গণমাধ্যমে সরকার হস্তক্ষেপ করেনি, উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘কিন্তু আমি দেখছি না যে দায়িত্বশীলতা বলতে কোনো কিছু আছে। বরং সেট অব ন্যারেটিভস (একগুচ্ছ বয়ান) বারবার পুশ (সামনে আনা) করা হচ্ছে।…আমরা যে জায়গায় ছিলাম, ওখানে আমাদের টেনে নেওয়া হচ্ছে। যে ন্যারেটিভগুলোতে পা রেখে হাসিনা এত দিন ক্ষমতায় ছিল, সেই ন্যারেটিভগুলোতে আবার ফেরত যাচ্ছে। যে মুখগুলো হারিয়ে গিয়েছিল গত এক বছরে, তাদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ও বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর নামে আবার ফেরত আনা হচ্ছে। শুধু বিদেশে নয়, দেশেও। আমরা সবই পর্যবেক্ষণ করছি।’
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা কীভাবে সংঘটিত হয়েছে, সাংবাদিকতার ভেতর দিয়ে মানুষকে কীভাবে হত্যাযোগ্য বানানো হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে গুম-খুন এবং মানবাধিকার পরিস্থিতিগুলো কীভাবে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে—এসব বিষয়ে একটা স্বাধীন তদন্ত করার জন্য জাতিসংঘকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। সেই চিঠির উত্তর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তাঁরা বললেন ইউনেসকোর সঙ্গে কথা বলতে। ইউনেসকো এসে আমাদের বলল, আমরা ওই কাজটা করতে চাই না। বরং আমরা চাই যে কোড অব কন্ডাক্ট (নীতিমালা) তৈরি করে দিতে, গণমাধ্যম সামনে কী করবে। এটা (স্বাধীন তদন্ত) না হওয়াটাতে একটা বড় দাগ রয়ে যাবে। কারণ, এই লোকদের, যাঁরা এই গণমাধ্যমের মালিক-সম্পাদক ছিলেন, তাঁদের অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত, অবশ্যই তাঁদের জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হওয়া উচিত, জনগণের কাছে আসা উচিত।’
Sangbad365 Admin 












