নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১৭:৪৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাগলার চর দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় গুলিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো ৮-১০ জন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী জাগলার চরে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে নিহত একজনের পরিচয় জানাতে পারলেও অপর চারজনের নাম-ঠিকানা জানাতে পারেনি। নিহতদের মধ্যে আলাউদ্দিন (৪০) সুখচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর আমান উল্যাহ গ্রামের ছেরাং বাড়ির মহিউদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জাগলার চরের জমি এখন পর্যন্ত কাউকে বন্দোবস্ত দেয়নি সরকার। এ সুযোগে ৫ আগস্টের পর জাহাজমারা ইউনিয়নের সামছু বাহিনী জাগলার চরের বেশকিছু জমি বিক্রি করে। এর পর সুখচর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন বাহিনী জাগলার চর দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে আলাউদ্দিন বাহিনী আরো বেশি দামে কিছু জমি বিক্রি করে। দুটি গ্রুপ আলাদা আলাদাভাবে চরের জমি বিক্রির চেষ্টা চালায়।
অভিযোগ আছে, চর দখলে যুক্ত ডাকাত আলাউদ্দিন সুখচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম মেম্বার ও বিএনপি নেতা নবীর ঘনিষ্ঠ। তারা সামছু বানিহীকে চর থেকে বিতাড়িত করে জমি দখলে নিতে ডাকাত আলাউদ্দিনের বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ একাধিকবার বিরোধে জড়ায়।
মঙ্গলবার চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে সামছু ও আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। এতে সামছু বাহিনীর পক্ষের ছোড়া গুলিতে আলাউদ্দিনসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চারজনের মরদেহ ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সুখচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন সেলিমের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম বলেছেন, একটি মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আছে। চারটি মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় বিকেল সাড়ে ৪টার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। চর দখল নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়।
ঢাকা/সুজন/রফিক
Sangbad365 Admin 




