রাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। পোষ্য কোটা নিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির রেশ ধরে এই লাগাতার কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দ্বিতীয় দিনের মতো তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। এতে ক্যাম্পাস ফাঁকা হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় এই শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রশাসন ভবনের পশ্চিম পাশে চেয়ার পেতে বসে আছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রশাসন ভবনে বেশিরভাগ দপ্তরে তালা ঝুললেও কিছু কিছু অফিস খোলা রয়েছে।
বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে চেয়ার পেতে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “আমাদের যেটা কমপ্লিট শাটডাউন চলছে, গত ২০ তারিখে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ অনেককে শারিরীক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তারই প্রতিবাদে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব না। শুধু আমরা না, গোটা বাংলাদেশের শিক্ষকেরা আজ স্তম্ভিত। যতক্ষণ পর্যন্ত এটার সুষ্ঠু বিচার না হবে, ততক্ষণ আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্টার আবু মো. তারেক বলেন, “আমাদের দাবি সুস্পষ্ট, আমাদের উপ-উপাচার্য লাঞ্ছিত হয়েছেন। এর সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আমরা কোনোভাবেই কাজে ফিরে যাব না।”
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত রাকসু নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল ক্যাম্পাসে। প্রার্থীরা নানা কৌশলে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। এর মধ্যে সেদিন সন্ধ্যায় বাতিল হয়ে যাওয়া পোষ্য কোটা ১০ শর্তে ফিরিয়ে আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষক-কর্মকর্তারা লাঞ্ছিতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে এক দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম লাগাতার কর্মবিরতি এবং অফিসার সমিতি ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দিলে সোমবার বিকেল ৫টায় রাকসু নির্বাচন কমিশনার জরুরি সভা করে। সভা শেষে আগামী মাসের ১৬ অক্টোবর ভোট ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
Sangbad365 Admin 














