০১:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উচ্চমূল্যের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১২০, সবজিও ৮০ টাকার ওপরে

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৬০০২ Time View

দুই মাসের বেশি সময় ধরে নিত্যপণ্যের বাজার রয়েছে লাগামহীন। কিছু কিছু পণ্য বাদ দিলে প্রায় সব পণ্যের দাম রয়েছে আকাশচুম্বী। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই হুট করে বেড়ে গিয়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। মজুদ কমে যাওয়ার কারণের এই দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। আর সবজির দাম কিছুটা উঠানামা করলেও এখনও বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার বেশি দামে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের কাঁচাবাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় আজকের বাজারের এই চিত্র।

নাগালে আসছে না সবজির দাম

দুই মাসের বেশি সময় পার হলেও এখন সবজির দাম আসেনি সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে। এখনও বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন সবজির দাম কমেছে। তবে ক্রেতারা বলছেন এখনও সবজির দাম বেশি।

আজ বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় টমেটো ১২০ টাকা, দেশি টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০-১৬০  টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১২০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, দেশি শসা ৮০-১০০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১৬০ টাকা, ঢেঁড়স  ৮০-১০০ টাকা, পটল (হাইব্রিড) ৮০ টাকা,  দেশি পটল ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি  ৮০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০-১৬০ টাকা, ধনেপাতা (মানভেদে) ২০০-৩০০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা করে  বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-১২০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা। এছাড়া, প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা করে।

সবজি (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

সবজি বিক্রেতা শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সবজির দাম কিছুটা কমের দিকেই আছে এখন। শীত প্রায় চলে আসছে; এখন দাম আরও কমে যাবে হয়তো।’

বাজার করতে আসা সাইফুল হক বলেন, ‘দোকানদাররা বলছেন যে দাম নাকি কমেছে। কিন্তু এখনও তো সবজির দাম বেশি। ছোট একটা ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর অন্য সবজিগুলোর দামও বেশিরভাগ ৮০ টাকার ওপরে। শুধু পেঁপে আর মিষ্টিকুমড়ার দামই কম। তো সবকিছু যদি এতো দামে বিক্রি হয় সেগুলো কি কম দাম বলা যায়? আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কীভাবে চলবে?’

পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে

একদিকে সবজির দাম বেশি অন্যদিকে হুট করেই বেড়ে গিয়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। আজকে ক্রস ও দেশি, দুই ধরনের পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চায়না রসুনের দামও বেড়ে চলেছে নীরবেই।

উচ্চমূল্যের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১২০, সবজিও ৮০ টাকার ওপরে

আজকে আকার ও মানভেদে ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। এরমধ্যে ছোট পেঁয়াজ ১১০ টাকা ও বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা করে। দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, লাল আলু ২৫ টাকা, সাদা আলু ২৫ টাকা, বগুড়ার আলু ৩০ টাকা,  দেশি রসুন ৮০- ১১০ টাকা, চায়না রসুন ১৬০-১৮০ টাকা, চায়না আদা ১৮০-২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মান ভেদে ১৬০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে দেখা যায় হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। চায়না রসুনের দামও বেড়েছে ২০-৪০ টাকা। আর দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বিক্রেতা ইউসুফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন আসলে পেঁয়াজের সিজন প্রায় শেষ। তারপর যে মজুদ থাকে সেগুলোও প্রায় শেষের দিকে। তাই এখন দাম কিছুটা বেশি। নতুন পেঁয়াজ এলে হয়তো দাম কমে যাবে।’

এ সময় বাজার করতে আসা এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সবকিছুর দামের সঙ্গে এখন পেঁয়াজও যুক্ত হলো। এটা আবার কতদিন চলে…কোন পর্যন্ত দাম ওঠে কে জানে। আমাদের তো ২৫০ টাকা কেজিতেও পেঁয়াজ কেনার অভিজ্ঞতা আছে। এখন কত হয় আল্লাহ জানে!’

