১০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেলেনস্কিকে আর একটি পয়সাও দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬০১৪ Time View
ফাইল ফটো

ইউক্রেনকে আর একটি পয়সাও দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত চালাতে থাকা দেশটির ইউরোপীয় সমর্থকরা যদি দেশটিকে সমর্থন চালিয়ে যেতে চান, তাহলে তারা মার্কিন অস্ত্র বিক্রেতাদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারেন।

এমন হলে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স।
      
১০ আগস্ট ফক্স নিউজকে ভ্যান্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর নিজেরা ইউক্রেনে অর্থায়ন করবে না। লন্ডনে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিসহ বেশ কয়েকজন পশ্চিম ইউরোপীয় এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার পর তার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ভ্যান্স ওই সফরে গিয়েছিলেন আগামী ১৫ আগস্ট আলাস্কায় অনুষ্ঠিত হতে চলা রাশিয়ান এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতির শীর্ষ সম্মেলনের পথ প্রশস্ত করা। ওই বৈঠকে রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতের ইতি টানা এজেন্ডার শীর্ষে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের সমর্থক ইউরোপের নেতাদের উদ্দেশ্য করে সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স আরও বলেছেন, চলমান সংঘাত নিয়ে যদি তাদের এতই চিন্তা, তাহলে তহবিল গঠনে তাদের আরও বড় ভূমিকা পালন করা উচিত।

তিনি জানান, মার্কিন জনগণ ওই বিশেষ সংঘাতে তাদের করের ডলার পাঠাতে পাঠাতে এখন বিরক্ত। কিন্তু যদি ইউরোপীয়রা এগিয়ে এসে মার্কিন অস্ত্র উৎপাদকদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে চায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাতে রাজি। কিন্তু দেশটি আর নিজেরা অর্থায়ন করবে না বলে জানান তিনি।

কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, সংঘাতে থাকা ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তিতে উভয় পক্ষের উন্নতির জন্য কিছু অঞ্চল বিনিময়ের বিষয়টি থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের নেতা জেলেনস্কিকে ইউক্রেনীয় আইনের অধীনে এমন চুক্তি অনুমোদনের জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

কিন্তু জেলেনস্কি এ ধরনের চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলে দিয়েছেন, ইউক্রেনের ভূখণ্ড তিনি বা কেউই নাকি ছেড়ে দেবে না। ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারদের দেবে না, এমন মন্তব্যও তিনি তার ভাষণে বলেছেন। তার এমন গোয়ার্তুমিতে এভাবেই ধাপে ধাপে মার্কিন সমর্থন হারাচ্ছে ইউক্রেন।

কাদের ভরসায়, কীসের ভরসায় সংঘাত চালিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি অব্যাহত রাখছেন জেলেনস্কি? ইউরোপীয় সমর্থকরা ইউক্রেনকে ঠিক কী দেবে? তাদের কথিত ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’-এর সদস্যরা কিন্তু ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এমন ইঙ্গিত আগে দিলেও তার সঙ্গে তারা কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছিল। রাশিয়া আর ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেই কেবল ‘শান্তি রক্ষা’র জন্য দেশ দুটি কাজ করবে। আর জার্মানি, পোল্যান্ড, স্পেন এবং ইতালি কেউই এমন মিশনে নিজেদের সেনা ইউক্রেনে পাঠাতে রাজি নয়। ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক বাহিনীতে এমনিতেই জনবলের ঘাটতি রয়েছে।

জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

জেলেনস্কিকে আর একটি পয়সাও দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

সময়ঃ ১২:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
ফাইল ফটো

ইউক্রেনকে আর একটি পয়সাও দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত চালাতে থাকা দেশটির ইউরোপীয় সমর্থকরা যদি দেশটিকে সমর্থন চালিয়ে যেতে চান, তাহলে তারা মার্কিন অস্ত্র বিক্রেতাদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারেন।

এমন হলে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স।
      
১০ আগস্ট ফক্স নিউজকে ভ্যান্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর নিজেরা ইউক্রেনে অর্থায়ন করবে না। লন্ডনে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিসহ বেশ কয়েকজন পশ্চিম ইউরোপীয় এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার পর তার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ভ্যান্স ওই সফরে গিয়েছিলেন আগামী ১৫ আগস্ট আলাস্কায় অনুষ্ঠিত হতে চলা রাশিয়ান এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতির শীর্ষ সম্মেলনের পথ প্রশস্ত করা। ওই বৈঠকে রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতের ইতি টানা এজেন্ডার শীর্ষে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের সমর্থক ইউরোপের নেতাদের উদ্দেশ্য করে সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স আরও বলেছেন, চলমান সংঘাত নিয়ে যদি তাদের এতই চিন্তা, তাহলে তহবিল গঠনে তাদের আরও বড় ভূমিকা পালন করা উচিত।

তিনি জানান, মার্কিন জনগণ ওই বিশেষ সংঘাতে তাদের করের ডলার পাঠাতে পাঠাতে এখন বিরক্ত। কিন্তু যদি ইউরোপীয়রা এগিয়ে এসে মার্কিন অস্ত্র উৎপাদকদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে চায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাতে রাজি। কিন্তু দেশটি আর নিজেরা অর্থায়ন করবে না বলে জানান তিনি।

কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, সংঘাতে থাকা ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তিতে উভয় পক্ষের উন্নতির জন্য কিছু অঞ্চল বিনিময়ের বিষয়টি থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের নেতা জেলেনস্কিকে ইউক্রেনীয় আইনের অধীনে এমন চুক্তি অনুমোদনের জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

কিন্তু জেলেনস্কি এ ধরনের চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলে দিয়েছেন, ইউক্রেনের ভূখণ্ড তিনি বা কেউই নাকি ছেড়ে দেবে না। ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারদের দেবে না, এমন মন্তব্যও তিনি তার ভাষণে বলেছেন। তার এমন গোয়ার্তুমিতে এভাবেই ধাপে ধাপে মার্কিন সমর্থন হারাচ্ছে ইউক্রেন।

কাদের ভরসায়, কীসের ভরসায় সংঘাত চালিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি অব্যাহত রাখছেন জেলেনস্কি? ইউরোপীয় সমর্থকরা ইউক্রেনকে ঠিক কী দেবে? তাদের কথিত ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’-এর সদস্যরা কিন্তু ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এমন ইঙ্গিত আগে দিলেও তার সঙ্গে তারা কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছিল। রাশিয়া আর ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেই কেবল ‘শান্তি রক্ষা’র জন্য দেশ দুটি কাজ করবে। আর জার্মানি, পোল্যান্ড, স্পেন এবং ইতালি কেউই এমন মিশনে নিজেদের সেনা ইউক্রেনে পাঠাতে রাজি নয়। ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক বাহিনীতে এমনিতেই জনবলের ঘাটতি রয়েছে।

জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।