০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাকসুর ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৬০১১ Time View

পঁয়ত্রিশ বছরের ফাঁড়া কাটিয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে শীর্ষ দুই পদ ভিপি ও জিএসে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা; অবশ্য চমক সৃষ্টি করে এজিএস পদে বিজয়মালা উঠেছে ছাত্রদলের প্রার্থীর গলায়।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণের পর সন্ধ্যার পর ভোটগণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টা বাদে মধ্যরাত থেকে ফলাফলের ঘোষণা আসতে থাকে; যেখানে বেশিরভাগ পদে লড়াই হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে। ফল এসেছে শিবিরের পক্ষেই বেশি। শুধু এজিএস ও সহ-খেলাধুলা বিষয়ক সম্পাদক ছাড়া পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয় পেয়েছে তারা।

এর মধ্য দিয়ে ১৯৮১ সালের পর আবার চাকসুর নেতৃত্বে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী আদর্শের এই ছাত্রসংগঠন। অবশ্য ১৯৯০ সালের চাকুস নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা জেতেনি। সেবার ঐক্য প্যানেল শিবিরকে পরাজিত করেছিল। এসব হিসাবের বাইরে প্রচলিত রয়েছে, ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আশির দশক থেকে আধিপত্য বজায় রেখেছে শিবির।

পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ডাকসু ও জাকসুর পর ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ছাত্রসংসদ নির্বাচন হলো, যেখানে ছাত্রদল তুলনামূলক ভালো ফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। উদারপন্থা ও প্রগতিশীলতার চর্চার ‘আতুড়ঘর’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের নেতা বা প্রতিনিধি হিসেবে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বেছে নিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে, সেখানে শিবির-ছাত্রদল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস রয়েছে। অবশ্য ছাত্ররাজনীতির দিক থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘শিবিরের ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত। নিষিদ্ধ হওয়ায় ছাত্রলীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি।

বুধবার রাত থেকে গণনা শুরু হলেও চাকসুর মোট ১৫টি কেন্দ্রের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করতে ভোর হয়ে যায়। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোষণা করা ফলাফল অনুযায়ী, চাকসুর ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন শিবিরের ইব্রাহিম রনি। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে ছাত্রদলের সাজ্জাদ হৃদয়ের। অবশ্য দুজনের ভোটের ব্যবধান উল্লেখযোগ্য। যদিও ডাকসু ও জাকসুর মতো হয়নি।

চাকসুর জিএস পদে প্রায় সব কেন্দ্রে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শিবিরের সাঈদ বিন হাবিব। ছাত্রদলের শাফায়াত তাকে চ্যালেঞ্জ জানালে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি তিনি। অবশ্য শায়ায়াতও ডাকসু-জাকসুর ছাত্রদল প্রার্থীদের মতো ভেসে যাননি; বেশ ভোট তার ঝুলিতে আনতে পেরেছেন।

চাকসু ভোটে সবচেয়ে বড় চমক সৃষ্টি করেছেন ছাত্রদলের ‎আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। এজিএস পদে একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এই পদে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি সেভাবে।

চাকসু নির্বাচনে এবার মোট ১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোর নাগাদ সব কেন্দ্রের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

এবারের নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদে কে কোন কেন্দ্রে কত ভোট পেয়েছেন? দেখে নেওয়া যাক একনজরে।

আলাওল হল কেন্দ্র
চাকসুর ভোটে এই কেন্দ্রে ভিপি পদে শিবিরের ইব্রাহিম রনি ৩৯৩টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হৃদয় পেয়েছেন ২৫১টি ভোট।

জিএস পদে শিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ৩৯৩টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; আর ছাত্রদলের শাফায়াত ২০০টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। 

এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৪৭১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না পেয়েছেন ২২৫টি ভোট।

বিজয় ২৪ হল কেন্দ্র (ছাত্রী হল) 
এই হলে ভিপি পদে শিবিরের রনি ৬৪৪টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে ছাত্রদলের সাজ্জাদ ২২৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

জিএস পদে শিবিরের সাঈব হাবিব ৬৮৯টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ছাত্রদলের শাফায়াত, তার প্রাপ্ত ভোট ১৬৪টি।

এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৫৬৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। শিবিরের মুন্না ৩৫১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

এফ রহমান হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৩৮১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে হৃদয় (ছাত্রদল) ২২৬ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৩৫১ ও শাফায়াত (ছাত্রদল) ২২০টি ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক (দল) ৪৪২টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এবং মুন্না (শিবির) ২৩১ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

শাহজালাল হল কেন্দ্র 
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৭৭৯ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাজ্জাদ হৃদয় (ছাত্রদল) ৪৮১ ভোট পেয়েছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৭৮০ পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; শাফায়াত (দল) ২৮৫টি দ্বিতীয় হয়েছেন।

শাহজালাল হল কেন্দ্রে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না ছাত্রদলের তৌফিকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এই হলে মুন্না মুন্না (শিবির) ৭৮৩টি এবং তৌফিক (দল) ৫৮৯টি ভোট পেয়েছেন।

শিল্পী আব্দুর রশিদ চৌধুরী হোস্টেল কেন্দ্র
এখানে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ৩৪টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ২৭ ভোট নিয়ে শিবিরের রনি দ্বিতীয় এবং ২৬টি ভোট নিয়ে বামের ধ্রুব বড়ুয়া তৃতীয় হয়েছেন।

জিএস পদে সুদর্শন চাকমা (বাম) ২৯টি ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন। এখানে সাঈদ (শিবির) ২৮টি এবং শাফায়াত (ছাত্রদল) ১৪টি ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৩৮টি এবং শিবিরের মুন্না ১১টি ভোট পেয়েছেন।

অতীশ দীপংকর হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ২২৩টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ধ্রুব বড়ুয়া (বৈচিত্র্যের ঐক্য) ও ইব্রাহিম রনি (শিবির) ‍উভয়েই ৯০টি করে ভোট পেয়েছেন। 

জিএস পদে শাফায়াত (ছাত্রদল) ১৬৪টি ভোট নিয়ে এখানে এগিয়ে রয়েছেন। সুদর্শন চাকমা (বামজোট) ১৩১টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় এবং সাঈদ (শিবির) ৮৩টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৬৬টি। যেখানে পলাশ দে (বিনির্মাণ শিক্ষার্থী জোট) ৬২টি এবং মুন্না (শিবির) ৪৫টি ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ৬০ শতাংশ অমুসলিম শিক্ষার্থী থাকেন।

সোহরাওয়ার্দী হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ১ হাজার ৪৮৮টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এখানে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) পেয়েছেন ৬৮০টি ভোট।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ১ হাজার ৪০৪টি ভোট নিয়ে ব্যাপক ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন ৪৫৮টি ভোট পাওয়া শাফায়াতকে।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৯৬৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; যেখানে ৯০৬ নিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েছেন মুন্না (শিবির)। 

শহীদ আব্দুর রব হল কেন্দ্র 
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৬৪৯ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; যেখানে হৃদয় (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৮২টি ভোট।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৬৩৬টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আর ছাত্রদলের শাফায়াত পেয়েছেন ১৫৭টি ভোট।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৫৪০ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; শিবিরের মুন্না পেয়েছেন ৩৬৩টি ভোট।

খালেদা জিয়া হল (ছাত্রী হল) কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৬২২টি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। ছাত্রদলের সাজ্জাদ পেয়েছেন ৩০৩টি ভোট পেয়েছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৬৮১টি এবং শাফায়াত (ছাত্রদল) ১৪৬টি ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক তৌফিক (ছাত্রদল) ৫৩৬টি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন এবং মুন্না (শিবির) ৩৭৬টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

নবাব ফয়জুন্নেসা হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ২৯১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। রনি (শিবির) ২১২টি ভোট টানতে পেরেছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ২৬৪টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। শাফায়াত (ছাত্রদল) পেয়েছেন ১১৭টি ভোট। তবে এই হলে সুদর্শন চাকমা ১৩৪টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৩১৭টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। মুন্না (শিবির) পেয়েছেন ১৩১টি।

