০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ‘সমাধিস্থ’ করতে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের অনুমোদন ইসরায়েলি মন্ত্রীর

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬০৫৪ Time View

ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ পশ্চিম তীরে বিতর্কিত ই-১ বসতি প্রকল্পে ৩ হাজারের বেশি ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ উদ্যোগই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে ‘সমাধিস্থ’ করবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার জেরুজালেম ও মালে আদুমিম বসতির মধ্যবর্তী অঞ্চলে এই প্রকল্পের ঘোষণা দেন স্মোত্রিচ। কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক আপত্তির মুখে ‘ই-১’ এলাকায় নির্মাণ স্থগিত ছিল। এখানে বসতি স্থাপন হলে পূর্ব জেরুজালেম থেকে পশ্চিম তীর কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভৌগোলিক ধারাবাহিকতা বিঘ্নিত হবে।

স্মোত্রিচ বলেন, এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বপ্নকে মাটিচাপা দেবে। কয়েক দশকের চাপ ও স্থগিতাদেশ ভেঙে আমরা মালে আদুমিমকে জেরুজালেমের সঙ্গে যুক্ত করছি। এটি জায়নবাদের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। যা ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্মোত্রিচ বলেন, এটা ঘটবে না। স্বীকৃতি দেওয়ার মতো কোনও রাষ্ট্রই থাকবে না।

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন পিস নাও বলেছে, নেতানিয়াহুর সরকার প্রতিটি মুহূর্তকে পশ্চিম তীর দখল গভীরতর করার কাজে ব্যবহার করছে। সংস্থাটি মনে করে, সংঘাতের একমাত্র সমাধান হচ্ছে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন বসতি পরিকল্পনাকে গণহত্যা, উচ্ছেদ ও দখলদারত্বের অপরাধের ধারাবাহিকতা বলে আখ্যা দিয়েছে। ইসরায়েল এমন অভিযোগ অস্বীকার করলেও দেশটির শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠনগুলো গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে।

ই-১ এলাকায় ৩ হাজার ৪০১টি আবাসিক ইউনিট নির্মাণের অনুমোদন ২০ বছর ধরে স্থগিত ছিল। এই অঞ্চলটি উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিম তীরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো কৌশলগত স্থানে অবস্থিত। আন্তর্জাতিক আইনে অধিকাংশ দেশ বসতিগুলোকে অবৈধ মনে করে। গত বছর আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের পরামর্শমূলক মতামতেও সমর্থিত হয়েছে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ‘সমাধিস্থ’ করতে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের অনুমোদন ইসরায়েলি মন্ত্রীর

সময়ঃ ১২:০৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ পশ্চিম তীরে বিতর্কিত ই-১ বসতি প্রকল্পে ৩ হাজারের বেশি ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ উদ্যোগই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে ‘সমাধিস্থ’ করবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার জেরুজালেম ও মালে আদুমিম বসতির মধ্যবর্তী অঞ্চলে এই প্রকল্পের ঘোষণা দেন স্মোত্রিচ। কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক আপত্তির মুখে ‘ই-১’ এলাকায় নির্মাণ স্থগিত ছিল। এখানে বসতি স্থাপন হলে পূর্ব জেরুজালেম থেকে পশ্চিম তীর কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভৌগোলিক ধারাবাহিকতা বিঘ্নিত হবে।

স্মোত্রিচ বলেন, এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বপ্নকে মাটিচাপা দেবে। কয়েক দশকের চাপ ও স্থগিতাদেশ ভেঙে আমরা মালে আদুমিমকে জেরুজালেমের সঙ্গে যুক্ত করছি। এটি জায়নবাদের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। যা ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্মোত্রিচ বলেন, এটা ঘটবে না। স্বীকৃতি দেওয়ার মতো কোনও রাষ্ট্রই থাকবে না।

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন পিস নাও বলেছে, নেতানিয়াহুর সরকার প্রতিটি মুহূর্তকে পশ্চিম তীর দখল গভীরতর করার কাজে ব্যবহার করছে। সংস্থাটি মনে করে, সংঘাতের একমাত্র সমাধান হচ্ছে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন বসতি পরিকল্পনাকে গণহত্যা, উচ্ছেদ ও দখলদারত্বের অপরাধের ধারাবাহিকতা বলে আখ্যা দিয়েছে। ইসরায়েল এমন অভিযোগ অস্বীকার করলেও দেশটির শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠনগুলো গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে।

ই-১ এলাকায় ৩ হাজার ৪০১টি আবাসিক ইউনিট নির্মাণের অনুমোদন ২০ বছর ধরে স্থগিত ছিল। এই অঞ্চলটি উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিম তীরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো কৌশলগত স্থানে অবস্থিত। আন্তর্জাতিক আইনে অধিকাংশ দেশ বসতিগুলোকে অবৈধ মনে করে। গত বছর আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের পরামর্শমূলক মতামতেও সমর্থিত হয়েছে।