বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি সংসদীয় আসন করার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট শহরের দশানী ট্রাফিক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়ক দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন, বিএনপির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, সেক্রেটারি মাওলানা ইউনুস আহমেদ, খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রমিজ উদ্দিন, জেলা ইমাম সমিতির সাধারাণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ আরেফী, জেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, খেলাফত মজলিসের সভাপতি আমিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি এস এম সাদ্দাম ও এনসিপির আহ্বায়ক মোর্শেদ আনোয়ার সোহেল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘‘যদি না বুঝে করে থাকেন তাহলে আমরা দাবি জানালাম, আপনারা আমাদের দাবি মেনে নিয়ে বাগেরহাটের তিন আসনের প্রস্তাব বাতিল করে চারটি আসন পুনর্বহাল করবেন। তবে এটা নিয়ে যদি গড়িমসি করেন, আপনাদের মনগড়া প্রস্তাব জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে জনগণ তা মেনে নেবে না।’’
বক্তারা আরো বলেন, ‘‘জন্মলগ্ন থেকে বাগেরহাটে চারটি আসন। একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করাটা খুবই অযৌক্তিক। এই প্রস্তাব দেয়ার আগে জেলার রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেনি। আজকে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছি। আগামীকালও আমরা মিছিল করব। জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে। এরপরও যদি নির্বাচন কমিশন তাদের প্রস্তাব থেকে ফিরে না আসে, তাহলে আরো কঠোর আন্দোলন করা হবে।’’
প্রয়োজনে সারা দেশ থেকে বাগেরহাট বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
দ্বাদশ সংসদের ২৬১ আসনের সীমানা বহাল রেখে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৯টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন করে নতুন সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। পরিবর্তনের মধ্যে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়েছে এবং বাগেরহাটে একটি আসন কমানো হয়েছে। তবে আগামী ১০ অগাস্টের মধ্যে এ প্রস্তাবের বিষয়ে দাবি-আপত্তি জানানোর সুযোগ রয়েছে।