০৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার লাঠিয়াল বাহিনীর অপকর্ম

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ০৩:০৩:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৬১৬৮ Time View

চাঁদাবাজ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার লাঠিয়াল বাহিনীর অপকর্ম। চাঁদাবাজ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি । অনেক দিন ধরেই চড়া সুদের ব্যবসা করে আসছে এলাকায়। এর সাথে আছে অন্য লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য বাবু , যে যুবদলের সদস্য, রানা যুবদলের সদস্য, আব্দুল আলিম আলম যুবদলের সদস্য সচিব, গালিবুর রহমান রতু ও লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম জাহান।এই মেহেদির কাছ থেকে ১০ % মাসিক সুদের উপর ২৫ হাজার টাকা ৪ থেকে ৫ মাস আগে নিয়েছিলো স্টেশনের দক্ষিনের কামার দোকানদার গনেশ।এই টাকার সুদ ও আসল বাবদ ৩০ হাজার টাকা সে পরিশোধও করেছে মেহেদিকে। কিন্তু মেহেদির দাবি আরো ৫ হাজার টাকা। গনেশ এই ৫ হাজার টাকা দিতে সময় নেওয়ায়, ধৈর্য সয় না মেহেদির।এই ৫ হাজার টাকা আদায়ে গত ৭ সেপ্টেম্বার ২০২৫ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে মেহেদি ফোন দিয়ে গনেশকে ডালেসের চাতালে ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকেই বাবু, আলম, রানা, রতু ও জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলো। তারা গনেশকে ৫ হাজার টাকা আজকের মধেই দিয়ে দিতে বলে। গনেশ তখন জানায় তার কাছে টাকা নাই,ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না এমনকি বাজার করার টাকাও নাই। আরো কিছু দিন সময় চাই গনেশ।

কিন্তু তারা সময় না দিয়ে সবাই মিলে গনেশ কে বেধরক মারধক করে। ও গনেশে বউকে ফোন দিয়ে বলে আজকের মধ্যে টাকা না দিলে তারা গনেশকে মেরে ফেলবে।

গনেশের বউ তখন অনস্তরাম বৈশ্য পাড়া থেকে ডালেসে চাতালে আসে ও জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলে।

এসময় বাবু গনেশে বউকে সাইডে ডেকে নিয়ে যায় ও প্রায় ৪০ মিনিট পরে ফেরত আসে। তখন বাবু সবাইকে বুঝিয়ে গনেশকে তার বউ সহ ছেড়ে দিতে বলে। এবং গনেশ তার বউকে নিয়ে বাসায় চলে যায় আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে।

পরের দিন সকালে ১০টার দিকে গনেশ দোকান খুলে কাস্টমারের জন্য অপেক্ষা করে। এসময় বাবু তার দোকানে আসে ও ৫ হাজার টাকা আবারও দিতে হবে।গনেশ তখন তাকে বলে গত রাতেও না খেয়ে ছিলো ২ টা বাচ্চা ও বউ নিয়ে। টাকা হাতে নাই। ৭ দিনের মধ্যেই দিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। বাবু তখন গনেশ কে বলে, ফোন করে তার বউকে ডেকে নিয়ে আসতে।গনেশ তার বউকে ফোন দিয়ে দোকানে আসতে বলে, আর বলে যে বাবু আসতে বলেছে। গনেশের বউ তখন গনেশ কে জানায় সে আসবে না। গনেশ কারন জানতে চাইলে যে বলে যে গত রাতে বাবু তাকে ধর্ষন করেছে।আর এই জন্যই গত রাতে তাদের ছেরে দিয়েছে।গনেশ নিজ বউয়ের মুখে এই কথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ও বাবুকে সত্যতা জানার জন্য জিজ্ঞাসা করে।বাবু তখন দোকানের সাইডে পড়ে থাকা ছুড়ি দিয়ে গনেশকে আঘাত করতে গেলে, গনেশ ছুরিটি কেরে নিয়ে উলটা আঘাত করে। এতে বাবু গুরুতরো আহত হয়।আশে পাশের লোকজন বাবুকে ধরে পীরগাছা হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যায়।এদিকে সেই দিনই আলম, রানা, রতু ও জাহাঙ্গীর, গনেশকে একমাত্র আসামি করে মামলার খসরা তৈরি করে।কিন্তু মামলার খসরা থানায় দিতে বারন করে আলামিন ফাহিম, সে ঢাকা থেকে ফোন করে জাহাঙ্গীরকে।

