সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে চাকরি হারানোর আশঙ্কা থেকে এই দম্পতি তাদের গর্ভধারণের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। কারণ, ইতিমধ্যে তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বরের ভোরে রাজকুমারী বাড়িতেই সন্তানের জন্ম দেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটিকে জঙ্গলে নিয়ে একটি পাথরের নিচে ফেলে আসা হয়।
সকালে হাঁটতে বের হওয়া নন্দনওয়াড়ি গ্রামের মানুষ প্রথম কান্নার শব্দ শুনতে পান। এক গ্রামবাসী বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম কোনো পশুর বাচ্চা কাঁদছে। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখি, একটি পাথরের নিচ থেকে ছোট্ট দুটি হাত নড়াচড়া করছে। পাথরের নিচ থেকে হাতের কিছু অংশ বেরিয়ে আসছে। কোনো মা–বাবারই এমন কাজ করা উচিত নয়।’
ছিন্দওয়াড়া জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, শিশুটির শরীরে পিঁপড়ের কামড়ের দাগ ছিল। সে হাইপোথারমিয়ায় (অতিরিক্ত ঠান্ডা) ভুগছিল।
হাসপাতালের এক শিশুবিশেষজ্ঞ বলেন, শিশুটির বেঁচে থাকাটা কোনো অলৌকিক ঘটনার চেয়ে কম নয়। এই অবস্থায় সারা রাত বাইরে থাকলে সাধারণত মৃত্যু অনিবার্য। নবজাতকটি এখন নিরাপদ ও সুস্থ আছে। তাকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
Sangbad365 Admin 













