এই জোর কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেই রাশিয়া দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ শহর পোকরোভস্ক দখল করে নিয়েছে। তবে কিয়েভ এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, মস্কো এমন ধারণা তৈরি করতে চায়, যেন রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে অনিবার্যভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
পোকরোভস্ক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মঙ্গলবার পুতিন বলেছেন, ‘এই ঘাঁটি থেকে, এই সেক্টর থেকে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী সহজেই যে কোনো দিকে অগ্রসর হতে পারে, যেটা সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব (জেনারেল স্টাফ) সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখছে।’
রুশ বাহিনী এখন ইউক্রেনের ১৯ শতাংশের বেশি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে, যা গত বছরের তুলনায় এক শতাংশ বেশি। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ইউক্রেনপন্থী একটি মানচিত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, ২০২২ সালের পর ২০২৫ সালেই সবচেয়ে দ্রুত এগিয়েছে রুশ বাহিনী।
এদিকে ফাঁস হওয়া মার্কিন খসড়া শান্তি প্রস্তাবে রাশিয়ার দাবি ছিল, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর আকার সীমিত রাখা, পুরো দনবাসের নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝিয়া ও খেরসনে রাশিয়ার উপস্থিতির স্বীকৃতি দেওয়া।
কিয়েভ বলেছে, এমন ছাড় দেওয়া মানে কার্যত ‘আত্মসমর্পণ’। আর জেলেনস্কি বলেছেন, চলমান সমঝোতার আলোচনায় ইউক্রেনের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষা করাই ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’।
Sangbad365 Admin 