ঘটোনার ৪ দিন পরে আলামিন ফাহিম এলাকায় এসে নতুন করে মামলার খসরা লিখে। যেখানে গনেশের নামের পাশাপাশি আরো কয়েক জন নিরিহ ও নির্দোশ ব্যাক্তির নাম দেয়। যেখানে ডাকাইয়া প্রতিবন্ধী ব্যাবসী সোহাগ সহ আরো অনেকের নাম যুক্ত করে।এই আলামিন ফাহিমের মুল লক্ষ্য ছিলো মামলায় নাম যুক্ত করে পরে তা টাকার বিনিময়ে বাদ দেওয়া।কিন্তু প্রতিবেশি সচেতন নাগরিকদের কল্যানে সোহাগের নাম বাদ দেয়া হয়। এবং সচেতন নাগরিকদের চাপে মিথ্যা মামলাটি থানায় আর রেকর্ড হয় না।গনেশ তার বউ ও দুই বাচ্চা নিয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছে, মেহেদি আলম রানা রতু ও জাহাঙ্গীরের ভয়ে। কারোন এরা হচ্ছে এলাকার সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য।জাহাঙ্গীর হচ্ছে এই লাঠিয়াল বাহিনীর সেনাপতি এবং চাঁদাবাজের যুবরাজ।ধর্ষন ও মারধরের কারনে মামলা করবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে গনেশ জানায়, তারা রাঙ্গার লোক থানায় মামলা নিবে না, উল্টো অন্য মামলায় আমাদেরকে ফাসিয়ে দিবে, তাই আমরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছি।

 

ট্যাগঃ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

চাঁদাবাজ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার লাঠিয়াল বাহিনীর অপকর্ম

সময়ঃ ০৩:০৩:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চাঁদাবাজ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার লাঠিয়াল বাহিনীর অপকর্ম। চাঁদাবাজ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি । অনেক দিন ধরেই চড়া সুদের ব্যবসা করে আসছে এলাকায়। এর সাথে আছে অন্য লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য বাবু , যে যুবদলের সদস্য, রানা যুবদলের সদস্য, আব্দুল আলিম আলম যুবদলের সদস্য সচিব, গালিবুর রহমান রতু ও লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম জাহান।এই মেহেদির কাছ থেকে ১০ % মাসিক সুদের উপর ২৫ হাজার টাকা ৪ থেকে ৫ মাস আগে নিয়েছিলো স্টেশনের দক্ষিনের কামার দোকানদার গনেশ।এই টাকার সুদ ও আসল বাবদ ৩০ হাজার টাকা সে পরিশোধও করেছে মেহেদিকে। কিন্তু মেহেদির দাবি আরো ৫ হাজার টাকা। গনেশ এই ৫ হাজার টাকা দিতে সময় নেওয়ায়, ধৈর্য সয় না মেহেদির।এই ৫ হাজার টাকা আদায়ে গত ৭ সেপ্টেম্বার ২০২৫ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে মেহেদি ফোন দিয়ে গনেশকে ডালেসের চাতালে ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকেই বাবু, আলম, রানা, রতু ও জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলো। তারা গনেশকে ৫ হাজার টাকা আজকের মধেই দিয়ে দিতে বলে। গনেশ তখন জানায় তার কাছে টাকা নাই,ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না এমনকি বাজার করার টাকাও নাই। আরো কিছু দিন সময় চাই গনেশ।

কিন্তু তারা সময় না দিয়ে সবাই মিলে গনেশ কে বেধরক মারধক করে। ও গনেশে বউকে ফোন দিয়ে বলে আজকের মধ্যে টাকা না দিলে তারা গনেশকে মেরে ফেলবে।

