০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজ

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৬০১৮ Time View

তাহিয়্যাতুল অজুর হুকুম কী?

সুন্নাতে মুআক্কাদাহ নয়, কিন্তু অত্যন্ত মুস্তাহাব ও গুরুত্বের সঙ্গে সুন্নাহ। অধিকাংশ ফকিহের মতে (ইমাম শাফেয়ী, আহমদ প্রমুখ), এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুস্তাহাব (পছন্দনীয়) আমল।

হানাফি মত অনুযায়ী, এটি নফল; করলে বিশাল সাওয়াব, না করলে গুনাহ নেই। ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন, “অজু শেষ করে দুটি রাকাত পড়া নবীজির নিয়মিত সুন্নাহ।” (যাদুল মা’আদ, ১/১৯৫, দারুল ফিকর, বৈরুত, ২০০৫)

তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজ পড়ার পদ্ধতি

১. অজু সম্পন্ন করা: শুদ্ধ নিয়তে সঠিক পদ্ধতিতে অজু সম্পন্ন করতে হবে।

২. কেবল ইচ্ছা (নিয়ত) করা: মনে মনে নিয়ত করলেই যথেষ্ট যে “তাহিয়্যাতুল অজু’র দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছি।”

৩. দুই রাকাত সাধারণ নফল নামাজ: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহা ও ছোট একটি সুরা পড়া। দ্বিতীয় রাকাতও একইভাবে পড়া।

৪. সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা

৫. দোয়া করা: অজুর পর দোয়া কবুলের সময়; তাই দোয়া করা উত্তম।

সহিহ হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি অজু করে সুন্দরভাবে অজু সম্পন্ন করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ পড়বে গভীর মনোযোগ সহকারে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৩৪)

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজ

সময়ঃ ১২:০২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

তাহিয়্যাতুল অজুর হুকুম কী?

সুন্নাতে মুআক্কাদাহ নয়, কিন্তু অত্যন্ত মুস্তাহাব ও গুরুত্বের সঙ্গে সুন্নাহ। অধিকাংশ ফকিহের মতে (ইমাম শাফেয়ী, আহমদ প্রমুখ), এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুস্তাহাব (পছন্দনীয়) আমল।

হানাফি মত অনুযায়ী, এটি নফল; করলে বিশাল সাওয়াব, না করলে গুনাহ নেই। ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন, “অজু শেষ করে দুটি রাকাত পড়া নবীজির নিয়মিত সুন্নাহ।” (যাদুল মা’আদ, ১/১৯৫, দারুল ফিকর, বৈরুত, ২০০৫)

তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজ পড়ার পদ্ধতি

১. অজু সম্পন্ন করা: শুদ্ধ নিয়তে সঠিক পদ্ধতিতে অজু সম্পন্ন করতে হবে।

২. কেবল ইচ্ছা (নিয়ত) করা: মনে মনে নিয়ত করলেই যথেষ্ট যে “তাহিয়্যাতুল অজু’র দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছি।”

৩. দুই রাকাত সাধারণ নফল নামাজ: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহা ও ছোট একটি সুরা পড়া। দ্বিতীয় রাকাতও একইভাবে পড়া।

৪. সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা

৫. দোয়া করা: অজুর পর দোয়া কবুলের সময়; তাই দোয়া করা উত্তম।

সহিহ হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি অজু করে সুন্দরভাবে অজু সম্পন্ন করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ পড়বে গভীর মনোযোগ সহকারে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৩৪)