০৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠক

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৬০১৪ Time View

বাংলাদেশ সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে’র সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

 শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার একটি হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়।

বানিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই চমৎকার। বাণিজ্য বৃদ্ধি দুদেশের বিদ্যমান সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে “

ভুটানের সঙ্গে একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভুটান বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী।”

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ভুটানের জন্য বরাদ্দ করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেরিং তোবগে। তিনি বলেন, “কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “ভুটান সরকার বায়োডাইভারসিটি নগর গেলেফু নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তাবিত এই নগরটি ভুটানের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করে তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত ও টেকসই অবকাঠামো তৈরি করা হবে।”

গেলেফু নগর নির্মাণে প্রচুর নির্মাণ উপকরণ প্রয়োজন হবে উল্লেখ করে তিনি এগুলো বাংলাদেশ হতে আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ থেকে ঔষধ, সিরামিক পণ্য , তৈরি পোশাক ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমদানিতে ভুটান  সরকারের আগ্রহের কথা জানান।

বাংলাদেশী পর্যটকদের ভুটানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পর্যটকদের জন্য যেখানে ভুটান সরকার প্রতিরাত অবস্থানের জন্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি (এসডিএফ) একশত ডলার নির্ধারণ করেছে সেখানে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটকদের জন্য তা মাত্র পনের ডলার।” এ সুযোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশিদের ভুটান ভ্রমণে আগ্রহী করতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন স্বাধীনতা লাভের পর প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভুটানের স্বীকৃতি দানের কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বাণিজ্য বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত ভিত্তি পাবে।”

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন বাংলাদেশ – ভুটান সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।”

এ সময় তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরো বেশি বাণিজ্য সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে এখন বিশ্বমানের ঔষধ, সিরামিক পণ্য ,তৈরি পোষাক, নির্মান উপকরণ তৈরি হচ্ছে।” এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য আকার বৃদ্ধির সুযোগ নেওয়ার জন্য ভুটান  সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

বৈঠকে ভুটানের ফরেন অ্যাফেয়ার্স ও এক্সটার্নাল ট্রেড মিনিস্টার ডি এন ধুনগায়েল, ইন্ডাস্ট্রি,কমার্স এন্ড এমপ্লয়মেন্ট মিনিস্টার লায়েন পো নামগায়েল দর্জি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠক

সময়ঃ ১২:০৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে’র সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

 শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার একটি হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়।

বানিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই চমৎকার। বাণিজ্য বৃদ্ধি দুদেশের বিদ্যমান সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে “

ভুটানের সঙ্গে একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভুটান বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী।”

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ভুটানের জন্য বরাদ্দ করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেরিং তোবগে। তিনি বলেন, “কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “ভুটান সরকার বায়োডাইভারসিটি নগর গেলেফু নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তাবিত এই নগরটি ভুটানের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করে তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত ও টেকসই অবকাঠামো তৈরি করা হবে।”

গেলেফু নগর নির্মাণে প্রচুর নির্মাণ উপকরণ প্রয়োজন হবে উল্লেখ করে তিনি এগুলো বাংলাদেশ হতে আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ থেকে ঔষধ, সিরামিক পণ্য , তৈরি পোশাক ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমদানিতে ভুটান  সরকারের আগ্রহের কথা জানান।

বাংলাদেশী পর্যটকদের ভুটানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পর্যটকদের জন্য যেখানে ভুটান সরকার প্রতিরাত অবস্থানের জন্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি (এসডিএফ) একশত ডলার নির্ধারণ করেছে সেখানে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটকদের জন্য তা মাত্র পনের ডলার।” এ সুযোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশিদের ভুটান ভ্রমণে আগ্রহী করতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন স্বাধীনতা লাভের পর প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভুটানের স্বীকৃতি দানের কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বাণিজ্য বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত ভিত্তি পাবে।”

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন বাংলাদেশ – ভুটান সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।”

এ সময় তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরো বেশি বাণিজ্য সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে এখন বিশ্বমানের ঔষধ, সিরামিক পণ্য ,তৈরি পোষাক, নির্মান উপকরণ তৈরি হচ্ছে।” এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য আকার বৃদ্ধির সুযোগ নেওয়ার জন্য ভুটান  সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

বৈঠকে ভুটানের ফরেন অ্যাফেয়ার্স ও এক্সটার্নাল ট্রেড মিনিস্টার ডি এন ধুনগায়েল, ইন্ডাস্ট্রি,কমার্স এন্ড এমপ্লয়মেন্ট মিনিস্টার লায়েন পো নামগায়েল দর্জি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।