০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাগজের মুদ্রার বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ১২:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ১৬০২৮ Time View

ইসলামি ইতিহাসে মুদ্রার ব্যবহার ও এর ভূমিকা নিয়ে ফকিহরা গভীর আলোচনা করেছেন। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ বালাজুরি তাঁর ফুতুহুল বুলদান গ্রন্থে উল্লেখ করেন, জাহেলিয়াত যুগে মক্কায় হেরাক্লিয়াসের দিনার (সোনার মুদ্রা) এবং পারস্যের রুপার দিরহাম ব্যবহৃত হতো। এই মুদ্রাগুলো সোনা বা রুপার ওজন হিসেবে গৃহীত হতো।

নবীজি (সা.) এ ব্যবস্থাকে বহাল রাখেন এবং খলিফা আবু বকর, উমর, উসমান ও আলী (রা.)-এর সময়েও এটি অব্যাহত থাকে। পরবর্তী সময়ে মুয়াবিয়া (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়রের শাসনামলে নতুন দিরহাম ও দিনার প্রচলিত হয়। খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান দামেস্কে নতুন দিনার প্রবর্তন করেন, যা ইসলামি মুদ্রার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। (বালাজুরি, ফুতুহুল বুলদান, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, বৈরুত: ১৯৮৮, পৃ. ২৬৫)

উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) উটের চামড়া দিয়ে মুদ্রা তৈরির কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বলা হয়, এতে মানুষ উট জবাই করবে চামড়ার জন্য, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। ফলে তিনি এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন।

এ ঘটনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামি ফকিহরা মুদ্রার উপাদান নিয়ে নমনীয় ছিলেন। তাঁরা মনে করতেন, মুদ্রার উপাদান যা-ই হোক না কেন, এটি শুধু একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।

ট্যাগঃ

কাগজের মুদ্রার বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

সময়ঃ ১২:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

ইসলামি ইতিহাসে মুদ্রার ব্যবহার ও এর ভূমিকা নিয়ে ফকিহরা গভীর আলোচনা করেছেন। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ বালাজুরি তাঁর ফুতুহুল বুলদান গ্রন্থে উল্লেখ করেন, জাহেলিয়াত যুগে মক্কায় হেরাক্লিয়াসের দিনার (সোনার মুদ্রা) এবং পারস্যের রুপার দিরহাম ব্যবহৃত হতো। এই মুদ্রাগুলো সোনা বা রুপার ওজন হিসেবে গৃহীত হতো।

নবীজি (সা.) এ ব্যবস্থাকে বহাল রাখেন এবং খলিফা আবু বকর, উমর, উসমান ও আলী (রা.)-এর সময়েও এটি অব্যাহত থাকে। পরবর্তী সময়ে মুয়াবিয়া (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়রের শাসনামলে নতুন দিরহাম ও দিনার প্রচলিত হয়। খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান দামেস্কে নতুন দিনার প্রবর্তন করেন, যা ইসলামি মুদ্রার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। (বালাজুরি, ফুতুহুল বুলদান, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, বৈরুত: ১৯৮৮, পৃ. ২৬৫)

উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) উটের চামড়া দিয়ে মুদ্রা তৈরির কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বলা হয়, এতে মানুষ উট জবাই করবে চামড়ার জন্য, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। ফলে তিনি এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন।

এ ঘটনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামি ফকিহরা মুদ্রার উপাদান নিয়ে নমনীয় ছিলেন। তাঁরা মনে করতেন, মুদ্রার উপাদান যা-ই হোক না কেন, এটি শুধু একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।