প্রেম ও বিপ্লব দীর্ঘজীবী হও
খুঁজে পাওয়া চাবি গুচ্ছের মতো
তোমাকে ফিরে পেতে মন চায়—
প্রেম ও বিপ্লবের মতো ক্ষয়িঞ্চু হৃদয় নিয়ে
হেঁটে যেতে ইচ্ছে হয় অচেনা গন্তব্যে।
তোমার ভেতরে এক নরক যন্ত্রণা আছে,
আছে সুখের মদিরা।
নভেম্বরে তুমি এক পেয়ালা শরবত পাঠাও
আমি পাঠাই ফুল
এভাবে তুমি কামিনী হয়ে ওঠো,
নিষ্ঠাবান যুবকের মতো হতাশায় কাতরাই আমি।
পৃথিবীর সব মানুষের প্রেম ও পরান পোড়ার
একই সিলসিলা দেখে ঘৃণা আর বিতৃষ্ণা ভিড় করে, মায়াও হয়।
কামিনী
বছরে কয়বার ফুল ফোটাও কামিনী?
তুমি তো জানো না—হাসিমুখের আড়ালে মাঝে মাঝে ভেঙে পড়ি
প্রেমে পড়বার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এখনও প্রেমে পড়ি।
চলে গেল রেখে দিয়ে স্মৃতিচিহ্ন
একটি মেঘের দিনও অপেক্ষায় রইল না
একটি সন্ধ্যাও না—
পাহাড়ি বৃষ্টি, রাতের নদী
স্নিগ্ধ জলাবন, ভোরের পাখি
সকালের রোদ্দুর আর বহুদূর গিয়ে মিলিয়ে যাওয়া
আমারই মতো এক ছিপছিপে সড়ক—অপেক্ষায় রইল না।
চোখের এক ফোঁটা জলও অপেক্ষায় রইল না
গড়িয়ে গেল।
সেইসব মধুর আলাপ
অপেক্ষা-উপেক্ষা
প্রত্যাশা-প্রতিশ্রুতি, প্রেম-অপ্রেম আর প্রণয়—
সবটুকু বয়ে গেল সোমেশ্বরীর মতন।
প্রিয় প্রিয় নাম অপেক্ষায় রইল না
একটি রেলস্টেশনও উপেক্ষা সইল না,
কালনী, কপোতাক্ষ, নীলসাগর, তূর্ণা-নিশীথা—একটা রেলগাড়িও না
সবুজ সিগন্যাল জ্বেলে ধেয়ে গেল শূন্য রেখে প্লাটফর্ম।
রাত্রির পর রাত্রি জেগে ক্লান্ত দুচোখ আর অপেক্ষা সইল না,
ঘুমিয়ে গেল।
মধ্যদুপুরে মধ্যনগর, বংশীকুন্ডা
সারিসারি রাজহাঁস, বৈরী হাওয়া
উদ্দাম স্রোত—আমাদের শৈশবের ফাঁকি দিয়ে চলে গেল
অপেক্ষায় রইল না।
পুরোনো জনশ্রুতি
মিথ
উপকথা, সংস্কার, বেঁচে থাকার সবটুকু অবলম্বন
গভীর আস্থা, সত্য-মিথ্যা সবটুকু কোথায় উবে গেল কর্পূরের মতন
অবশিষ্ট রইল না।
অপেক্ষায় রইল না ক্লান্ত হলে ফিরে যাবার মতো কোনো ঠিকানা
কাব্য, আশা, বেলি ও বাগানবিলাস আর পুঁই-পালংয়ের ভূঁই।
এক জনাকীর্ণ মহানগরীর এত এত মানুষ
সোডিয়াম বাতি, হেডলাইট, এতগুলো উড়াল সড়ক
নুরজাহান রোড, বাংলামোটর, মতিঝিল, বংশাল
কবি নজরুল কলেজ, ওয়ারী র্যাংকিন স্ট্রিট, কাগজীটোলা ক্লাব, কে-শফি বেকারি
বাটা সিগন্যাল—সবুজ বাতি জ্বলে উঠলে সবাই যে যার মতো চলে গেল,
কেউ একবারও কণ্ঠে তুলল না
আমাদের বিপন্ন-বিষাদ গান।
বেয়াড়া বয়সটা অপেক্ষা করতে চাইল না
চলে গেল বিপুল উৎসাহে, শরীরে রেখে দিয়ে স্মৃতিচিহ্ন।
Sangbad365 Admin 





