০৬:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি হালট দখল করে চলছিল ভবন নির্মাণ, যা করলেন এসিল্যান্ড

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৬০০৮ Time View

সরকারি হালট দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছিল রাজ্জাক মোল্লা নামে এক ‘প্রভাবশালীর’ বিরুদ্ধে। এতে শত বছরের পুরোনো যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছিলেন স্থানীয় অন্তত ২০টি পরিবারের মানুষ।

অবশেষে ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের পর সরেজমিন তদন্তে গিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পায়রা চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার পূর্ব মুলঘর গ্রামে সরেজমিন তদন্তে গিয়ে ভূমি পরিমাপ করেন এসিল্যান্ড পায়রা চৌধুরী।

তদন্তে সরকারি হালট দখল করে ভবন নির্মাণের সত্যতা পেয়ে তিনি অভিযুক্ত রাজ্জাক মোল্লাকে সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে হালটের সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করেন।

এর আগে গত রোববার (১৯ অক্টোবর) জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মালেক মোল্লা বলেন, সরকারি হালটের ওপর দিয়ে নির্মিত প্রায় ১৪ ফুট প্রস্থের মাটির এই রাস্তাটি শত বছরের পুরোনো। সরকারি এ রাস্তায় অন্তত ২০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। কিন্তু একই গ্রামের রাজ্জাক মোল্লা সম্প্রতি রাস্তার মাথায় দেড় শতাংশ সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। এতে চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়। আমরা বাধ্য হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হই।

অভিযোগের পর উপজেলা প্রশাসনের তদন্তে দখল ও নির্মাণের সত্যতা মেলে। এরপর এসিল্যান্ড ভবন নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন, যা শুনে স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পায়রা চৌধুরী বলেন, সরকারি হালট দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে যাই এবং ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমি পরিমাপ করি। এতে হালট দখলের প্রমাণ মেলে। আমি হালটের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার স্থাপনের নির্দেশ দিই এবং অভিযুক্ত রাজ্জাক মোল্লাকে ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে বলেছি। তিনি নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্যাগঃ

সরকারি হালট দখল করে চলছিল ভবন নির্মাণ, যা করলেন এসিল্যান্ড

সময়ঃ ১২:০২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

সরকারি হালট দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছিল রাজ্জাক মোল্লা নামে এক ‘প্রভাবশালীর’ বিরুদ্ধে। এতে শত বছরের পুরোনো যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছিলেন স্থানীয় অন্তত ২০টি পরিবারের মানুষ।

অবশেষে ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের পর সরেজমিন তদন্তে গিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পায়রা চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার পূর্ব মুলঘর গ্রামে সরেজমিন তদন্তে গিয়ে ভূমি পরিমাপ করেন এসিল্যান্ড পায়রা চৌধুরী।

তদন্তে সরকারি হালট দখল করে ভবন নির্মাণের সত্যতা পেয়ে তিনি অভিযুক্ত রাজ্জাক মোল্লাকে সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে হালটের সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করেন।

এর আগে গত রোববার (১৯ অক্টোবর) জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মালেক মোল্লা বলেন, সরকারি হালটের ওপর দিয়ে নির্মিত প্রায় ১৪ ফুট প্রস্থের মাটির এই রাস্তাটি শত বছরের পুরোনো। সরকারি এ রাস্তায় অন্তত ২০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। কিন্তু একই গ্রামের রাজ্জাক মোল্লা সম্প্রতি রাস্তার মাথায় দেড় শতাংশ সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। এতে চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়। আমরা বাধ্য হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হই।

অভিযোগের পর উপজেলা প্রশাসনের তদন্তে দখল ও নির্মাণের সত্যতা মেলে। এরপর এসিল্যান্ড ভবন নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন, যা শুনে স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পায়রা চৌধুরী বলেন, সরকারি হালট দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে যাই এবং ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমি পরিমাপ করি। এতে হালট দখলের প্রমাণ মেলে। আমি হালটের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার স্থাপনের নির্দেশ দিই এবং অভিযুক্ত রাজ্জাক মোল্লাকে ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে বলেছি। তিনি নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।