০৯:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথম বিসিএস পরীক্ষায় ২ বোন স্বাস্থ্য ক্যাডার, আনন্দে ভাসছে পরিবার

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৬০৩৩ Time View
দুই বোন ডা. সিলমা সারিকা শশী ও ডা. সিলমা সুবাহ আরশী

রাজবাড়ী: ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় প্রথমবার অংশ নিয়েই রাজবাড়ীর দুই বোন ডা. সিলমা সারিকা শশী ও ডা. সিলমা সুবাহ আরশী স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। বিসিএসে একসঙ্গে দুই বোনের সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবারটি।

শশী ও আরশী রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী মোল্লা এবং বালিয়াকান্দির মীর মশাররফ হোসেন কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মালেকা আক্তার শিখা দম্পতির মেয়ে। তাদের নানা ছিলেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক ক্রীড়া শিক্ষক মরহুম আব্দুল গফুর।  

তারা রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল এবং রাজবাড়ী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো. মাহমুদুল হাসান তমালের ভাগ্নি।

শশী ও আরশী তিন ভাইবোন। তাদের একমাত্র ভাই আশিক ইলাহি আলিফ রাজবাড়ী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।

জানা গেছে, শশী ও আরশী দুজনই ২০১৫ সালে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এরপর শশী ভর্তি হন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে (মমেক) এবং আরশী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে (মিটফোর্ড)। ২০২২ সালে তারা এমবিবিএস সম্পন্ন করেন এবং পরে ইন্টার্নশিপ শেষে বিসিএসের প্রস্তুতি নেন।

শশী ও আরশীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী বলেন, আমার দুই মেয়ে ছোটবেলা থেকেই অনেক মেধাবী। তাদের স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়া। সেই লক্ষ্য নিয়েই তারা পড়াশোনা করেছেন। আমি আর তাদের মা সবসময় মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছি। তারা একই বয়সী হওয়ায় এসএসসি ও এইচএসসি একই সঙ্গে দিয়েছেন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন। শশী ময়মনসিংহ মেডিকেল ও আরশী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন। পরে তারা বিসিএসের প্রস্তুতি নেন এবং ৪৮তম বিসিএসে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। এটি ছিল তাদের জীবনের প্রথম বিসিএস পরীক্ষা। আমি সবার কাছে আমার দুই মেয়ের জন্য দোয়া চাই।

শশী ও আরশীর মামা, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল বলেন, আমার দুই ভাগ্নির একসঙ্গে বিসিএস জয় আমাদের জন্য আনন্দের। তারা যেন ভবিষ্যতে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারেন, এটাই প্রত্যাশা। তাদের এই সাফল্যে বাবা-মা, ভাইবোনের পাশাপাশি ভবানীপুর গ্রামবাসীও আনন্দিত। তারা দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

প্রথম বিসিএস পরীক্ষায় ২ বোন স্বাস্থ্য ক্যাডার, আনন্দে ভাসছে পরিবার

সময়ঃ ১২:০৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দুই বোন ডা. সিলমা সারিকা শশী ও ডা. সিলমা সুবাহ আরশী

রাজবাড়ী: ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় প্রথমবার অংশ নিয়েই রাজবাড়ীর দুই বোন ডা. সিলমা সারিকা শশী ও ডা. সিলমা সুবাহ আরশী স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। বিসিএসে একসঙ্গে দুই বোনের সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পরিবারটি।

শশী ও আরশী রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী মোল্লা এবং বালিয়াকান্দির মীর মশাররফ হোসেন কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মালেকা আক্তার শিখা দম্পতির মেয়ে। তাদের নানা ছিলেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক ক্রীড়া শিক্ষক মরহুম আব্দুল গফুর।  

তারা রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল এবং রাজবাড়ী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো. মাহমুদুল হাসান তমালের ভাগ্নি।

শশী ও আরশী তিন ভাইবোন। তাদের একমাত্র ভাই আশিক ইলাহি আলিফ রাজবাড়ী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।

জানা গেছে, শশী ও আরশী দুজনই ২০১৫ সালে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এরপর শশী ভর্তি হন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে (মমেক) এবং আরশী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে (মিটফোর্ড)। ২০২২ সালে তারা এমবিবিএস সম্পন্ন করেন এবং পরে ইন্টার্নশিপ শেষে বিসিএসের প্রস্তুতি নেন।

শশী ও আরশীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী বলেন, আমার দুই মেয়ে ছোটবেলা থেকেই অনেক মেধাবী। তাদের স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়া। সেই লক্ষ্য নিয়েই তারা পড়াশোনা করেছেন। আমি আর তাদের মা সবসময় মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছি। তারা একই বয়সী হওয়ায় এসএসসি ও এইচএসসি একই সঙ্গে দিয়েছেন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন। শশী ময়মনসিংহ মেডিকেল ও আরশী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন। পরে তারা বিসিএসের প্রস্তুতি নেন এবং ৪৮তম বিসিএসে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। এটি ছিল তাদের জীবনের প্রথম বিসিএস পরীক্ষা। আমি সবার কাছে আমার দুই মেয়ের জন্য দোয়া চাই।

শশী ও আরশীর মামা, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল বলেন, আমার দুই ভাগ্নির একসঙ্গে বিসিএস জয় আমাদের জন্য আনন্দের। তারা যেন ভবিষ্যতে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারেন, এটাই প্রত্যাশা। তাদের এই সাফল্যে বাবা-মা, ভাইবোনের পাশাপাশি ভবানীপুর গ্রামবাসীও আনন্দিত। তারা দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।