এমতাবস্থায় ডিগ্রি (পাস) কোর্স তিন বছরের পরিবর্তে দুই বছর চালু করে শিক্ষার্থীদের আইসিটি দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক ভাষা দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তাঁদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা সম্ভব। ফলে ডিগ্রি (পাস) কোর্স অর্জনকারীরা অল্প সময়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে কর্মসংস্থান অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং দেশ শিক্ষিত বেকারের ভার থেকে মুক্তি পাবে, বৈদেশিক রেমিট্যান্স বৃদ্ধিসহ দেশীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে। এতে ডিগ্রি (পাস) কোর্স অর্থবহ হয়ে উঠবে, শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে এবং এনটিআরসিএর মাধ্যমে অনেক শিক্ষকও নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। যেসব শিক্ষার্থী মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য দুই বছরের প্রিলিমিনারি এবং এক বছরের মাস্টার্স শেষ পর্ব কোর্স চালু করা যেতে পারে।
এ ছাড়া ডিগ্রি (পাস) কোর্সে কম গুরুত্বপূর্ণ আবশ্যিক বিষয়গুলোর পরিবর্তে আইসিটি ও ইংরেজি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে চালু রাখার/করার পাশাপাশি আইসিটি দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক ভাষা দক্ষতা দুটি কোর্স বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। নতুন নিয়মে বাস্তবসম্মত ইনকোর্স পরীক্ষা চালু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এ ছাড়া অনলাইনভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা সচ্ছতার লক্ষ্যে সিএমআইএস (কলেজ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) এবং শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিংকেজ প্রতিষ্ঠা ডিগ্রি (পাস) কোর্সকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলবে। লক্ষণীয়ভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কোর্সে নোট–গাইড ব্যবহার রহিত করা উচিত বলে আমি মনে করি।
মো. আবু হানিফ ভূঁইয়া
উপাধ্যক্ষ
চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ
চান্দিনা, কুমিল্লা।