০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬০১৬ Time View

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৩, ১৭ আগস্ট ২০২৫  

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিস্ট সদর হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে দুদক

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে চরম অব্যবস্থাপনা ও অপরিচ্ছন্নতার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে দুদকের হবিগঞ্জ জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযান চালায়।

অভিযানে দেখা যায়, হাসপাতালের ধারণক্ষমতা ২৫০ হলেও এদিন ভর্তি রোগী ছিলেন ৫৭৬ জন। অতিরিক্ত ৩২৬ জন রোগী সরকারি খাবার পাননি। রোগীদের দেওয়া পাউরুটিতেও ছিল না মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখের স্টিকার। টয়লেটসহ হাসপাতালের সর্বত্র অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছিল।

প্রতিটি ওয়ার্ডে রোগীর সঙ্গে চার-পাঁচজন স্বজন থাকায় শৃঙ্খলার ঘাটতি চোখে পড়ে। তবে জরুরি বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে উপস্থিত পাওয়া গেছে।

অভিযান চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী এনামুল হক সাকিব মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) বাণিজ্যের অভিযোগ তুললেও দুদক তা গ্রহণ করেনি।

এরশাদ মিয়া বলেন, ‘‘হাসপাতালে অপরিচ্ছন্নতা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তবে অতিরিক্ত রোগী ও স্বজনের চাপও এর বড় কারণ।’’

অর্থনৈতিক বা অন্য কোনো দুর্নীতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এমসি বাণিজ্যের অভিযোগ লিখিত আকারে এলে অনুমতি নিয়ে আলাদা অভিযান চালানো হবে। আজকের অভিযানে তা খতিয়ে দেখা হয়নি।’’

ঢাকা/মামুন/এস

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

আমাদের ফরেন পলিসিকে আউটসোর্স করে রাখা ছিল: প্রেস সচিব

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান

সময়ঃ ১২:০৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৩, ১৭ আগস্ট ২০২৫  

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিস্ট সদর হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে দুদক

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে চরম অব্যবস্থাপনা ও অপরিচ্ছন্নতার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে দুদকের হবিগঞ্জ জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযান চালায়।

অভিযানে দেখা যায়, হাসপাতালের ধারণক্ষমতা ২৫০ হলেও এদিন ভর্তি রোগী ছিলেন ৫৭৬ জন। অতিরিক্ত ৩২৬ জন রোগী সরকারি খাবার পাননি। রোগীদের দেওয়া পাউরুটিতেও ছিল না মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখের স্টিকার। টয়লেটসহ হাসপাতালের সর্বত্র অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছিল।

প্রতিটি ওয়ার্ডে রোগীর সঙ্গে চার-পাঁচজন স্বজন থাকায় শৃঙ্খলার ঘাটতি চোখে পড়ে। তবে জরুরি বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে উপস্থিত পাওয়া গেছে।

অভিযান চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী এনামুল হক সাকিব মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) বাণিজ্যের অভিযোগ তুললেও দুদক তা গ্রহণ করেনি।

এরশাদ মিয়া বলেন, ‘‘হাসপাতালে অপরিচ্ছন্নতা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তবে অতিরিক্ত রোগী ও স্বজনের চাপও এর বড় কারণ।’’

অর্থনৈতিক বা অন্য কোনো দুর্নীতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এমসি বাণিজ্যের অভিযোগ লিখিত আকারে এলে অনুমতি নিয়ে আলাদা অভিযান চালানো হবে। আজকের অভিযানে তা খতিয়ে দেখা হয়নি।’’

ঢাকা/মামুন/এস