০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৮

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:২২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬০০৯ Time View

রাজশাহীর আদালতে আসা এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অপহরণের শিকার সোহেল রানাকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আটজনকে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটক আটজন হলেন— নুর ইসলাম (২৭), মো. টিটু (৩০), সাজিদুর রহমান সাজিদ (২১), রাজন ওরফে কাওছার (২২), তারেকুল ইসলাম (৫৫), রেজা আলম (১৮), রাকিব মহসিন ওরফে রিয়াদ (২২) ও ওমর আলী (৫০)। 

ভুক্তভোগী সোহেলের বাড়িও বাগমারার নরসিংপুর গ্রামে। ওমরের বাড়িও একই গ্রামে। বাকিদের বাড়ি রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। 

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সোহেল রানা মামলার বিষয়ে খোঁজ নিতে রাজশাহী আদালতে আসেন। আদালতের প্রধান ফটক থেকে তাকে অপহরণ করেন কয়েকজন ব্যক্তি। অপহরণকারীরা সোহেল রানার ছোট ভাইয়ের মোবাইল ফোনে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ সময় সোহেলের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তার চিৎকার মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের শোনানো হয়। মুক্তিপণ না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

সোহেল রানার স্ত্রী দ্রুত ঘটনাটি রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) জানান। পরে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য সোহেল রানার স্ত্রীকে রাজশাহী শহরের কোর্ট স্টেশনের জামাল চত্বরে যেতে বলেন। সোহেল রানার স্ত্রী সেই কথামতো সেখানে যান। ডিবি পুলিশও তাকে অনুসরণ করে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসা নুর ইসলাম ও রাজন ওরফে কাওছারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। 

ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ কের ডিবি জানতে পারে যে, সোহেলকে রাজশাহী শহরের মহিষবাথান উত্তর পাড়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে সোহেল রানাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযানকালে সেখান থেকে অপহরণকারী চক্রের আরো পাঁচজন—টিটু, সাজিদুর, তারেকুল, রেজা ও রাকিবকে আটক করা হয়। তবে, ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে আরো কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ঝাউতলা মোড় থেকে ওমর আলীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

পুলিশ কর্মকর্তা গাজিউর রহমান জানিয়েছেন, অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

আমাদের ফরেন পলিসিকে আউটসোর্স করে রাখা ছিল: প্রেস সচিব

রাজশাহীতে যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৮

সময়ঃ ১২:২২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

রাজশাহীর আদালতে আসা এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অপহরণের শিকার সোহেল রানাকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আটজনকে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটক আটজন হলেন— নুর ইসলাম (২৭), মো. টিটু (৩০), সাজিদুর রহমান সাজিদ (২১), রাজন ওরফে কাওছার (২২), তারেকুল ইসলাম (৫৫), রেজা আলম (১৮), রাকিব মহসিন ওরফে রিয়াদ (২২) ও ওমর আলী (৫০)। 

ভুক্তভোগী সোহেলের বাড়িও বাগমারার নরসিংপুর গ্রামে। ওমরের বাড়িও একই গ্রামে। বাকিদের বাড়ি রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। 

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সোহেল রানা মামলার বিষয়ে খোঁজ নিতে রাজশাহী আদালতে আসেন। আদালতের প্রধান ফটক থেকে তাকে অপহরণ করেন কয়েকজন ব্যক্তি। অপহরণকারীরা সোহেল রানার ছোট ভাইয়ের মোবাইল ফোনে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ সময় সোহেলের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তার চিৎকার মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের শোনানো হয়। মুক্তিপণ না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

সোহেল রানার স্ত্রী দ্রুত ঘটনাটি রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) জানান। পরে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য সোহেল রানার স্ত্রীকে রাজশাহী শহরের কোর্ট স্টেশনের জামাল চত্বরে যেতে বলেন। সোহেল রানার স্ত্রী সেই কথামতো সেখানে যান। ডিবি পুলিশও তাকে অনুসরণ করে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসা নুর ইসলাম ও রাজন ওরফে কাওছারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। 

ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ কের ডিবি জানতে পারে যে, সোহেলকে রাজশাহী শহরের মহিষবাথান উত্তর পাড়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে সোহেল রানাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযানকালে সেখান থেকে অপহরণকারী চক্রের আরো পাঁচজন—টিটু, সাজিদুর, তারেকুল, রেজা ও রাকিবকে আটক করা হয়। তবে, ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে আরো কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ঝাউতলা মোড় থেকে ওমর আলীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

পুলিশ কর্মকর্তা গাজিউর রহমান জানিয়েছেন, অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।