খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে চাল। জিইডির হিসাবে, আগস্টের মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ফলে চালের দাম বেশি থাকলে মূল্যস্ফীতি হ্রাসের প্রভাব অতটা টের পাওয়া যায় না। যদিও জিইডি মনে করছে, সরকারের গৃহীত কিছু পদক্ষেপর কারণে চালের দাম কমবে। সরকারের সেই পদক্ষেপগুলো হলো ১৭ লাখ টন বোরো চাল সংগ্রহ, শুল্কমুক্তভাবে ৫ লাখ টন আমদানি ও সরকারি খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির আওতায় সরবরাহ বাড়ানো।
এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের(সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে চালের সরবরাহ ভালো থাকলেও দাম কমছে না। এর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশে অনেক দিন ধরেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। সম্প্রতি কমলেও তা এখনো ৮ শতাংশের ঘরে। সেই সঙ্গে বেড়েছে দারিদ্র্য। এই বাস্তবতায় দরিদ্র মানুষের শাক সবজি ও আমিষ খাওয়ার ক্ষমতা কমেছে। এর পরিণতি হলো, চাল, বিশেষ করে মোটা চালের ওপর নির্ভরশীলতা অব্যাহত থাকা, বা ক্ষেত্র বিশেষে বেড়ে যাওয়া।
এই পরিস্থিতিতে গোলাম মোয়াজ্জেম মনে করেন, বাজারে আমন চাল আসা পর্যন্ত চালের দাম তেমন একটা কমবে, সেই সম্ভাবনা কম। তাঁর মত, মূল্যস্ফীতি কমলে মানুষের হাতে খরচ করার মতো টাকা বাড়বে এবং তখন চালের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। সেই পরিস্থিতিতে চালের দাম কমতে পারে। এ ছাড়া সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি চালু থাকলে চালের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব কম পড়ে বলে তিনি মত দেন।
Sangbad365 Admin 













