ক্ষমতার জোরে সভাপতিদের সভাপতি হতে চলেছেন পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ক্ষমতাবান আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা।
গত কিছুদিন আগেই পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হয়েছেন আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা। আগে দীর্ঘদিন তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ছিলেন। ক্ষমতার অপব্যাবহার, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাজি, টাকার বিনিময়ে বিচার একমুখি করা তার অন্য রকম নেশা। তার আরো একটি ভয়ংকর নেশা হল সব জায়গার সভাপতি হওয়া।
দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে পীরগাছা বাজার সমিতির একচ্যাটিয়া সভাপতি হয়ে আছেন তিনি। অন্য কেউ সভাপতি হতে চাইলেই বড়বাড়ির বড় মাস্তান সুলতান মাহমুদ ডায়েলকে দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন।
দীর্ঘদিন ধরে পীরগাছা উপজেলায় ঠিকাদারি সমিতির সভাপতিও তিনি। বড় বড় টেন্ডার গুলো সে নিজে বাগিয়ে নেয় ও ছোট কাজ গুলো অন্যান্য ঠিকাদারদের মাঝে ২০% কমিশন নেয়ার শর্তে বিতরন করেন। এই কাজে কাজে তাকে সহযোগিতা করে ঠিকাদার রাসেল ও রবি লাহিড়ী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজা ও জাহাঙ্গীর আলম জাহান আহবায়ক পীরগাছা উপজেলা যুবদল ।
জুলাই ২০২৫, অন্নদানগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সভাপতি করা হয় পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ক্ষমতাবান আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম রাঙ্গাকে।
জুলাই ২০২৫ সৈয়দপুর কেরামতিযা দি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় সভাপতি করা হয় পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ক্ষমতাবান আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম রাঙ্গাকে।
পীরগাছায় যত গার্লস স্কুল ও কলেজ রয়েছে সব খানেই সভাপতি হওয়ার জন্য তিনি জোর লবিং ও বর্তমান সভাপতিদের পদ ছেড়ে দেয়ার জন্য গোপনে হুমকি দিচ্ছে।
একজন ব্যাক্তি এতোগুলো সমিতি ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে যাওয়ার কারন কি জানতে চাইলে পীরগাছা উপজেলা শাখা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শরিফ জানান, মুলতো ক্ষমতা ধরে রাখতে ও উক্ত স্কুল কলেজে নিয়োগ, নতুন ভবন নির্মান ও বাৎসরিক খেলাধুলা বাবদ যে বরাদ্য আসে তা খাওয়াই তা প্রধান উদ্যেশ্য।
পীরগাছা বাজার সমিতির সভাপতি পদে থেকে উনি নাম মাত্র মুল্যে চান্দিনাভিটি গুলো ইজারা নিয়ে প্রত্যেকটি দোকান থেকে প্রতিদিন চাঁদা উঠান এবং বড় অংশই নিজের পকেটে রাখেন। এছাড়াও পীরগাছা বাজারের কোথায় কোন জমি বিক্রি হলে উনাকে ৫ লক্ষ টাকা করে দিতে হয়। ফলে জমির দাম বেড়ে যায়। এবং সেই জমিতে পাকা দোকান উঠাতে গেলেও ২ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
পীরগাছা বাজার সমিতি টি ক্ষমতাবান আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা সমিতি হিসাবে নিবন্ধন করেন নি। সরকারি নিবন্ধন হয়ে গেলে সরকারকে অডিট করতে দিতে হবে এতে তার উপরি ইনকাম কমে যাবে ও ক্ষমতা কমে যাবে। তাই সে ইচ্ছা করেই এটি নিবন্ধন করেন না। নিবন্ধন না থাকায় বাজারের দোকানাদারেরা সরকারি নানান সুবিধা যেমন সুদ মুক্ত ঋন, দোকান নির্মান ও মেরামতে সরকারি ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আসন্য সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান ও প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। কিন্তু সংসদ নির্বাচনে বেশ খরচ হয় যা বহন করার মত তার দৃশ্যমান কোন ব্যাবসা না থাকায় জনমনে জল্পনা আছে যা দীর্ঘদিনের এই সকল চাদার টাকা দিয়েই তিনি নির্বাচন করবেন।