প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। কোনো শক্তি এটি প্রতিহত করতে পারবে না।”
তিনি বলে, “নির্বাচন পরিচালনা সাথে সম্পৃক্ত সব দপ্তর বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। আশা করছি সেটি সবার সহযোগিতায় সম্ভব হবে।”
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) জুমার নামাজের পর মাগুরায় শহীদ রাব্বি ও শহীদ আল আমিনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
শফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচনের জন্য পুরো জাতি প্রস্তুত। সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে। বর্ষা শেষ হলেই পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়বে। নির্বাচনের মহোৎসব সবাই দেখতে পাবেন।”
তিনি বলেন, “আমরা নিশ্চিত যে পুরো জাতি তখন কারো মনে যদি কোনো সন্দেহ থাকে সেই সন্দেহটুকু চলে যাবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে এবং রোজার আগেই হবে।”
প্রেস সচিব বলেন, “তারা জীবন দিয়ে আমাদের জন্য একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গিয়েছে। তাদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশটাকে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে হবে।”
শফিকুল আলম বলেন, “জুলাই আগস্টে মাগুরায় মোট ১০ জন শহীদ হয়েছেন। আওয়ামী লীগ যুবলীগের খুনি বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন মেহেদী হাসান রাব্বি। উনি ছাত্রদলের স্থানীয় একজন নেতা ছিলেন। আমি তার কবরে গিয়েছিলাম এবং একই এলাকার আলামিন ছোট ব্যবসা করতেন ঢাকাতে ওনাকেও গুলি করে মারা হয়েছে।ওনার কবর মাগুরা উপকণ্ঠে রয়েছে। সেখানেও গিয়েছিলাম ফুল দিতে। মাগুরা জেলায় মোট ১০ জন শহীদ আছেন। বাকি ৮ জন প্রত্যেকের কবরস্থানে যাব।”
প্রেস সচিব বলেন, “এই শহীদেরা নতুন বাংলাদেশের নির্মাতা। তাদের আত্মদানের ফলে আমরা নতুন একটা দেশ পেয়েছি। আমরা আজকের এই দিনে সবাই মুখ ফুটে কথা বলতে পারছি। আমরা এখন পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট করছি। সামনে সুন্দর একটি নির্বাচন হবে। শহীদদের কারণে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেজন্য তাদেরকে সম্মান জানাতে কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।”