কোরআনে নফস
কোরআনে নফসের বিভিন্ন অবস্থা বর্ণিত হয়েছে।
১. নফসে আম্মারা (পাপপ্রবণ নফস): “নিশ্চয়ই নফস তো মন্দের দিকে প্রবলভাবে প্ররোচিত করে।” (সুরা ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)
এটি হলো নফসের সবচেয়ে নিচু স্তর, যেখানে প্রবৃত্তি কেবল গুনাহের দিকে টানে।
২. নফসে লাওয়ামাহ (ধিক্কারদাতা নফস): “আমি শপথ করি ধিক্কারদাতা নফসের।” (সুরা কিয়ামাহ, আয়াত: ২)
এটি হলো সেই নফস, যা ভুল করলে অনুতপ্ত হয় এবং মানুষকে তওবার দিকে নিয়ে যায়।
৩. নফসে মুতমাইন্নাহ (শান্ত আত্মা): “হে শান্ত নফস! তোমার রবের কাছে ফিরে আসো, তুমি তাঁর সন্তুষ্ট, তিনিও তোমার প্রতি সন্তুষ্ট।” (সুরা ফাজর, আয়াত: ২৭-২৮)
এটি হলো নফসের সর্বোচ্চ স্তর, যেখানে আল্লাহর স্মরণে অন্তর প্রশান্ত থাকে।
হাদিসে নফস
রাসুল (সা.) বলেছেন: “সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাহিদ সে-ই, যে নিজের নফস ও খেয়ালকে নিয়ন্ত্রণ করে।” (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪২৯৭)
আরেকটি হাদিসে তিনি দোয়া করেছেন: “হে আল্লাহ, আমার নফসকে তাকওয়া দান করো এবং তাকে পবিত্র করো, তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ পবিত্রকারী।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৭২২)