১২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘাটতির জায়গা স্পষ্ট দেখালেন ক‌্যালি

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:১১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬০১৬ Time View

সচরাচর এমন করে কেউ বলে না। নাথান ক‌্যালি শুধু বললেনই না, সাহস দেখালেন। স্পষ্ট করে বললেন, দেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ঘাটতির বড় কারণ ভালোমানের ট্রেনারের অভাব।

বাংলাদেশের স্ট্রেন্থ অ‌্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান ক‌্যালি ২০২৪ সাল থেকে বাংলাদেশে যুক্ত। জাতীয় দলের সঙ্গেই কেবল কাজ করছেন। তবে স্থানীয় ট্রেনারদের নিয়ে তার সুস্পষ্ট ধারনা হয়ে গেছে এরই মধ‌্যে।

ক্রিকেটারদের যারা ট্রেনিং করাবেন, আন্তর্জাতিক মানের করে তুলবেন তাদের সংখ‌্যাটা খুব বেশি নয়। ফলে উঠতি ক্রিকেটার, জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটার এবং বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটারদের গড়ে উঠার পথটা মসৃণ নয় তা আঙুল তুলে দেখালেন অস্ট্রেলিয়ান এই ট্রেনার।

মিরপুরে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ক‌্যালি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে আমাদের অ্যাথলেটিসিজম উন্নতি করার পথে মূল চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে… আমার মনে হয়, এখন আমাদের সম্ভবত তিনজন খুব উঁচু মানের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ আছেন, যারা বিসিবির চাকরিতে আছেন। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে হয়তো এমন ট্রেনারের সংখ্যা ২০-৩০ জন।”

সার্বিক উন্নতির জন‌্য ট্রেনারদের তাড়না, অধ‌্যবসায়ের ঘাটতি দেখেন না তিনি। তবে দেশের ক্রিকেটের সংস্কৃতি, প্রক্রিয়া, এগিয়ে যাওয়ার ধরন নিয়ে তার মনেও প্রশ্ন আছে। তবে দিনকে দিন উন্নতি হচ্ছে সেই আশাও দেখালেন তিনি—

“আমাদের এখানে স্থানীয় অনেক ট্রেনার আছেন, যাদের তাড়না অনেক ও কঠোর পরিশ্রম করছে। আমার বড় দায়িত্ব হলো তাদের স্কিল গড়ে তোলায় সহায়তা করা। তবে দিনশেষে, এটা তো গোটা সিস্টেমের ব্যাপার। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের ট্রেনাররা এমনিতে ভালো কাজ করেন। কিন্তু এটা প্রতিনিয়ত উন্নতির ব্যাপার, সেটা শুধু ক্রিকেটারদের নয়, গোটা ক্রিকেট সিস্টেমেরই। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বছরজুড়ে কঠোর পরিশ্রম করা ও শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখা নিশ্চিত করতে একটি সিস্টেম গড়ে তোলার পথে আমার মনে হয় আমরা বেশ উন্নতি করেছি।”

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

ঘাটতির জায়গা স্পষ্ট দেখালেন ক‌্যালি

সময়ঃ ১২:১১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

সচরাচর এমন করে কেউ বলে না। নাথান ক‌্যালি শুধু বললেনই না, সাহস দেখালেন। স্পষ্ট করে বললেন, দেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ঘাটতির বড় কারণ ভালোমানের ট্রেনারের অভাব।

বাংলাদেশের স্ট্রেন্থ অ‌্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান ক‌্যালি ২০২৪ সাল থেকে বাংলাদেশে যুক্ত। জাতীয় দলের সঙ্গেই কেবল কাজ করছেন। তবে স্থানীয় ট্রেনারদের নিয়ে তার সুস্পষ্ট ধারনা হয়ে গেছে এরই মধ‌্যে।

ক্রিকেটারদের যারা ট্রেনিং করাবেন, আন্তর্জাতিক মানের করে তুলবেন তাদের সংখ‌্যাটা খুব বেশি নয়। ফলে উঠতি ক্রিকেটার, জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটার এবং বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটারদের গড়ে উঠার পথটা মসৃণ নয় তা আঙুল তুলে দেখালেন অস্ট্রেলিয়ান এই ট্রেনার।

মিরপুরে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ক‌্যালি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে আমাদের অ্যাথলেটিসিজম উন্নতি করার পথে মূল চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে… আমার মনে হয়, এখন আমাদের সম্ভবত তিনজন খুব উঁচু মানের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ আছেন, যারা বিসিবির চাকরিতে আছেন। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে হয়তো এমন ট্রেনারের সংখ্যা ২০-৩০ জন।”

সার্বিক উন্নতির জন‌্য ট্রেনারদের তাড়না, অধ‌্যবসায়ের ঘাটতি দেখেন না তিনি। তবে দেশের ক্রিকেটের সংস্কৃতি, প্রক্রিয়া, এগিয়ে যাওয়ার ধরন নিয়ে তার মনেও প্রশ্ন আছে। তবে দিনকে দিন উন্নতি হচ্ছে সেই আশাও দেখালেন তিনি—

“আমাদের এখানে স্থানীয় অনেক ট্রেনার আছেন, যাদের তাড়না অনেক ও কঠোর পরিশ্রম করছে। আমার বড় দায়িত্ব হলো তাদের স্কিল গড়ে তোলায় সহায়তা করা। তবে দিনশেষে, এটা তো গোটা সিস্টেমের ব্যাপার। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের ট্রেনাররা এমনিতে ভালো কাজ করেন। কিন্তু এটা প্রতিনিয়ত উন্নতির ব্যাপার, সেটা শুধু ক্রিকেটারদের নয়, গোটা ক্রিকেট সিস্টেমেরই। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বছরজুড়ে কঠোর পরিশ্রম করা ও শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখা নিশ্চিত করতে একটি সিস্টেম গড়ে তোলার পথে আমার মনে হয় আমরা বেশ উন্নতি করেছি।”