০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরের পীরগাছায় গাছ খেকো রাঙ্গা ও রেজার অস্বাভাবিক দৌরত্ব। 

  • Sangbad365 Admin
  • সময়ঃ ০৮:০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৭২৮৪ Time View

গাছ কেটে টাকা ভাগবাটোয়ারা এটা কাদের রাজনীতি? 

৭নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যন মোস্তাফিজার রহমান রেজা তার পঙ্গোপালদের কল্যানে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় গাছ কাটার ধুম পরেছে 

পীরগাছা নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজা, পীরগাছা উপজেলা বিএনপির খমতামান সভাপতি চাঁদাবাজ আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, আওয়ামি লিগের উপজেলা সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালেস, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল মন্ডল, নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, নং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিয়া স্থানীয় প্রফেসর রফিকুলের কল্যানে পীরগাছা নং ইউনিয়নের ওকড়া বাড়ি মোড় হতে নগরজীৎপুর মাইটাল যাওয়ার রাস্তার দুই ধারে আনুমানিক ২৫০০ গাছ গন হারে কাটা হচ্ছে গাছ কাটা এখনো চলমান আছে।  

এই গাছ গুলো বিগত নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর সময়ে, স্থানীয় সমবায় সমিতিসবুজ ছায়ার সাথে    নং ইউনিয়নের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে আনুমানিক ২৫০০ ইউকিলিপ্টাস  গাছ রোপন করা হয় চুক্তি অনুযায়ি যেহেতু গাছ গুলো সরকারি রাস্তায় রোপন করা হয়েছে তাই সরকার এর ৩০% মালিকানা নিবে এখানে সরকার ভ্যাট পাবে ২০% বাকি ৫০% মালিকানা পাবে সবুজ ছায়া সমিতির সদস্যরা  

এখানে একটি গাছের দাম ৬০০০ টাকা ধরলে, ২৫০০ গাছের প্রকৃত দাম হয় দেড় কোটি টাকা যা ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করলে সরকার সমিতির সদস্য সকলেই লাভোবান হতো 

কিন্তু ওপেন টেন্ডার না হয়ে তা গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে  নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজা তার নিজেদের পঙ্গোপাল দের মাঝে ভাগ করে দিয়েছেন এতে সরকার সমিতির সদস্য সকলেই সকলেই লোকসানে আছে

 

জানা যায় গোপন টেন্ডারটি পীরগাছা উপজেলা বিএনপির খমতামান সভাপতি চাঁদাবাজ আমিনুল  ইসলাম রাঙ্গার পরামর্শে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালেস আওয়ামি লিগের উপজেলা সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন এর মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে এখানে  ভাগে, আরো আছে সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল মন্ডল, নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইফুল  ইসলাম, নং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিয়া স্থানীয় প্রফেসর রফিকুল 

তারা গোপন টেন্ডারে নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজার মদদে সরকারের কাছে ২২ লক্ষ টাকায় গাছ গুলো কিনে নেয় তারা সমিতিকে জানায় ৪২ লক্ষ টাকা কিন্তু যার প্রকৃত দাম দেড়  কোটি টাকা এখানে বাকি এক কোটি লক্ষ টাকা নিজেরা ভাগভাগি করে নিয়েছে।  

এখানে পীরগাছা উপজেলার বিএনপির খমতামান সভাপতি চাঁদাবাজ আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা নিয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজা ভাগ নিয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা  

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালেস নিয়েছে ২১ লক্ষ টাকা আওয়ামি লিগের উপজেলা সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন নিয়েছে ১২ লক্ষ টাকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল মন্ডল নিয়েছে লক্ষ টাকা নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিয়েছে লক্ষ টাকা নং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিয়া ভাগে নিয়েছে লক্ষ টাকা স্থানীয় প্রফেসর রফিকুল ভাগে নিয়েছে লক্ষ টাকা 

ব্যাপারে মোঃ মোস্তাফিজার রহমান রোমান জানান, টাকা ভাগা ভাগির ব্যাপার টি পুরোপরি সত্য নয় কারন গাছ এখনো কাটা চলছে তাই টাকা হাতে আসে নাই গাছ কাটা শেষ হলে ডালেস ভাই যার যার প্রাপ্য সময় মত বুঝিয়ে দিবেন।   

 

শুনে যতটা কষ্ট হয়, চোখে দেখলে তার চেয়ে কষ্ট আরও গভীর
এতক্ষণ যা শুনলেন, এবার দেখা যাক এর বাস্তব প্রমাণ গাছ কাটার আগে এলাকাটি ছিল সবুজ প্রাণবন্ত, আর গাছ কাটার পর সেখানে দাঁড়িয়ে আছে শুধু শূন্যতা বিরানভূমির চিত্র দুই দৃশ্যের এই তীব্র বৈপরীত্যই প্রমাণ করে দেয় কী ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেখানেপ্রকৃতি নিজেই সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে

এরা কি সত্যিই মানুষ, নাকি মানুষরূপী অন্য কিছু?
গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে, আর সেই গাছ বিক্রির টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়এরা কি নেতা, নাকি লুটেরা?”
এরা মানুষ নয়, এরা লোভের দাস গাছ কেটে পরিবেশ মারে, আর টাকা ভাগ করে সমাজকে লুটে নেয়

প্রশ্ন রয়ে যায় 

যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সম্পদ লুট করে, তারা কি আদৌ জনগণের নেতা? তারা কি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবে? শুধু সমালোচনা করলেই চলবে না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে জনগণ যদি সচেতন না হয়, তবে ধরনের প্রভাবশালী গোষ্ঠী বারবার গণতন্ত্র পরিবেশকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করবে 

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

রংপুরের পীরগাছায় গাছ খেকো রাঙ্গা ও রেজার অস্বাভাবিক দৌরত্ব। 

সময়ঃ ০৮:০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাছ কেটে টাকা ভাগবাটোয়ারা এটা কাদের রাজনীতি? 