শামসুন নাহার হল (ছাত্রী হল) কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৪৯৬ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। হৃদয় (ছাত্রদল) ২২৮ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৫৩৮টি ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন। শাফায়াত (ছাত্রদল) ১২২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৩৯৩ ভোট নিয়ে প্রথম স্থানে এবং মুন্না (শিবির) ৩০৪ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

প্রীতিলতা হল (ছাত্রী হল) কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৫৮১টি ভোট নিয়ে প্রথম এবং সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ২৮৩টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। 

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৫৯২টি এবং শাফায়েত (ছাত্রদল) ১৫৮টি ভোট পেয়ে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৫০৪টি ভোট পেয়েছে জিতেছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মুন্না (শিবির), যার ভোট ৩৩৮টি।

শাহ আমানত হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৭২৯ ভোট পেয়ে প্রথম এবং সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ৩৭৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৬৮১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। শাফায়াত (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৪০টি ভোট। 

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৬৪১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। মুন্না (শিবির) পেয়েছেন ৪৪০টি ভোট।

মাস্টার দ্য সূর্যসেন কেন্দ্র
‎এই হলে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ১৪১টি ভোট পেয়ে প্রথম এবং রনি (শিবির) ১৩০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

‎জিএস পদে ‎সাঈদ (শিবির) ১৭৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ‎শাফায়াত (ছাত্রদল) ৫৩টি ভোট পেয়েছেন।

‎এজিএস পদে ‎ তৌফিক (ছাত্রদল) ১৭০টি ভোট পেয়েছেন। মুন্না (শিবির) পেয়েছেন ৬৫টি ভোট।

ফরহাদ হোসেন হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৭৬২টি ভোট পেয়ে প্রথম এবং ২৮৮টি নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন সাজ্জাদ (ছাত্রদল)।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৭৩৬টি ভোট পেয়ে প্রথম এবং শাফায়াত (ছাত্রদল) ২১৬টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৫৫৫টি ভোট পেয়ে প্রথম এবং মুন্না (শিবির) ৪৭৬টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন।

ট্যাগঃ

চাকসুর ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

সময়ঃ ১২:০২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

পঁয়ত্রিশ বছরের ফাঁড়া কাটিয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে শীর্ষ দুই পদ ভিপি ও জিএসে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা; অবশ্য চমক সৃষ্টি করে এজিএস পদে বিজয়মালা উঠেছে ছাত্রদলের প্রার্থীর গলায়।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণের পর সন্ধ্যার পর ভোটগণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টা বাদে মধ্যরাত থেকে ফলাফলের ঘোষণা আসতে থাকে; যেখানে বেশিরভাগ পদে লড়াই হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে। ফল এসেছে শিবিরের পক্ষেই বেশি। শুধু এজিএস ও সহ-খেলাধুলা বিষয়ক সম্পাদক ছাড়া পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয় পেয়েছে তারা।

এর মধ্য দিয়ে ১৯৮১ সালের পর আবার চাকসুর নেতৃত্বে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী আদর্শের এই ছাত্রসংগঠন। অবশ্য ১৯৯০ সালের চাকুস নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা জেতেনি। সেবার ঐক্য প্যানেল শিবিরকে পরাজিত করেছিল। এসব হিসাবের বাইরে প্রচলিত রয়েছে, ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আশির দশক থেকে আধিপত্য বজায় রেখেছে শিবির।

পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ডাকসু ও জাকসুর পর ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ছাত্রসংসদ নির্বাচন হলো, যেখানে ছাত্রদল তুলনামূলক ভালো ফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। উদারপন্থা ও প্রগতিশীলতার চর্চার ‘আতুড়ঘর’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের নেতা বা প্রতিনিধি হিসেবে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বেছে নিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে, সেখানে শিবির-ছাত্রদল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস রয়েছে। অবশ্য ছাত্ররাজনীতির দিক থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘শিবিরের ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত। নিষিদ্ধ হওয়ায় ছাত্রলীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি।