মুরগির মাংসের বাজারও চড়া

বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, শীত আসছে বা শীতকালে মুরগীর দাম কম থাকে। তবে এখন দাম কিছুটা বাড়তি। তবে কক মুরগির দাম কমেছে।

আজ বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে। বয়লার মুরগি ১৭০- ১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৬৩- ২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯৩-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০   টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১০-১১৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেখা যায়, আজ বয়লার ও লেয়ার মুরগির দাম প্রায় একই রকম রয়েছে। কক মুরগির দাম কমেছে ১০ টাকার মতো। এছাড়া সব ধরনের ডিমের দাম ডজন প্রতি ১০ টাকা করে কমেছে। আর অন্যান্য মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

উচ্চমূল্যের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১২০, সবজিও ৮০ টাকার ওপরে

মুন্সীগঞ্জ চিকেন হাউজের বিক্রেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ গত সপ্তাহের থেকে কক মুরগির দাম কমেছে। লেয়ার আর বয়লার মুরগির দাম প্রায় একই রকম আছে, কমেনি। শীতে সাধারণত দাম কমে, এবার কি হবে এখনও বলা যাচ্ছে না।’

এছাড়া আজকের বাজারে আকার ও ওজন অনুযায়ী  ইলিশ ৯০০- ২৯০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০-৬৫০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, কালবাউশ ৪০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০-১৪০০  টাকা, কাচকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০- ১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, বেলে মাছ ১০০০- ১২০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০-৮০০ টাকা,বোয়াল মাছ ৫০০-৯০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১২০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পরিবর্তন আসেনি মুদি পণ্যের দামে

অন্য সময়ের মতো আজও মুদি দোকানের পণ্যের দামে কোনও পরিবর্তন আসেনি। কেবল মুষড়ের ডালের দাম কমেছে ১৫ টাকা ও খোলা চিনির দাম কমেছে ৫ টাকা। এছাড়া অন্য সব পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

চাল-ডাল (ছবি: আসাদ আবেদীন জয়)

আজ প্রতি কেজি প্যাকেট পোলাওয়ের চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাওয়ের চাল মান ভেদে ৯০-১৩০ টাকা, ছোট মুষড়ের ডাল ১৫৫ টাকা, মোটা মুষড়ের ডাল ৯০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫  টাকা, ছোলা ১১০ টাকা মাসকলাইয়ের ডাল ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০ -১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা, খোলা চিনি ৯৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৩০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এলাচি ৪৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোল মরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ট্যাগঃ

উচ্চমূল্যের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১২০, সবজিও ৮০ টাকার ওপরে

সময়ঃ ১২:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

দুই মাসের বেশি সময় ধরে নিত্যপণ্যের বাজার রয়েছে লাগামহীন। কিছু কিছু পণ্য বাদ দিলে প্রায় সব পণ্যের দাম রয়েছে আকাশচুম্বী। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই হুট করে বেড়ে গিয়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। মজুদ কমে যাওয়ার কারণের এই দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। আর সবজির দাম কিছুটা উঠানামা করলেও এখনও বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার বেশি দামে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের কাঁচাবাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় আজকের বাজারের এই চিত্র।

নাগালে আসছে না সবজির দাম

দুই মাসের বেশি সময় পার হলেও এখন সবজির দাম আসেনি সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে। এখনও বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন সবজির দাম কমেছে। তবে ক্রেতারা বলছেন এখনও সবজির দাম বেশি।

আজ বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় টমেটো ১২০ টাকা, দেশি টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০-১৬০  টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১২০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, দেশি শসা ৮০-১০০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১৬০ টাকা, ঢেঁড়স  ৮০-১০০ টাকা, পটল (হাইব্রিড) ৮০ টাকা,  দেশি পটল ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি  ৮০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০-১৬০ টাকা, ধনেপাতা (মানভেদে) ২০০-৩০০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা করে  বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-১২০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা। এছাড়া, প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা করে।

সবজি (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

সবজি বিক্রেতা শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সবজির দাম কিছুটা কমের দিকেই আছে এখন। শীত প্রায় চলে আসছে; এখন দাম আরও কমে যাবে হয়তো।’

বাজার করতে আসা সাইফুল হক বলেন, ‘দোকানদাররা বলছেন যে দাম নাকি কমেছে। কিন্তু এখনও তো সবজির দাম বেশি। ছোট একটা ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর অন্য সবজিগুলোর দামও বেশিরভাগ ৮০ টাকার ওপরে। শুধু পেঁপে আর মিষ্টিকুমড়ার দামই কম। তো সবকিছু যদি এতো দামে বিক্রি হয় সেগুলো কি কম দাম বলা যায়? আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কীভাবে চলবে?’

পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে

একদিকে সবজির দাম বেশি অন্যদিকে হুট করেই বেড়ে গিয়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। আজকে ক্রস ও দেশি, দুই ধরনের পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চায়না রসুনের দামও বেড়ে চলেছে নীরবেই।

উচ্চমূল্যের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১২০, সবজিও ৮০ টাকার ওপরে

আজকে আকার ও মানভেদে ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। এরমধ্যে ছোট পেঁয়াজ ১১০ টাকা ও বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা করে। দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, লাল আলু ২৫ টাকা, সাদা আলু ২৫ টাকা, বগুড়ার আলু ৩০ টাকা,  দেশি রসুন ৮০- ১১০ টাকা, চায়না রসুন ১৬০-১৮০ টাকা, চায়না আদা ১৮০-২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মান ভেদে ১৬০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে দেখা যায় হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। চায়না রসুনের দামও বেড়েছে ২০-৪০ টাকা। আর দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বিক্রেতা ইউসুফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন আসলে পেঁয়াজের সিজন প্রায় শেষ। তারপর যে মজুদ থাকে সেগুলোও প্রায় শেষের দিকে। তাই এখন দাম কিছুটা বেশি। নতুন পেঁয়াজ এলে হয়তো দাম কমে যাবে।’

এ সময় বাজার করতে আসা এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সবকিছুর দামের সঙ্গে এখন পেঁয়াজও যুক্ত হলো। এটা আবার কতদিন চলে…কোন পর্যন্ত দাম ওঠে কে জানে। আমাদের তো ২৫০ টাকা কেজিতেও পেঁয়াজ কেনার অভিজ্ঞতা আছে। এখন কত হয় আল্লাহ জানে!’

মুরগির মাংসের বাজারও চড়া

বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, শীত আসছে বা শীতকালে মুরগীর দাম কম থাকে। তবে এখন দাম কিছুটা বাড়তি। তবে কক মুরগির দাম কমেছে।

আজ বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে। বয়লার মুরগি ১৭০- ১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৬৩- ২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯৩-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০   টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১০-১১৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেখা যায়, আজ বয়লার ও লেয়ার মুরগির দাম প্রায় একই রকম রয়েছে। কক মুরগির দাম কমেছে ১০ টাকার মতো। এছাড়া সব ধরনের ডিমের দাম ডজন প্রতি ১০ টাকা করে কমেছে। আর অন্যান্য মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

উচ্চমূল্যের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১২০, সবজিও ৮০ টাকার ওপরে

মুন্সীগঞ্জ চিকেন হাউজের বিক্রেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ গত সপ্তাহের থেকে কক মুরগির দাম কমেছে। লেয়ার আর বয়লার মুরগির দাম প্রায় একই রকম আছে, কমেনি। শীতে সাধারণত দাম কমে, এবার কি হবে এখনও বলা যাচ্ছে না।’

এছাড়া আজকের বাজারে আকার ও ওজন অনুযায়ী  ইলিশ ৯০০- ২৯০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০-৬৫০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, কালবাউশ ৪০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০-১৪০০  টাকা, কাচকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০- ১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, বেলে মাছ ১০০০- ১২০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০-৮০০ টাকা,বোয়াল মাছ ৫০০-৯০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১২০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পরিবর্তন আসেনি মুদি পণ্যের দামে

অন্য সময়ের মতো আজও মুদি দোকানের পণ্যের দামে কোনও পরিবর্তন আসেনি। কেবল মুষড়ের ডালের দাম কমেছে ১৫ টাকা ও খোলা চিনির দাম কমেছে ৫ টাকা। এছাড়া অন্য সব পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

চাল-ডাল (ছবি: আসাদ আবেদীন জয়)

আজ প্রতি কেজি প্যাকেট পোলাওয়ের চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাওয়ের চাল মান ভেদে ৯০-১৩০ টাকা, ছোট মুষড়ের ডাল ১৫৫ টাকা, মোটা মুষড়ের ডাল ৯০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫  টাকা, ছোলা ১১০ টাকা মাসকলাইয়ের ডাল ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০ -১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা, খোলা চিনি ৯৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৩০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এলাচি ৪৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোল মরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।