টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
হামিদুল মোহনের মৃত্যুর বিষয়ে তার ছেলে মিল্টন হক রাইজিংবিডি ডটকমকে তথ্য দিয়েছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী এবং রাজনৈতিক অনুরাগী রেখে গেছেন তিনি।
মিল্টন হক বলেন, টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রতিদিনের মতো সোমবারও (২০ অক্টোবর) গণসংযোগে বের হয়েছিলেন। দেলদুয়ার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে বিকালে দেউলী ইউনিয়নে পথসভা করে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় গাড়িতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এই অবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হামিদুল মোহনের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের কলেজ পাড়ায় বসবাস করতেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি জেলার দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের মঙ্গলহোড় গ্রামে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা হামিদুল মোহনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
ফরহাদ ইকবাল জানান, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাদ জোহর বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা হবে।
সালাউদ্দিন টুকু শোক বার্তায় বলেন, “হামিদুল হক মোহন শুধু একজন রাজনীতিক ছিলেন না— তিনি ছিলেন আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের ভরসার জায়গা। বিএনপির যেকোনো কর্মী যখন যেভাবে তাকে ডেকেছেন, তিনি বিনা দ্বিধায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ছিলেন আমার অত্যন্ত আপনজন। তার স্নেহ, পরামর্শ ও সাহস জুগিয়ে যাওয়ার শক্তি আমি কখনো ভুলব না। তার মতো নিবেদিতপ্রাণ, নিঃস্বার্থ ও আদর্শবান মানুষের শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়।”
তিনি আরো বলেন, “টাঙ্গাইলের মানুষ, বিএনপি পরিবার এবং আমরা সবাই আজ একজন অভিভাবককে হারালাম। পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করি, আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন এবং তার পরিবারকে এই শোক সইবার তৌফিক দিন।”
টাঙ্গাইল
Sangbad365 Admin 