বুধবার রাত থেকে গণনা শুরু হলেও চাকসুর মোট ১৫টি কেন্দ্রের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করতে ভোর হয়ে যায়। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোষণা করা ফলাফল অনুযায়ী, চাকসুর ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন শিবিরের ইব্রাহিম রনি। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে ছাত্রদলের সাজ্জাদ হৃদয়ের। অবশ্য দুজনের ভোটের ব্যবধান উল্লেখযোগ্য। যদিও ডাকসু ও জাকসুর মতো হয়নি।

চাকসুর জিএস পদে প্রায় সব কেন্দ্রে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শিবিরের সাঈদ বিন হাবিব। ছাত্রদলের শাফায়াত তাকে চ্যালেঞ্জ জানালে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি তিনি। অবশ্য শায়ায়াতও ডাকসু-জাকসুর ছাত্রদল প্রার্থীদের মতো ভেসে যাননি; বেশ ভোট তার ঝুলিতে আনতে পেরেছেন।

চাকসু ভোটে সবচেয়ে বড় চমক সৃষ্টি করেছেন ছাত্রদলের ‎আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। এজিএস পদে একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এই পদে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি সেভাবে।

চাকসু নির্বাচনে এবার মোট ১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোর নাগাদ সব কেন্দ্রের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

এবারের নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদে কে কোন কেন্দ্রে কত ভোট পেয়েছেন? দেখে নেওয়া যাক একনজরে।

আলাওল হল কেন্দ্র
চাকসুর ভোটে এই কেন্দ্রে ভিপি পদে শিবিরের ইব্রাহিম রনি ৩৯৩টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হৃদয় পেয়েছেন ২৫১টি ভোট।

জিএস পদে শিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ৩৯৩টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; আর ছাত্রদলের শাফায়াত ২০০টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। 

এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৪৭১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না পেয়েছেন ২২৫টি ভোট।

বিজয় ২৪ হল কেন্দ্র (ছাত্রী হল) 
এই হলে ভিপি পদে শিবিরের রনি ৬৪৪টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে ছাত্রদলের সাজ্জাদ ২২৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

জিএস পদে শিবিরের সাঈব হাবিব ৬৮৯টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ছাত্রদলের শাফায়াত, তার প্রাপ্ত ভোট ১৬৪টি।

এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৫৬৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। শিবিরের মুন্না ৩৫১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

এফ রহমান হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৩৮১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে হৃদয় (ছাত্রদল) ২২৬ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৩৫১ ও শাফায়াত (ছাত্রদল) ২২০টি ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক (দল) ৪৪২টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এবং মুন্না (শিবির) ২৩১ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

শাহজালাল হল কেন্দ্র 
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৭৭৯ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাজ্জাদ হৃদয় (ছাত্রদল) ৪৮১ ভোট পেয়েছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৭৮০ পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; শাফায়াত (দল) ২৮৫টি দ্বিতীয় হয়েছেন।

শাহজালাল হল কেন্দ্রে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না ছাত্রদলের তৌফিকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এই হলে মুন্না মুন্না (শিবির) ৭৮৩টি এবং তৌফিক (দল) ৫৮৯টি ভোট পেয়েছেন।

শিল্পী আব্দুর রশিদ চৌধুরী হোস্টেল কেন্দ্র
এখানে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ৩৪টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ২৭ ভোট নিয়ে শিবিরের রনি দ্বিতীয় এবং ২৬টি ভোট নিয়ে বামের ধ্রুব বড়ুয়া তৃতীয় হয়েছেন।

জিএস পদে সুদর্শন চাকমা (বাম) ২৯টি ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন। এখানে সাঈদ (শিবির) ২৮টি এবং শাফায়াত (ছাত্রদল) ১৪টি ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৩৮টি এবং শিবিরের মুন্না ১১টি ভোট পেয়েছেন।

অতীশ দীপংকর হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ২২৩টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ধ্রুব বড়ুয়া (বৈচিত্র্যের ঐক্য) ও ইব্রাহিম রনি (শিবির) ‍উভয়েই ৯০টি করে ভোট পেয়েছেন। 

