পাকিস্তান আমলে লালন সঙ্গীত ছিল পল্লী সঙ্গীত। এ দায়টা ছিল কুষ্টিয়ার।
কারণ সাধু গুরুরা ছিল কুষ্টিয়ার। এটা একান্তই কুষ্টিয়ার। কুষ্টিয়ার নাম ছিল নদিয়া। ফকির লালন জানে কিতা, নদিয়ার ভাবের কথা। নদিয়ার বিশাল ভাবের জগতটা একেবারে অন্ধকারে হারিয়ে গিয়েছিল। ফরিদা পারভীনের মাধ্যমে এ জিনিষটা সামনে এসেছিল।
আমরা যখন বুঝতে শিখলাম, ফকির লালন শাহ পল্লী গীতি নন, উনি পল্লী গায়কও নন, উনি শুধুমাত্র গীতিকার নন, বাংলার দর্শনের জগতের শিরমনি ছিলেন। বাংলার ভাব ধারার রূপান্তরে লালনের অবদান অসামান্য। সেটা যিনি আমাদের ধরিয়ে দিয়েছেন তিনি ফরিদা পারভীন। ফরিদা পারভীনের গানের গায়কী, গানের ভঙ্গি, সাধু জগতে পরিচিত করেছে। সাধু জগতে ভাব সঙ্গীতের যে সুতাটা ছিড়ে গিয়েছিল সেটা ফরিদা পারভীন বেঁধে দিয়েছিল। এটা অসামান্য।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে শেষ বিদায় জানাতে এসে বিশিষ্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার এ মন্তব্য করেন।
পরে তিনি সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের জানাজা নামাজে অংশ নেন।
আরএ