশ না পেলে সেটি ভবিষ্যতে জমা হবে না এবং নন-পার্টিসিপেটিভ, মানে কোম্পানির মুনাফার ওপর ভিত্তি করে প্রেফারেন্স শেয়ারধারীরা বার্ষিক ১৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। এ প্রেফারেন্স শেয়ারের মেয়াদ ছয় বছর এবং তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত বার্ষিক ২৫ শতাংশ হারে প্রেফারেন্স শেয়ার থেকে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করা হবে। একসময় এ প্রেফারেন্স শেয়ার পুরোপুরি সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর হবে। এক্ষেত্রে রূপান্তর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭৫ টাকা।

রানার অটো সাসটেইনেবিলিটি বন্ড
গত ২০ আগস্ট ডিএসইর এটিবি প্ল্যাটফর্মে রানার অটো সাসটেইনেবিলিটি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। বন্ডটি ‘পি’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত রয়েছে। বন্ডটির ট্রেডিং কোর্ড হলো- “RAPLCSBOND”। বন্ডটির স্ক্রিপ কোড হবে ৫৫০০৭। বন্ডটির ইস্যুয়ার হিসেবে কাজ করছে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। বন্ডটির ইস্যু মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ডটির প্রতি ইউনিট ফেসভ্যালু ১০ লাখ টাকা। এই বন্ডের মেয়াদ ৪ বছর ১১ মাস। বন্ডটির ইস্যুর তারিখ ২৬ জুলাই,২০২৩। কুপন রেট ৮.৭৬ শতাংশ। রানার অটোর বন্ডটি অর্ধবার্ষিকীতে মুনাফা ঘোষণা করবে। বন্ডটির ধরণ: আনসিকিউরড, রিডামবল , নন-কনভার্টেবল, গ্রান্টেড সাসটেইনঅ্যাবিলিটি বন্ড। বন্ডটির আকার ২৬৭ কোটি ৫০ লাখ। জানা গেছে, গত ১০ আগস্ট বন্ডটি তালিকাভুক্তির অনুমোদন পায়। লেনদেনের প্রথম দুই দিন বন্ডটিতে সার্কিট ব্রেকার থাকবে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

টিভিতে আজকের খেলা (২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫)

পূঁজিবাজারে ‘আইপিও আকালের’ বছর

সময়ঃ ১২:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্বব্যাপী মূলধন সংগ্রহের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য মাধ্যম হলো পুঁজিবাজার। এটি উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন, ঋণ কিংবা ইক্যুইটি সরবরাহের পাশাপাশি অসংখ্য বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে মূলধন জোগাড় করে দেয়। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরাসরি অবদান রাখে পুঁজিবাজার।

তবে দেশের পুঁজিবাজারে দুই হাজার পঁচিশ সালের আগ থেকেই কোনো প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে নতুন কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়নি। যার ফলে শিল্প খাতে দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার থেকে নতুন কোনো অর্থায়ন আসছে না।

অবশ্য ২০২৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) রেনাটা পিএলসির প্রেফারেন্স বা অগ্রাধিকারমূলক শেয়ারের লেনদেন শুরু হয়েছে। এর আগে গত ২০ আগস্ট একই প্ল্যাটফর্মে রানার অটো সাসটেইনেবিলিটি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, ভালো কোম্পানিই পুঁজিবাজারের প্রাণশক্তি। তবে দীর্ঘসময় ধরে নতুন কোনো মানসম্মত কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা হতাশ। গত এক দশকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অর্ধেকের বেশি ছিল দুর্বল মানের। ত্রুটিপূর্ণ আইপিও বিধিমালা ও মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া, অনিয়মের মাধ্যমে নিম্নমানের কোম্পানির আইপিও অনুমোদন, সহজ ব্যাংকঋণ প্রাপ্তি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া এবং বর্তমান কমিশনের ওপর আস্থাহীনতাকে আইপিও না আসার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, গত বছর আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পুনর্গঠন করা হয়। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কমিশন বাজার কাঠামো সংস্কারে উদ্যোগ নিলেও গত এক বছরে তা সম্পন্ন হয়নি। ফলে টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী পাবলিক ইস্যু রুলসের আইনি সংস্কার এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি।

তথ্য অনুযায়ী, দেশের পুঁজিবাজারে সর্বশেষ আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ২৫ মার্চ, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে টেকনো ড্রাগসকে। আর ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে সর্বশেষ আইপিও অনুমোদন পায় এনআরবি ব্যাংক— ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর।

এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৭টি কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিল করেছে বিএসইসি। ফলে মার্চেন্ট ব্যাংকাররা নতুন কোনো আইপিও আবেদন জমা দেননি। এতে আইপিও পাইপলাইন শূন্য হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, গত ১০ বছরে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা অন্তত দুই ডজন কোম্পানির তহবিল এখনও অব্যবহৃত রয়ে গেছে। অনেক কোম্পানি নির্ধারিত সময়ে তহবিল ব্যবহার করতে পারেনি। বিশেষ করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কয়েকটি কোম্পানি কোনো টাকা ব্যয় করতে পারেনি।

গতবছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে ৪টি এবং কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে ২টি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করে। এছাড়া ২টি ব্যাংক বন্ড ছেড়ে মূলধন সংগ্রহ করেছে। সেহিসবে ২০২৪ সালে পুঁজিবাজার থেকে মোট ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করা হয়ে।

এর আগের বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালের পুঁজিবাজার থেকে আইপিও’র মাধ্যমে ৩টি, কিউআইও’ মাধ্যমে ৩টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মাধ‌্যমে ১টি ও ৪টি বন্ড ইস্যু করে মোট ১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভালো কোম্পানিকে আনতে আইপিও প্রক্রিয়ার সংস্কার জরুরি। দীর্ঘদিন আইপিও শূন্য থাকায় আমরা মনে করি সংস্কার শেষে ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসবে।’

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘ভালো কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বর্তমান কমিশনের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে আবেদন এলে বিএসইসি অনুমোদন দেবে।’

রেনাটার প্রেফারেন্স শেয়ার
গত ১৫ ডিসেম্বর ডিএসইর এটিবি প্ল্যাটফর্মে রেনাটা পিএলসির প্রেফারেন্স বা অগ্রাধিকারমূলক শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। লেনদেন শুরুর জন্য শেয়ারটির অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৯০০ টাকা। বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে রেনাটা পিএলসি সম্প্রতি ৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করেছে। এই প্রেফারেন্স শেয়ারের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করবে কোম্পানিটি। রেনাটার ইস্যু করা ৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ারের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি নন-কিউমুলেটিভ, মানে কোনো বছর লভ্যাংশ না পেলে সেটি ভবিষ্যতে জমা হবে না এবং নন-পার্টিসিপেটিভ, মানে কোম্পানির মুনাফার ওপর ভিত্তি করে প্রেফারেন্স শেয়ারধারীরা বার্ষিক ১৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। এ প্রেফারেন্স শেয়ারের মেয়াদ ছয় বছর এবং তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত বার্ষিক ২৫ শতাংশ হারে প্রেফারেন্স শেয়ার থেকে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করা হবে। একসময় এ প্রেফারেন্স শেয়ার পুরোপুরি সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর হবে। এক্ষেত্রে রূপান্তর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭৫ টাকা।

রানার অটো সাসটেইনেবিলিটি বন্ড
গত ২০ আগস্ট ডিএসইর এটিবি প্ল্যাটফর্মে রানার অটো সাসটেইনেবিলিটি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। বন্ডটি ‘পি’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত রয়েছে। বন্ডটির ট্রেডিং কোর্ড হলো- “RAPLCSBOND”। বন্ডটির স্ক্রিপ কোড হবে ৫৫০০৭। বন্ডটির ইস্যুয়ার হিসেবে কাজ করছে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। বন্ডটির ইস্যু মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ডটির প্রতি ইউনিট ফেসভ্যালু ১০ লাখ টাকা। এই বন্ডের মেয়াদ ৪ বছর ১১ মাস। বন্ডটির ইস্যুর তারিখ ২৬ জুলাই,২০২৩। কুপন রেট ৮.৭৬ শতাংশ। রানার অটোর বন্ডটি অর্ধবার্ষিকীতে মুনাফা ঘোষণা করবে। বন্ডটির ধরণ: আনসিকিউরড, রিডামবল , নন-কনভার্টেবল, গ্রান্টেড সাসটেইনঅ্যাবিলিটি বন্ড। বন্ডটির আকার ২৬৭ কোটি ৫০ লাখ। জানা গেছে, গত ১০ আগস্ট বন্ডটি তালিকাভুক্তির অনুমোদন পায়। লেনদেনের প্রথম দুই দিন বন্ডটিতে সার্কিট ব্রেকার থাকবে।