১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তালেবানের নিষেধাজ্ঞায় আফগানিস্তানে ব্যাপকভাবে কমেছে আফিম চাষ

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৬০০৩ Time View

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ৬ নভেম্বর ২০২৫  

২০২২ সালে তালেবান সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আফগানিস্তানে আফিম চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর এক জরিপে জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় পপি চাষের মোট জমির পরিমাণ ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে আফিমের পরিমাণ ৩২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

আফগানিস্তান বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করত। আফগানিস্তানের আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ ছিল।

কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তালেবান ২০২২ সালের এপ্রিলে আফিম চাষ নিষিদ্ধ করে। তারা কৃষকদের জানায়, আফিম ক্ষতিকারক এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘ জানিয়েছে যে ‘গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ সত্ত্বেও বেশিরভাগ কৃষক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেছেন। বর্তমানে অনেক আফগান কৃষক শস্য চাষ করছেন।

লাভজনক বিকল্পের অভাব, সীমিত কৃষি উৎপাদন এবং প্রতিকূল জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে উপলব্ধ কৃষিজমির ৪০ শতাংশেরও বেশি পতিত রয়ে গেছে। চলতি বছর আফিম পপি চাষের আওতাভুক্ত মোট জমি ১০ হাজার ২০০ হেক্টর বলে অনুমান করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই দেশের উত্তর-পূর্বে। এর মধ্যে বাদাখশান প্রদেশ সবচেয়ে বেশি। ২০২২ সালের নিষেধাজ্ঞার আগে, আফগানিস্তানে দুই লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে পপি চাষ করা হত।

ঢাকা/শাহেদ

ট্যাগঃ

তালেবানের নিষেধাজ্ঞায় আফগানিস্তানে ব্যাপকভাবে কমেছে আফিম চাষ

সময়ঃ ১২:০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ৬ নভেম্বর ২০২৫  

২০২২ সালে তালেবান সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আফগানিস্তানে আফিম চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর এক জরিপে জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় পপি চাষের মোট জমির পরিমাণ ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে আফিমের পরিমাণ ৩২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

আফগানিস্তান বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করত। আফগানিস্তানের আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ ছিল।

কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তালেবান ২০২২ সালের এপ্রিলে আফিম চাষ নিষিদ্ধ করে। তারা কৃষকদের জানায়, আফিম ক্ষতিকারক এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘ জানিয়েছে যে ‘গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ সত্ত্বেও বেশিরভাগ কৃষক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেছেন। বর্তমানে অনেক আফগান কৃষক শস্য চাষ করছেন।

লাভজনক বিকল্পের অভাব, সীমিত কৃষি উৎপাদন এবং প্রতিকূল জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে উপলব্ধ কৃষিজমির ৪০ শতাংশেরও বেশি পতিত রয়ে গেছে। চলতি বছর আফিম পপি চাষের আওতাভুক্ত মোট জমি ১০ হাজার ২০০ হেক্টর বলে অনুমান করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই দেশের উত্তর-পূর্বে। এর মধ্যে বাদাখশান প্রদেশ সবচেয়ে বেশি। ২০২২ সালের নিষেধাজ্ঞার আগে, আফগানিস্তানে দুই লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে পপি চাষ করা হত।

ঢাকা/শাহেদ