গনেশের বউ তখন অনস্তরাম বৈশ্য পাড়া থেকে ডালেসে চাতালে আসে ও জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলে।

এসময় বাবু গনেশে বউকে সাইডে ডেকে নিয়ে যায় ও প্রায় ৪০ মিনিট পরে ফেরত আসে। তখন বাবু সবাইকে বুঝিয়ে গনেশকে তার বউ সহ ছেড়ে দিতে বলে। এবং গনেশ তার বউকে নিয়ে বাসায় চলে যায় আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে।

পরের দিন সকালে ১০টার দিকে গনেশ দোকান খুলে কাস্টমারের জন্য অপেক্ষা করে। এসময় বাবু তার দোকানে আসে ও ৫ হাজার টাকা আবারও দিতে হবে।গনেশ তখন তাকে বলে গত রাতেও না খেয়ে ছিলো ২ টা বাচ্চা ও বউ নিয়ে। টাকা হাতে নাই। ৭ দিনের মধ্যেই দিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। বাবু তখন গনেশ কে বলে, ফোন করে তার বউকে ডেকে নিয়ে আসতে।গনেশ তার বউকে ফোন দিয়ে দোকানে আসতে বলে, আর বলে যে বাবু আসতে বলেছে। গনেশের বউ তখন গনেশ কে জানায় সে আসবে না। গনেশ কারন জানতে চাইলে যে বলে যে গত রাতে বাবু তাকে ধর্ষন করেছে।আর এই জন্যই গত রাতে তাদের ছেরে দিয়েছে।গনেশ নিজ বউয়ের মুখে এই কথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ও বাবুকে সত্যতা জানার জন্য জিজ্ঞাসা করে।বাবু তখন দোকানের সাইডে পড়ে থাকা ছুড়ি দিয়ে গনেশকে আঘাত করতে গেলে, গনেশ ছুরিটি কেরে নিয়ে উলটা আঘাত করে। এতে বাবু গুরুতরো আহত হয়।আশে পাশের লোকজন বাবুকে ধরে পীরগাছা হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যায়।এদিকে সেই দিনই আলম, রানা, রতু ও জাহাঙ্গীর, গনেশকে একমাত্র আসামি করে মামলার খসরা তৈরি করে।কিন্তু মামলার খসরা থানায় দিতে বারন করে আলামিন ফাহিম, সে ঢাকা থেকে ফোন করে জাহাঙ্গীরকে।

ঘটোনার ৪ দিন পরে আলামিন ফাহিম এলাকায় এসে নতুন করে মামলার খসরা লিখে। যেখানে গনেশের নামের পাশাপাশি আরো কয়েক জন নিরিহ ও নির্দোশ ব্যাক্তির নাম দেয়। যেখানে ডাকাইয়া প্রতিবন্ধী ব্যাবসী সোহাগ সহ আরো অনেকের নাম যুক্ত করে।এই আলামিন ফাহিমের মুল লক্ষ্য ছিলো মামলায় নাম যুক্ত করে পরে তা টাকার বিনিময়ে বাদ দেওয়া।কিন্তু প্রতিবেশি সচেতন নাগরিকদের কল্যানে সোহাগের নাম বাদ দেয়া হয়। এবং সচেতন নাগরিকদের চাপে মিথ্যা মামলাটি থানায় আর রেকর্ড হয় না।গনেশ তার বউ ও দুই বাচ্চা নিয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছে, মেহেদি আলম রানা রতু ও জাহাঙ্গীরের ভয়ে। কারোন এরা হচ্ছে এলাকার সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য।জাহাঙ্গীর হচ্ছে এই লাঠিয়াল বাহিনীর সেনাপতি এবং চাঁদাবাজের যুবরাজ।ধর্ষন ও মারধরের কারনে মামলা করবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে গনেশ জানায়, তারা রাঙ্গার লোক থানায় মামলা নিবে না, উল্টো অন্য মামলায় আমাদেরকে ফাসিয়ে দিবে, তাই আমরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছি।