০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে বাধা সৃষ্টিকারীরা স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন: দুদু

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ০১:৩২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • ১৬০৬৭ Time View

যারা নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করছে, পক্ষান্তরে তারা স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, স্বৈরতন্ত্রের পতন তখনই সার্থক হবে, যখন গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্পন্ন হবে। যদি গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্ভব না হয়, তাহলে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যাবে। যারা আজকে বিভিন্ন অজুহাতে গণতন্ত্রের উত্তরণের যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন বা বাধা দিচ্ছেন, তারা পক্ষান্তরে স্বৈরতন্ত্রের পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছেন।

বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি প্রায় ১৬টি বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। যারা আজকে স্বৈরতন্ত্রের পতনে বিএনপির ভূমিকাকে খাটো করে দেখছেন, তাদের বলবো—বিএনপি যখন আন্দোলন শুরু করেছিল, যাদের বয়স এখন ২৬ থেকে ২৮ এর মধ্যে, তারা তখন শিশু ছিল। হিসাব করলে দেখা যাবে, তাদের ভাতও মায়েরা খাইয়ে দিতেন। কিন্তু তারা যখন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে অস্বীকার করছেন, তখন বুঝতেই হবে, এরা অহংকারী হয়ে পড়েছে।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন করে ছাত্র প্রতিনিধি রেখেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা ছেলে প্রতিনিধি হিসেবে পুলিশ নিয়ে গুলশানের একটি বাড়ি থেকে ৫০ লাখের ১০ লাখ টাকা নিয়ে এসেছে। যখন আরও ৪০ লাখ টাকা আনতে গেছিল, তখন সে ধরা পড়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে, পুলিশকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে, এটা তো আপনি জানেন। এই যে আপনি ছাত্রদের আপনার মুরুব্বি বানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ বানিয়েছেন, শিক্ষা ব্যবস্থা আপনি ধ্বংস করে ফেলেছেন, এর একটু দায় আপনারও নেওয়া উচিত।

দুদু বলেন, আমরা আপনার (প্রধান উপদেষ্টা) সমালোচনা করি, আপনি যাতে একটি ভালো নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উত্তরণে সহায়তা করেন। না হলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। সেজন্য যে কোনোভাবে, যেকোনও উপায়ে আপনাকে ডিসেম্বর টু ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হবে, আর তা যদি সম্ভব না হয়, বাংলাদেশে কোনও স্বৈরতন্ত্র কিন্তু ভালো নির্বাচন ছাড়া রেহাই পায়নি। এখনও পর্যন্ত আপনার পথ খোলা আছে। আপনি ভালো নির্বাচন দেবেন, এটা জাতি প্রত্যাশা করে, আমরাও প্রত্যাশা করি।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

নির্বাচনে বাধা সৃষ্টিকারীরা স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন: দুদু

সময়ঃ ০১:৩২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

যারা নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করছে, পক্ষান্তরে তারা স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, স্বৈরতন্ত্রের পতন তখনই সার্থক হবে, যখন গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্পন্ন হবে। যদি গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্ভব না হয়, তাহলে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যাবে। যারা আজকে বিভিন্ন অজুহাতে গণতন্ত্রের উত্তরণের যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন বা বাধা দিচ্ছেন, তারা পক্ষান্তরে স্বৈরতন্ত্রের পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছেন।

বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি প্রায় ১৬টি বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। যারা আজকে স্বৈরতন্ত্রের পতনে বিএনপির ভূমিকাকে খাটো করে দেখছেন, তাদের বলবো—বিএনপি যখন আন্দোলন শুরু করেছিল, যাদের বয়স এখন ২৬ থেকে ২৮ এর মধ্যে, তারা তখন শিশু ছিল। হিসাব করলে দেখা যাবে, তাদের ভাতও মায়েরা খাইয়ে দিতেন। কিন্তু তারা যখন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে অস্বীকার করছেন, তখন বুঝতেই হবে, এরা অহংকারী হয়ে পড়েছে।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন করে ছাত্র প্রতিনিধি রেখেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা ছেলে প্রতিনিধি হিসেবে পুলিশ নিয়ে গুলশানের একটি বাড়ি থেকে ৫০ লাখের ১০ লাখ টাকা নিয়ে এসেছে। যখন আরও ৪০ লাখ টাকা আনতে গেছিল, তখন সে ধরা পড়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে, পুলিশকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে, এটা তো আপনি জানেন। এই যে আপনি ছাত্রদের আপনার মুরুব্বি বানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ বানিয়েছেন, শিক্ষা ব্যবস্থা আপনি ধ্বংস করে ফেলেছেন, এর একটু দায় আপনারও নেওয়া উচিত।

দুদু বলেন, আমরা আপনার (প্রধান উপদেষ্টা) সমালোচনা করি, আপনি যাতে একটি ভালো নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উত্তরণে সহায়তা করেন। না হলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। সেজন্য যে কোনোভাবে, যেকোনও উপায়ে আপনাকে ডিসেম্বর টু ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হবে, আর তা যদি সম্ভব না হয়, বাংলাদেশে কোনও স্বৈরতন্ত্র কিন্তু ভালো নির্বাচন ছাড়া রেহাই পায়নি। এখনও পর্যন্ত আপনার পথ খোলা আছে। আপনি ভালো নির্বাচন দেবেন, এটা জাতি প্রত্যাশা করে, আমরাও প্রত্যাশা করি।