৭নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যন মোস্তাফিজার রহমান রেজা তার পঙ্গোপালদের কল্যানে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় গাছ কাটার ধুম পরেছে 

পীরগাছা নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজা, পীরগাছা উপজেলা বিএনপির খমতামান সভাপতি চাঁদাবাজ আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, আওয়ামি লিগের উপজেলা সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালেস, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল মন্ডল, নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, নং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিয়া স্থানীয় প্রফেসর রফিকুলের কল্যানে পীরগাছা নং ইউনিয়নের ওকড়া বাড়ি মোড় হতে নগরজীৎপুর মাইটাল যাওয়ার রাস্তার দুই ধারে আনুমানিক ২৫০০ গাছ গন হারে কাটা হচ্ছে গাছ কাটা এখনো চলমান আছে।  

এই গাছ গুলো বিগত নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর সময়ে, স্থানীয় সমবায় সমিতিসবুজ ছায়ার সাথে    নং ইউনিয়নের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে আনুমানিক ২৫০০ ইউকিলিপ্টাস  গাছ রোপন করা হয় চুক্তি অনুযায়ি যেহেতু গাছ গুলো সরকারি রাস্তায় রোপন করা হয়েছে তাই সরকার এর ৩০% মালিকানা নিবে এখানে সরকার ভ্যাট পাবে ২০% বাকি ৫০% মালিকানা পাবে সবুজ ছায়া সমিতির সদস্যরা  

এখানে একটি গাছের দাম ৬০০০ টাকা ধরলে, ২৫০০ গাছের প্রকৃত দাম হয় দেড় কোটি টাকা যা ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করলে সরকার সমিতির সদস্য সকলেই লাভোবান হতো 

কিন্তু ওপেন টেন্ডার না হয়ে তা গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে  নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজা তার নিজেদের পঙ্গোপাল দের মাঝে ভাগ করে দিয়েছেন এতে সরকার সমিতির সদস্য সকলেই সকলেই লোকসানে আছে

 

জানা যায় গোপন টেন্ডারটি পীরগাছা উপজেলা বিএনপির খমতামান সভাপতি চাঁদাবাজ আমিনুল  ইসলাম রাঙ্গার পরামর্শে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালেস আওয়ামি লিগের উপজেলা সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন এর মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে এখানে  ভাগে, আরো আছে সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল মন্ডল, নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইফুল  ইসলাম, নং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিয়া স্থানীয় প্রফেসর রফিকুল 

তারা গোপন টেন্ডারে নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজার মদদে সরকারের কাছে ২২ লক্ষ টাকায় গাছ গুলো কিনে নেয় তারা সমিতিকে জানায় ৪২ লক্ষ টাকা কিন্তু যার প্রকৃত দাম দেড়  কোটি টাকা এখানে বাকি এক কোটি লক্ষ টাকা নিজেরা ভাগভাগি করে নিয়েছে।  

এখানে পীরগাছা উপজেলার বিএনপির খমতামান সভাপতি চাঁদাবাজ আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা নিয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজা ভাগ নিয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা  

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালেস নিয়েছে ২১ লক্ষ টাকা আওয়ামি লিগের উপজেলা সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন নিয়েছে ১২ লক্ষ টাকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল মন্ডল নিয়েছে লক্ষ টাকা নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিয়েছে লক্ষ টাকা নং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিয়া ভাগে নিয়েছে লক্ষ টাকা স্থানীয় প্রফেসর রফিকুল ভাগে নিয়েছে লক্ষ টাকা 

ব্যাপারে মোঃ মোস্তাফিজার রহমান রোমান জানান, টাকা ভাগা ভাগির ব্যাপার টি পুরোপরি সত্য নয় কারন গাছ এখনো কাটা চলছে তাই টাকা হাতে আসে নাই গাছ কাটা শেষ হলে ডালেস ভাই যার যার প্রাপ্য সময় মত বুঝিয়ে দিবেন।   

 

শুনে যতটা কষ্ট হয়, চোখে দেখলে তার চেয়ে কষ্ট আরও গভীর
এতক্ষণ যা শুনলেন, এবার দেখা যাক এর বাস্তব প্রমাণ গাছ কাটার আগে এলাকাটি ছিল সবুজ প্রাণবন্ত, আর গাছ কাটার পর সেখানে দাঁড়িয়ে আছে শুধু শূন্যতা বিরানভূমির চিত্র দুই দৃশ্যের এই তীব্র বৈপরীত্যই প্রমাণ করে দেয় কী ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেখানেপ্রকৃতি নিজেই সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে

এরা কি সত্যিই মানুষ, নাকি মানুষরূপী অন্য কিছু?
গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে, আর সেই গাছ বিক্রির টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়এরা কি নেতা, নাকি লুটেরা?”
এরা মানুষ নয়, এরা লোভের দাস গাছ কেটে পরিবেশ মারে, আর টাকা ভাগ করে সমাজকে লুটে নেয়

প্রশ্ন রয়ে যায় 

যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সম্পদ লুট করে, তারা কি আদৌ জনগণের নেতা? তারা কি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবে? শুধু সমালোচনা করলেই চলবে না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে জনগণ যদি সচেতন না হয়, তবে ধরনের প্রভাবশালী গোষ্ঠী বারবার গণতন্ত্র পরিবেশকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করবে