আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষককে পাকিস্তানিরা নির্মমভাবে মারধর করে। কারণ, তাঁর বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা খেতে আসতেন। পাকিস্তানিরা প্রাণে মারেনি, কিন্তু তাঁকে আধমরা করে রাখে। স্বাধীনতার পরও তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন, তত দিন তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত পড়ত।
মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে, অর্থাৎ ডিসেম্বরের ৫-৬ তারিখে একদিন পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের ধরার জন্য তাড়া করে। মুক্তিযোদ্ধারা ভয়ে কুমার নদের মধ্যে সব অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। পাকিস্তানিরা সেই অস্ত্র তোলার জন্য সব ছেলে-বুড়োকে পানিতে নামায়। তখন শীত প্রায় শুরু। সেই শীতের মধ্যে সবাই পানিতে নামতে বাধ্য হয়েছিল।
তীব্র ঠান্ডা ছিল কুমার নদের পানি। সেই পানিতে সবাই নেমে অস্ত্র খুঁজে পেলেও কেউ তোলেনি। কারণ, তাঁরা জানতেন অস্ত্রগুলো পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিলেও তাঁদের প্রাণ হারাতে হবে। তাই সবাই অস্ত্র খোঁজার ভান করে পানির মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকেন। অবশেষে সন্ধ্যা নেমে আসে। তখন পাকিস্তানি বাহিনী চলে যায়।
তারপর সবাই সেই ঠান্ডা পানি থেকে কাঁপতে কাঁপতে উঠে আসেন। তাঁরা পানি থেকে উঠলেও প্রায় আধমরা হয়ে গিয়েছিলেন। আর কিছুক্ষণ পানিতে থাকলে হয়তো প্রাণ নিয়ে উঠে আসতে পারতেন না।
Sangbad365 Admin 




