০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরের পীরগাছায় সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে ইউনিয়ন ও উপজেলা সভাপতির চাঁদাবাজি

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ০৬:৪৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬৬৬৯ Time View

রংপুরের পীরগাছায় অন্নদানগর ইউনিয়নের শল্যার বিল আশ্রায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, ঘর বরাদ্দের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন প্রকৃত ভূমিহীনরা। ২২ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শুরু হয়ে অর্ধদিবসব্যাপী শল্যার বিল আশ্রায়ন কেন্দ্রে মানববন্ধন করেন তারা। সর্বোত্তম সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্প থেকে জানা গেছে, শল্যার বিল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৪৩০টি ঘর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় ৪৩০টি ঘর নির্মাণের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে পীরগাছায়। প্রতিঘর তৈরীতে বরাদ্দ হয় তিন লাখ চার হাজার টাকা। প্রথম অবস্থায় ১১০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালের শেষের দিকে বাকি ৩৫০টি ঘর নির্মাণ শুরু হয়। আর এসকল ঘর প্রকৃত ভূমিহীনদের না দিয়ে টাকার বিনিময়ে বিত্তবানদের বরাদ্দ দিয়েছে বলে মানববন্ধনে জানান ব্যাক্তিবর্গরা। এমনকি টাকার বিনিময়ে বিক্রি ও অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে।


মানববন্ধনে ব্যাক্তিবর্গরা বলেন ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলাম(দুদু) ও ফালু, ঘর বরাদ্য দেয়ার নাম করে ভূমিহীনদের থেকে ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। ভূমিহীন ও বিধবা বৃদ্ধা মহিলারা স্থানীয় এনজিও থেকে সুদের উপর টাকা নিয়ে দুদু ও ফালু কে দিয়েছে। এখন ঘর বরাদ্য না পেয়ে তারা দিশেহারা। এদিকে সুদে আসলে এনজিওকে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হচ্ছে তারা। বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলাম(দুদু) ও ফালু ঘর বরাদ্য বাবদ ভূমিহীনদের থেকে মোট সাড়ে তিন কোটি টাকা তুলেছে। এখান থেকে দেড় কোটি টাকা নিয়েছে উপজেলা সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, এক কোটি টাকা নিয়েছে সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালেস। পঞ্চাশ লক্ষ নিয়েছে ইউনিয়ন সভাপতি জিল্লুর রহমান, বাকি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দুদু ও ফালু ভাগ করে নিয়েছে।


এখানে উল্লেখ্য যে, ইউনিয়ন সভাপতি জিল্লুর রহমান ব্রাম্নিকুন্ডা আদর্শ গার্লস স্কুলের হেড মাস্টার। এবং একই স্কুলের সভাপতি হয়েছে আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা। জিল্লুর রহমান বিভিন্ন যায়গায় চাদাবাজিতে আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার ডান হাত হিসাবে কাজ করে।
আর অন্যদানগর ইউনিয়নে জিল্লুর রহমানের হয়ে সকল চাদাবাজিতে করে দুদু ও ফালু।
উক্ত ৩৫০ টি ঘর নির্মান চলাকানি সময় আপন চাচা সাবেক আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলনের ছত্রছায়ায় আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা ঠিকাদারির দ্বায়িত্ব পান এবং ১২ কোটির নিম্নমানের নির্মান সামগ্রি সাপ্লাই দেন।
মানব বন্ধন চলাকালিন সময় টাকা ভাগের খবর গোপন করতে সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালেস তার দরবল নিয়ে সেখানে গিয়ে সাংবাদিকদের ধরে নিয়ে এসে উপজিলা ফুড অফিসের ভিতরে বসিয়ে জোড় গলার খবর না ছাপাতে বলে দেয়। এবং জীবনের হুমকি দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. রাসেল তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ভিত্তিহিন আশ্বাস দিয়েছেন।

ট্যাগঃ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় খবর

রংপুরের পীরগাছায় সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে ইউনিয়ন ও উপজেলা সভাপতির চাঁদাবাজি

সময়ঃ ০৬:৪৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

রংপুরের পীরগাছায় অন্নদানগর ইউনিয়নের শল্যার বিল আশ্রায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, ঘর বরাদ্দের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন প্রকৃত ভূমিহীনরা। ২২ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শুরু হয়ে অর্ধদিবসব্যাপী শল্যার বিল আশ্রায়ন কেন্দ্রে মানববন্ধন করেন তারা। সর্বোত্তম সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্প থেকে জানা গেছে, শল্যার বিল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৪৩০টি ঘর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় ৪৩০টি ঘর নির্মাণের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে পীরগাছায়। প্রতিঘর তৈরীতে বরাদ্দ হয় তিন লাখ চার হাজার টাকা। প্রথম অবস্থায় ১১০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালের শেষের দিকে বাকি ৩৫০টি ঘর নির্মাণ শুরু হয়। আর এসকল ঘর প্রকৃত ভূমিহীনদের না দিয়ে টাকার বিনিময়ে বিত্তবানদের বরাদ্দ দিয়েছে বলে মানববন্ধনে জানান ব্যাক্তিবর্গরা। এমনকি টাকার বিনিময়ে বিক্রি ও অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে।


মানববন্ধনে ব্যাক্তিবর্গরা বলেন ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলাম(দুদু) ও ফালু, ঘর বরাদ্য দেয়ার নাম করে ভূমিহীনদের থেকে ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। ভূমিহীন ও বিধবা বৃদ্ধা মহিলারা স্থানীয় এনজিও থেকে সুদের উপর টাকা নিয়ে দুদু ও ফালু কে দিয়েছে। এখন ঘর বরাদ্য না পেয়ে তারা দিশেহারা। এদিকে সুদে আসলে এনজিওকে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হচ্ছে তারা। বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলাম(দুদু) ও ফালু ঘর বরাদ্য বাবদ ভূমিহীনদের থেকে মোট সাড়ে তিন কোটি টাকা তুলেছে। এখান থেকে দেড় কোটি টাকা নিয়েছে উপজেলা সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, এক কোটি টাকা নিয়েছে সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালেস। পঞ্চাশ লক্ষ নিয়েছে ইউনিয়ন সভাপতি জিল্লুর রহমান, বাকি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দুদু ও ফালু ভাগ করে নিয়েছে।


এখানে উল্লেখ্য যে, ইউনিয়ন সভাপতি জিল্লুর রহমান ব্রাম্নিকুন্ডা আদর্শ গার্লস স্কুলের হেড মাস্টার। এবং একই স্কুলের সভাপতি হয়েছে আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা। জিল্লুর রহমান বিভিন্ন যায়গায় চাদাবাজিতে আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার ডান হাত হিসাবে কাজ করে।
আর অন্যদানগর ইউনিয়নে জিল্লুর রহমানের হয়ে সকল চাদাবাজিতে করে দুদু ও ফালু।
উক্ত ৩৫০ টি ঘর নির্মান চলাকানি সময় আপন চাচা সাবেক আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলনের ছত্রছায়ায় আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা ঠিকাদারির দ্বায়িত্ব পান এবং ১২ কোটির নিম্নমানের নির্মান সামগ্রি সাপ্লাই দেন।
মানব বন্ধন চলাকালিন সময় টাকা ভাগের খবর গোপন করতে সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালেস তার দরবল নিয়ে সেখানে গিয়ে সাংবাদিকদের ধরে নিয়ে এসে উপজিলা ফুড অফিসের ভিতরে বসিয়ে জোড় গলার খবর না ছাপাতে বলে দেয়। এবং জীবনের হুমকি দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. রাসেল তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ভিত্তিহিন আশ্বাস দিয়েছেন।