হেসে খেলে জয় পাওয়ার সুযোগ ছিল। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জবাবটাও ছিল দারুণ। কিন্তু হঠাৎই পথ হারিয়ে স্রেফ এলোমেলো বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার রশিদ খান ঝড়ে ৯ রানে ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
এমন একটি অবস্থা তৈরি হয়েছিল, যেখানে ১৫১ রান তাড়া করে জয় পাওয়াটকে মনে হচ্ছিল দূর আকাশের তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্নায়ু স্থির রেখে, নিজেদের সামর্থে বিশ্বাস রেখে অনায়েস জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানকে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১৫১ রান করে আফগানিস্তান। বাংলাদেশ ৮ বল আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং যুতসই হয়নি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের মূল নজর ছিল ব্যাটিংয়ে। তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে আশা বাড়ছিল বাংলাদেশের৷ এই বুঝি নিজেদের দেওয়া কথা রাখতে শুরু করল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা৷
পাওয়ার প্লে’তে ৫০ রান। ১০.৫ ওভারে ১০০ রান ছুঁয়ে ফেলেন দুই ব্যাটসম্যান। এরপর আরো আরো ৯ রান যোগ করলে ভাঙে তাদের জুটি৷ এরপরই শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের রূপ বদল৷ যেন পুরনো চেহারাতেই ফিরে আসে দল।
৫৪ রানে পারভেজ, ৫১ রানে তানজিদ ফেরার পর সাইফ, জাকের, শামীম ও তানজিম সিঙ্গেল ডিজিটে আউট। সাইফ, শামীম ও তানজিম খুলতেও পারেননি রানের খাতা। ১০৯ রান থেকে ১১৮ রানে যেতে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রশিদ খান ৪টি, নুরু ও ফরিদ ১টি করে উইকেট নেন।
শেষ ২৪ বলে বাংলাদেশের ৩৪ রান লাগতো। হাতে ৪ উইকেট৷ যেকোনো ধরনের ক্রিকেটেই এই রান তেমন কিছু নয়। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং যেখানে নড়বড়ে সেখানে আত্মবিশ্বাস অনেক ব্যয়বহুল শব্দ। তবুও আশায় বুক বাঁধা। কেউ না কেউ হাল ধরবেন!
রিশাদ ও সোহান সেই কাজটাই করলেন। ১৭ তম ওভারে ৭ ও ১৮ তম ওভারে ১১ রান যোগ করলেন দুজন। শেষ ১২ বলে চাই ১৬ রান। সোহান আজমতউল্লাহর করা ওভারের শুরুর দুই বলেই হিসেব সহজ করে দেন। প্রথম বল লং অন দিয়ে ছক্কা। দ্বিতীয়টি স্কুপ করে ডিপ থার্ডম্যান দিয়ে আরেকটি ছক্কা। পরের বলে সিঙ্গেল। রিশাদ চতুর্থ বল পুল করে উইকেট কিপারের মাথার উপর দিয়ে চার মেরে জয়ের সমীকরণ মিলিয়ে নেন।
সোহান ২৩ ও রিশাদ ১৪ রানে অপরাজিত থেকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়েছেন স্বস্তি। বাংলাদেশ তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
শারজাহ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তানের ব্যাটিং তেমন জমেনি। শত রানের আগেই ৬ উইকেট হারায় তারা। ওভার শেষ হয়ে যায় ১৫টি।
ইব্রাহিম জাদরানকে নাসুম বোল্ড করেন ১৫ রানে। সেদিকুল্লাহ অতল (১০) ও দারউস রসুল (০) দলীয় ৩১ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ভালো করেননি ইসহাক (১) ও ওমারজাই (১৮)। তিনে নামা গুরবাজ আশা দেখালেও ৩১ বলে ৪০ রানের বেশি করতে পারেনি। ২টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে৷
আফগানিস্তানের তখন ভরসা ছিল কেবল মোহাম্মদ নবী। দলের প্রত্যাশা ও পূরণ করেন তিনি। ২৫ বলে ৩৮ রান করেন ১টি চার ও ৪ টি ছক্কায়৷ তাসকিনকে এক ওভারে দুইটি বিশাল ছক্কাও ছিল তার ইনিংসে।
তবুও বাংলাদেশ ১৪০ এর নিচে স্কোর রাখতে পারতো। কিন্তু তানজিমের শেষ ওভারটি ছিল ব্যয়বহুল। শরীফ উদ্দিন ১টি করে চার ও ছক্কায় ১৪ রান আদায় করে নেন।
২টি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান। তাসকিন, মোস্তাফিজ ও নাসুম ১টি করে উইকেট নেন।
৩৭ বলে ৫৪ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন পারভেজ হোসেন।
Sangbad365 Admin 













