মোদির বিজেপি–সমর্থিত অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী চীনা বাঁধকে ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে উল্লেখ করেছেন। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, পানি নিরাপত্তা ও বন্যা মোকাবিলার স্বার্থে আপার সিয়াং বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প জরুরি। এ বাঁধ নির্মাণের সময় যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের ইতিহাস বলছে, বড় বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণে বহু প্রকল্প বছরের পর বছর বিলম্বিত হয়েছে। আবার কখনো প্রকল্পের আকার ছোট করতে হয়েছে। আপার সিয়াং বাঁধ অনুমোদন পেলেও নির্মাণ শেষ হতে এক দশক লেগে যেতে পারে। সে হিসাবে চীনের বাঁধ আগেই তৈরি হয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ভূমিকম্পপ্রবণ তিব্বত ও অরুণাচলে বড় বাঁধ নির্মাণ ভাটি অঞ্চলের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সায়ানাংশু মোদক বলেন, ‘চীনের বাঁধটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় তৈরি হচ্ছে, যেখানে চরম দুর্যোগের ঘটনাও ঘটে থাকে। ভূমিধস, হিমবাহের হঠাৎ ভাঙন বা কাদামাটি ধসের মতো বিপদের ঝুঁকি আছে। তাই বাঁধের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ একেবারেই যৌক্তিক। এ নিয়ে দুই দেশের আলোচনায় বসা উচিত।’