পীরগাছার সকল দলের রাজনীতিবিদ, হাতে চুড়ি পড়া, দই চিড়া মুড়ির দোকানে সন্ধ্যার পর চা খাওওয়া সুশীল সমাজ, ভিত্তিহীন স্থানীয় গণমাধ্যমের বিপরীতে চলা শামীম হোসেন এই মুহূর্তে সমগ্র পীরগাছার মধ্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন এক নাম।
যেই মুহূর্তে পীরগাছার ছাত্র যুব সমাজ যখন নিজেদের ফেসবুকে লোক দেখানো পোস্ট দিয়ে, চিপাগলির ভিতর থেকে বের না হয়ে প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। শামীম তখন প্রকাশ্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
গত রমজানে ওর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম যখন স্থানীয় গরীব মানুষের ভাতা মেরে খেয়েছিলো, এই সাহসি ছেলেটা সকল বাধা উপক্ষা করে গরীব মানুষগুলোর অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট ২০২৫ ইং পীরগাছার কালীগঞ্জ থেকে সাত দরগা রোডে, আমতলী নামক একটি স্থানে অনেক পুরাতন আম গাছটি সরকারি অনুমতি ছাড়া যখন কেটে ফেলা হচ্ছিল। ঠিক তখন শামীম হোসেন প্রতিবাদ করে। ঐ আম গাছের নামে ঐ বাজারের নামকরণ হয়েছে।
সে গাছটি বাচাতে স্থানীয় প্রশাসন এর কাছে ছুটে যায়।ইউ এন তখন ফল খেতে খেতে তাকে জানিয়েছে, সে এ বিষয়ে কিছু জানে না। বিষয়টা পরে দেখবে। শামীম আবার ছুটে যায় ঘটনাস্থলে এবং ভয়ানক হামলার শিকার হয়।
সবচেয়ে অবাক বিষয় রাজনৈতিক ভাবে শামীম একজন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তার উপর এরকম হামলার বিরুদ্ধে পীরগাছা বিএনপির দায়িত্বে থাকা নেতাদের কাউকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হতে দেখা গেল না ।
এমনকি যারা এখন বিএনপির দলীয় পরিচয় দিয়ে, শামীমের ওপর হামলা এবং গাছটি হত্যা করলো, তারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সুযোগ সুবিধা নিয়েছিলো। এই অনুপ্রবেশকারি বিএনপির কর্মিদের বিরুদ্ধে আইনী কোন পদক্ষেপ নিতেও শামীমকে সাহায্য করতে দেখা যাচ্ছে না উপজেলায় নেতাদের।
যাদের দেখা গেছে সরব হতে তাদের দলীয় পদমর্যাদা খুব নাই বললেই চলে। তারপরও তারা প্রতিবাদ জানিয়েছে নিজ নিজ অবস্থান থেকে। তাদের স্যালুট।
তবে এ ঘটনার পর আবার প্রমাণিত পীরগাছা একটি প্রতিবাদহীন এলাকা।
কয়েকটি প্রশ্ন থেকে যায়।
১.পীরগাছার নেতাদের এ বিষয়ে করনীয় কিছু নেই কেন?
উত্তর হচ্ছে নাই।কারন এই গাছ কাটার কাজটি করেছেন গাছ খেকো মাহাবুর গং, মোশারফ গং এবং ওয়াজেদ গং। যারা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের থানা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলনের ডান হাত। এরা বর্তমানে বিএনপিতে সক্রিয় রাজনীতি করছেন বলে দাবি করে আসছেন। কিন্তু বিগত ২০২৪সালে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তাদেকে দেখা গিয়েছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের থানা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলনের পক্ষে নৌকা মার্কার হয়ে নির্বাচন প্রচারনা করতে ।এবং এরা সব সময় নানান রকম আপকর্ম করে এবং সুযোগ সুবিধা নেয় । আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন হলেন বর্তমান বিনপির উপজেলায় সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার চাচা।
গাছ খেকো মাহাবুর, আওয়ামী লীগের থানা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলনকে ফোন করে অনুরোধ করে শামিমের এই গাছ বিষয়ে যেন কোন হস্তহক্ষেপ না করে। এবং প্রশাসন যেন শামিমকে সহযোগিতা না করে, পুলিশ যেন শামিমের কোন মামলা বা অভিযোগ না নেয়।
আওয়ামী লীগের থানা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন তার ভাতিজা ও বর্তমান বিনপির উপজেলায় সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা কে গাছ কাটা নিয়ে বিবাদটি খুলে বলেন ও প্রশাসন ও পুলিশকে শামিমের কোন অভিযোগ না নেয়ার জন্য বলতে বলেন।
এর পরে থেকে শামিম বেশ কয়েকবার থানায় গিয়েও কোন কাজ হয় নাই। তাকে ঘন্টার পর ঘন্টা থানার বানান্দায় দ্বারিয়ে থাকতে হয়েছে।
২.স্থানীয় বিএনপির প্রার্থী এমদাদুল ভরসা সাহেব শামীমের খোজ নিয়েছেন কিনা?
উত্তর হচ্ছে না, খবর নিবেও না। কারন সে জানে এখানে আওয়ামী লীগের থানা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলনের হাত রয়েছে। যা কোন ভাবেই হস্তক্ষেপ করা যাবে না। তাহলে আওয়ামী লীগের ভোট গুলো হারাবে।
৩.প্রশাসনিক ভাবে শামীম কতটুকু সাপোর্ট পাচ্ছে?
উত্তর হচ্ছে একটুও পাচ্ছে না। কারন আওয়ামী লীগের থানা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন তার ভাতিজা ও বর্তমান বিনপির উপজেলায় সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার মাধ্যমে প্রশাসন ও পুলিশকে হাত করে রেখেছে।
৪.শামীমের চিকিৎসায় কোন নেতা তার খোজ নিয়েছে কিনা?
উত্তর হচ্ছে না, কি দরকার ? যে বিনপির কর্মী থানা সভাপতির নির্দেশ মানে না, তার আবার কিসের চিকিৎসা। মরে গেলেই বিপদ পার।
শামিম তার ফেসবুকে লিখে “আমি আজকে থেকে আমার এই জীবন আমি এ দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি। আমি প্রতিবাদ করেই যাব আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন ।
শুধুমাত্র প্রতিবাদের কারণে ১৯ আগস্ট দ্বিতীয়বার শামিমকে সাতদরগা বাজারে হামলা করে, গাছ খেকো মাহাবুর গং মোশারফ গং এবং ওয়াজেদ গং। এত প্রমান থাকতেও কেন আসামি ধরতেছে না এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই প্রশাসনের কাছে?
উল্টো শামিমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে।
নাগরিকদের অধিকার আর আইনের সুসাশন নাই। শামীম তুমি এগিয়ে যাও।আরও প্রতিবাদী হও।পীরগাছা বাসিকে লজ্জা দাও।