ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে ঢাকায় এখন ভবন রেট্রোফিটিংয়ের (মজবুতকরণ) ওপর জোর দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী। সেমিনারে একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি।
অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী বিবিসির একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, তুরস্কের ভূমিকম্পে একেকজন মানুষকে উদ্ধার করতে ৩০ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে। সেখানে ঢাকা শহরে পাঁচ কাঠা জায়গার ওপর ছয়তলা ভবনকে রেট্রোফিটিং (মজবুতকরণ) করতে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ব্যয় হবে না। এক কোটি টাকা খরচ করে অ্যাপার্টমেন্ট কিনবেন, এমন পাঁচজনেই একটি ভবন রেট্রোফিটিং করে ফেলতে পারবেন।
অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, এখানে ভূমিকম্প হবেই। সেটা কবে হবে সেই তর্কে না গিয়ে, সামনে কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে।
দেশের নগরায়ণের প্রক্রিয়ায় ভূতাত্তিক বৈশিষ্ট্যকে আমলে নেওয়ার বিষয়টি প্রায় অনুপস্থিত বলে সভায় মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি আদিল মোহাম্মদ খান। তিনি বলেন, এর ফলে গত ৩০ বছরে ঢাকার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে পরিকল্পনার ব্যত্যয় করে জলাশয়, জলাভূমি এবং প্লাবনভূমিতে ইচ্ছেমতো আবাসন ও নগরায়ণ করা হয়েছে। এ ধরনের জলাশয় বা জলাভূমিতে ভবন নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ।
Sangbad365 Admin 