জিএস পদে শাফায়াত (ছাত্রদল) ১৬৪টি ভোট নিয়ে এখানে এগিয়ে রয়েছেন। সুদর্শন চাকমা (বামজোট) ১৩১টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় এবং সাঈদ (শিবির) ৮৩টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৬৬টি। যেখানে পলাশ দে (বিনির্মাণ শিক্ষার্থী জোট) ৬২টি এবং মুন্না (শিবির) ৪৫টি ভোট পেয়েছেন।

এই হলে ৬০ শতাংশ অমুসলিম শিক্ষার্থী থাকেন।

সোহরাওয়ার্দী হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ১ হাজার ৪৮৮টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এখানে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) পেয়েছেন ৬৮০টি ভোট।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ১ হাজার ৪০৪টি ভোট নিয়ে ব্যাপক ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন ৪৫৮টি ভোট পাওয়া শাফায়াতকে।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৯৬৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; যেখানে ৯০৬ নিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েছেন মুন্না (শিবির)। 

শহীদ আব্দুর রব হল কেন্দ্র 
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৬৪৯ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; যেখানে হৃদয় (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৮২টি ভোট।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৬৩৬টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আর ছাত্রদলের শাফায়াত পেয়েছেন ১৫৭টি ভোট।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৫৪০ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; শিবিরের মুন্না পেয়েছেন ৩৬৩টি ভোট।

খালেদা জিয়া হল (ছাত্রী হল) কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৬২২টি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। ছাত্রদলের সাজ্জাদ পেয়েছেন ৩০৩টি ভোট পেয়েছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৬৮১টি এবং শাফায়াত (ছাত্রদল) ১৪৬টি ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক তৌফিক (ছাত্রদল) ৫৩৬টি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন এবং মুন্না (শিবির) ৩৭৬টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

নবাব ফয়জুন্নেসা হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ২৯১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। রনি (শিবির) ২১২টি ভোট টানতে পেরেছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ২৬৪টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। শাফায়াত (ছাত্রদল) পেয়েছেন ১১৭টি ভোট। তবে এই হলে সুদর্শন চাকমা ১৩৪টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৩১৭টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। মুন্না (শিবির) পেয়েছেন ১৩১টি।

শামসুন নাহার হল (ছাত্রী হল) কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৪৯৬ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। হৃদয় (ছাত্রদল) ২২৮ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৫৩৮টি ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন। শাফায়াত (ছাত্রদল) ১২২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৩৯৩ ভোট নিয়ে প্রথম স্থানে এবং মুন্না (শিবির) ৩০৪ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

প্রীতিলতা হল (ছাত্রী হল) কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৫৮১টি ভোট নিয়ে প্রথম এবং সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ২৮৩টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। 

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৫৯২টি এবং শাফায়েত (ছাত্রদল) ১৫৮টি ভোট পেয়ে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৫০৪টি ভোট পেয়েছে জিতেছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মুন্না (শিবির), যার ভোট ৩৩৮টি।

শাহ আমানত হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৭২৯ ভোট পেয়ে প্রথম এবং সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ৩৭৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৬৮১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। শাফায়াত (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৪০টি ভোট। 

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৬৪১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। মুন্না (শিবির) পেয়েছেন ৪৪০টি ভোট।

মাস্টার দ্য সূর্যসেন কেন্দ্র
‎এই হলে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ১৪১টি ভোট পেয়ে প্রথম এবং রনি (শিবির) ১৩০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

‎জিএস পদে ‎সাঈদ (শিবির) ১৭৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ‎শাফায়াত (ছাত্রদল) ৫৩টি ভোট পেয়েছেন।

‎এজিএস পদে ‎ তৌফিক (ছাত্রদল) ১৭০টি ভোট পেয়েছেন। মুন্না (শিবির) পেয়েছেন ৬৫টি ভোট।

ফরহাদ হোসেন হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৭৬২টি ভোট পেয়ে প্রথম এবং ২৮৮টি নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন সাজ্জাদ (ছাত্রদল)।

জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৭৩৬টি ভোট পেয়ে প্রথম এবং শাফায়াত (ছাত্রদল) ২১৬টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৫৫৫টি ভোট পেয়ে প্রথম এবং মুন্না (শিবির) ৪৭৬টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন।